শালবনি, 29 অগাস্ট : পুরানো মামলায় ছত্রধর মাহাতকে জেরার জন্য ডেকে পাঠাল NIA । গতকাল একপ্রস্ত জেরার পর আজ ফের তাঁকে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । আজ সন্ধে পর্যন্ত জেরা চলতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে ।
প্রাক্তন জন সাধারণ কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে গতকাল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে NIA । তিন উচ্চপদস্থ তদন্তকারী টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা করেন ছত্রধর মাহাতকে । একদিকে যখন কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতা দিচ্ছেন, ওদিকে তখন শাল-মহুয়ার জনপদে জেরা চলছে বর্তমান তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য ছত্রধর মাহাতর । শালবনির কোবরা ক্যাম্পে NIA-র আধিকারিকরা আগে থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন । তাঁরা ছত্রধরকে ডেকে পাঠান সকাল ন'টায় । ছত্রধরের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, কোরোনা পরিস্থিতিতে তাঁর মক্কেল জঙ্গলমহল থেকে কলকাতায় যেতে পারবেন না । কিন্তু NIA-র তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে জানানো হয়, প্রয়োজনে তাঁরা জঙ্গলমহলে ক্যাম্প করে জেরা করতে পারেন । সেই মোতাবেক জঙ্গলমহলে শালবনির কোবরা ক্যাম্পে জেরার স্থান নির্ধারণ করা হয় । উল্লেখ্য, ছত্রধর মাহাতকে বাঁশপাহাড়িতে রাজধানী এক্সপ্রেসকে পণবন্দী করা ও ঝাড়গ্রামের CPI(M) নেতা প্রবীর মাহাত খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে NIA ।
গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে ছত্রধর মাহাত বলেন, "আইনের প্রতি আস্থা রয়েছে ।" তবে এই জেরার পিছনে ষড়যন্ত্রেরও গন্ধ পাচ্ছেন একদা পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা । তিনি আরও জানান, "আমি গোয়েন্দাদের বলেছি, তাঁরা যে দু'টি মামলায় আমায় জেরা করছেন, সে ব্যাপারে আমি অবগত নই । আমি গোয়েন্দাদের এও বলেছি, তাঁদের আমি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব । তবে 11 বছরের পুরানো মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের পিছনে অন্য ব্যাপার রয়েছে বলে মনে হচ্ছে ।"
2019-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেয় BJP । জঙ্গলমহলে তৃণমূলের একের পর এক বিধানসভা আসন হাতছাড়া হয় । এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলের একসময় ত্রাস ছত্রধর মাহাতর উপর ভরসা রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো । তড়িঘড়ি তাঁকে আইনি ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার । পরে শাসকদলের রাজ্য কমিটির পদে ছত্রধরকে নিযুক্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।