ETV Bharat / state

ছত্রধরকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল : মুকুল - ছত্রধরকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল

মুকুল রায় বলেন, "ছত্রধরকে ব্যবহার করেই তৃণমূল কংগ্রেস একসময় জঙ্গলমহলের দখল নিয়েছিল ৷ তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ এখন রাজনৈতিক কারণেই আবার তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছত্রধরের সহকর্মীদের প্রশ্ন করা উচিত, কেন তিনি এতদিন কারাদণ্ড ভোগ করলেন?"

Mukul Roy on Chatradhar Mahato
মুকুল রায়
author img

By

Published : Feb 2, 2020, 7:30 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুর, 2 ফেব্রুয়ারি: ছত্রধর মাহাতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল ৷ বললেন BJP নেতা মুকুল রায় ৷ বলেন, ছত্রধরকে ব্যবহার করে জঙ্গলমহলে ফের নিজেদের অধিকার কায়েম করতে চাইছে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আজ পশ্চিম মেদিনীপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন BJP নেতা মুকুল রায় ৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "ছত্রধরকে ব্যবহার করেই তৃণমূল কংগ্রেস একসময় জঙ্গলমহলের দখল নিয়েছিল ৷ তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ এখন রাজনৈতিক কারণেই আবার তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছত্রধরের সহকর্মীদের প্রশ্ন করা উচিত, কেন তিনি এতদিন কারাদণ্ড ভোগ করলেন ?"

2009-এর সেপ্টেম্বরে লালগড় থেকে জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ 2008-এ শালবনিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কনভয়ে মাওবাদী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি ৷ 2015 সালে কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় ছত্রধর সহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত ৷ পরে তা কমিয়ে 10 বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷

এদিকে গতকাল পার্ক সার্কাসে CAA, NRC বিরোধী আন্দোলনে যোগদানকারী এক মহিলার মৃত্যু হয় ৷ সেই প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, "যারা এটা করছে, তারা সংবিধানবিরোধী কাজ করছে ৷ আমরা কারওর নাগরিকত্ব কেড়ে নেব না ৷ বরং অনেককে নাগরিকত্ব দেব ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে ভুল বোঝাচ্ছেন৷"

কী বলছেন মুকুল রায়?

পশ্চিম মেদিনীপুর, 2 ফেব্রুয়ারি: ছত্রধর মাহাতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করেছিল তৃণমূল ৷ বললেন BJP নেতা মুকুল রায় ৷ বলেন, ছত্রধরকে ব্যবহার করে জঙ্গলমহলে ফের নিজেদের অধিকার কায়েম করতে চাইছে তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আজ পশ্চিম মেদিনীপুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন BJP নেতা মুকুল রায় ৷ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "ছত্রধরকে ব্যবহার করেই তৃণমূল কংগ্রেস একসময় জঙ্গলমহলের দখল নিয়েছিল ৷ তাঁকে রাজনৈতিক কারণেই ব্যবহার করা হয়েছিল ৷ এখন রাজনৈতিক কারণেই আবার তাঁকে ফেরানো হচ্ছে ৷ তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছত্রধরের সহকর্মীদের প্রশ্ন করা উচিত, কেন তিনি এতদিন কারাদণ্ড ভোগ করলেন ?"

2009-এর সেপ্টেম্বরে লালগড় থেকে জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ 2008-এ শালবনিতে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর কনভয়ে মাওবাদী হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি ৷ 2015 সালে কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় ছত্রধর সহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় মেদিনীপুর আদালত ৷ পরে তা কমিয়ে 10 বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷

এদিকে গতকাল পার্ক সার্কাসে CAA, NRC বিরোধী আন্দোলনে যোগদানকারী এক মহিলার মৃত্যু হয় ৷ সেই প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, "যারা এটা করছে, তারা সংবিধানবিরোধী কাজ করছে ৷ আমরা কারওর নাগরিকত্ব কেড়ে নেব না ৷ বরং অনেককে নাগরিকত্ব দেব ৷ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে ভুল বোঝাচ্ছেন৷"

কী বলছেন মুকুল রায়?
Intro:ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূল রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা ছিল ,পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসার পর জেলে পাঠানো হয়েছিল এবং বর্তমানে আবার রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হল ,বক্তা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তিনি বলেন যারা এর প্রতিবাদ করছে বা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা দেশবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ।



Body:ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূল রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা ছিল ,পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসার পর জেলে পাঠানো হয়েছিল এবং বর্তমানে আবার রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হল ,বক্তা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তিনি বলেন যারা এর প্রতিবাদ করছে বা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা দেশবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ।


