দাঁতন, 28 এপ্রিল : করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আছড়ে পড়েছে দিকে দিকে । মহামারীর করাল গ্রাসে দেশব্যাপী চলছে মৃত্যু মিছিল । এই সংক্রমণের হাত থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় সকলের সতর্কতা অবলম্বন ও নির্দিষ্ট কিছু নিয়মবিধি মেনে চলা । এরই মধ্যে বাংলা-ওড়িশা সীমানাতেও বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে । স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, এর ফলে যাতায়াতে যেমন সমস্যা হচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্য সমস্যা রয়েছে । তবে পুলিশ এই বিষয়ে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে ।
সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী ৷ প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষ জন । জঙ্গল মহলের মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিদিন । আজকের রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন করে 444 জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছে জঙ্গল মহলে । গতকাল ছিল 572 জন । তাই সংক্রমণ ঠেকাতে এবার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগকারী ওড়িশার রাস্তার বেড়া দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল । পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা সীমানাবর্তী এলাকার বহু জায়গায় এমনটা করা হয়েছে বলে স্থানীয়স্তর থেকে দাবি করা হয়েছে ।
যদিও রাজ্য প্রশাসনের দাবি, কোনও গ্রামীণ এলাকার রাস্তা সাময়িক ভাবে বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হতে পারে । তবে ওড়িশার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ অব্যাহত । প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার সোনাকোনিয়া বাইপাটনা-মতিবেড়ুয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওড়িশার সঙ্গে যে যোগাযোগরক্ষাকারী রাস্তা রয়েছে, তাতে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে । তার জেরেই দুই রাজ্যের বাসিন্দারাই অসুবিধায় পড়েছেন । পশ্চিম মেদিনীপুরের ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওড়িশার স্থানীয় প্রশাসনই বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে । যার ফলে বন্ধ যানবাহন সঙ্গে হেঁটেও পেরনো যাচ্ছে না । এই রাস্তা দিয়ে ওড়িশার অনেকেই দাঁতনের সোনাকোনিয়া এলাকায় বাজার করতে আসতেন । বেড়া থাকায় অসুবিধায় পড়েছেন সকলে ।
যদিও মেদিনীপুরের এক পুলিশ আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘এই ধরনের এরকম কোনও ঘটনা ঘটা উচিত নয় । আমরা জানি ওই রাস্তা দিয়ে যোগাযোগ রয়েছে দুই পারের মানুষের সঙ্গে আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখব ।’’
আরও পড়ুন : অষ্টম দফায় রাজ্যে 753 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, বাড়তি নজর বীরভূমে
যদিও এখনও জেলায় গাড়ি ঢোকা বা বেরনো প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন কোনও ধরনের রাস্তা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়নি । তবে ওড়িশার সরকারের এই রাস্তা বন্ধের ব্যাপারে তারা সচেতন ও সজাগ হয়েছে । তাছাড়া এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাস্ক পরানোর কাজ করছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ।