মেদিনীপুর, 4 জুলাই : চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের এক নার্সিংহোমে । অভিযোগ, এর আগে একাধিকবার ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ শনিবার মেদিনীপুর পৌরসভার 9নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রথীন চক্রবর্তীকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয় ৷ সেই সময় তাঁকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অভিযোগ, আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলেও, সেখানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না ৷ এমনকি রোগী মারা যাওয়ার পরে তা পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ ৷
এই ঘটনার পর আজ নার্সিংহোমের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগীর পরিজনেরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও এই নার্সিংহোমে একাধিক রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন ৷ তা সত্ত্বেও এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ নিহত রথীন চক্রবর্তীর শ্যালক অরিজিৎ সেন অভিযোগ করেছেন, রাতে আইসিইউতে তাঁর জামাইবাবুকে ভর্তি করানো হলেও, সেখানে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না ৷ ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসককে ডাকতে বলা হলেও নার্সিংহোমের তরফে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ৷
এখানেই শেষ নয়, রাতেই রথীন চক্রবর্তী মারা যান ৷ কিন্তু, সেই খবর নার্সিংহোমে উপস্থিত রোগীর পরিজনদের জানানো হয়নি ৷ সকালে রোগীর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয় ৷ আর একরাতের জন্য 60 হাজার টাকা বিল ধরিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের ৷ কেন এত বিল জিজ্ঞাসা করা হলে নার্সিংহোমের নার্স এবং অন্যান্য কর্মচারীরা দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের পরিজনেরা ৷ এমনকি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করাতে গেলে, সেখানেও অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ ৷ থানায় কর্তব্যরত অফিসার মৃত রথীন চক্রবর্তীর পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পর, তাঁরা অনলাইনে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার এবং থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ৷
আরও পড়ুন : পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ
মেদিনীপুরের ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে একাধিকবার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ কিন্তু, প্রত্যেকবার পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পার পেয়ে গিয়েছে ৷ এমনকি করোনা রোগী এবং সাধারণ রোগীদের একসঙ্গে রেখে চিকিৎসা করানোর অভিযোগ উঠেছিল এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৷ তা সত্ত্বেও কেন এই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