মেদিনীপুরে এলেন মুকুল রায় কর্মীদের সঙ্গে একটি হোটেলে কিছুক্ষণ সাক্ষাৎ করার পর তিনি দিল্লির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান । এই হোটেলের সাক্ষাৎ করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় । এদিন মুকুল রায় কে পেয়ে সাংবাদিকরা ছত্রধর মাহাতোর মুক্তি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তৃণমূল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছিল ছত্রধর মাহাতো কে ,সেই সময় মমতা ব্যানার্জি জঙ্গলমহলে নিজেদের কর্তৃত্ত্ব কায়েম করার জন্য ছত্রধরে সাথে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে মিটিং করে ছিল আমি সবই জানি । ছত্রধর মাহাতোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পর ক্ষমতায় আসার পাশাপাশি তারা এই ছত্রধর মাহাতোকে জেলে পাঠিয়েছিল তৃণমূল সরকার এবং পরবর্তীকালে আবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাকে মুক্তি দিয়ে আবার নতুন করে জঙ্গলমহলে নিজেদের কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছে এই সরকার । এখন প্রশ্ন রইল ছত্রধর মাহাতো সরকারি আতিথিয়তার কতটা সম্মান রাখেন সেটাই দেখার । ছত্রধর মাহাতোকে বিজেপিতে নেওয়া প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের বক্তব্য ছত্রধর মাহাতোকে আমরা কখনও নেওয়ার চেষ্টা করিনি । কারণ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে যে কেস দিয়েছিল এই তৃণমূল সরকার ,সেই কেসে একমাত্র জামিন বা মুক্তি দিতে পারতো তৃণমূল সরকার । তৃণমূল ছাড়া অন্য কারও ক্ষমতা ছিল না । আমি ছত্রধরের বাড়ি গিয়েছি তার দাদা শশধর মাহাতো কে চিনতাম । এখন দেখার ছত্রধর মাহাতো তৃণমূলের আতিথেয়তা কতটা গ্রহণ করে । এছাড়াও মুকুল রায় কে নির্মলা সীতারামন এর বাজেট আয়ুষ্মান প্রকল্পের পিপি মডেলের হাসপাতালে গড়ার প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমাদের দুর্ভাগ্য যে আয়ুষ্মান ভারত এভাবেই সারা ভারতে প্রবেশ করলেও বাংলায় প্রবেশ করতে পারছে না । মমতা ব্যানার্জি ইচ্ছে করেই আয়ুষ্মান প্রকল্প ভারতের বাকি রাজ্যের মানুষের সাথে বাংলার মানুষকে সুবিধা দিতে চাইছেন না এটা দুর্ভাগ্য । এদিন পার্কস্ট্রিটের ঘটনা নিয়ে মুকুল রায় বলেন এই নাগরিকত্ব তথা সি এ ও এনআরসি নিয়ে যারা এই ধরনের আন্দোলন করছেন তাদের জানা উচিত এই আইন আমরা কারো নাগরিকত্ব হরণ করার কথা বলিনি । আমরা নতুন করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথাই বলেছি । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আন্দোলনকে ব্যবহার করে এই আইনের অপব্যবহার করছেন । একটি যুক্তরাষ্ট্র কাঠামো থেকে তিনি আইন বিরোধী এবং সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন । কেননা এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার আগে দুটি কক্ষের যৌথ সভায় পাস হয়ে তারপর রাস্ট্রপতির কাছে অনুমোদিত হতে হয় এবং তার সই হওয়ার পরই এই বিল আইনে পরিণত হয় । তাই এই সংবিধান প্রদত্ত আইনের বিরোধিতা যারা করে তারা রাষ্ট্রদ্রোহী বলে আমার মনে হয় । এছাড়াও সাংবাদিকরাই এদিন মুকুল রায় কে দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু বিভিন্ন গুলি করে মারা এবং মেরে ফেলার বক্তব্য প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে মুকুল রায় বলেন কে কি বক্তব্য রাখছে সে তার নিজের অভিমত ব্যাখ্যা করছে । এই বিষয়ে তবে একটা কথা বলব যারা রেল লাইন উপড়ে ফেলে, যারা প্লাটফর্মে আগুন ধরিয়ে দেয় ,তারা তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য রাখা হয়েছে । রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিরুদ্ধে এই বক্তব্য রেখেছেন । তবে মেদিনীপুরের অতি বাম চক্রী মানুষদের আন্দোলন গড়ে ওঠে কি ধরনের ঘটনা ঘটায় সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে বলে আমি মনে করি । মুর্শিদাবাদে অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া নিয়ে মুকুল রায়ের বক্তব্য আপনারা খেয়াল করবেন 1947 সালে যখন সব জায়গায় ভারতের পতাকা উঠেছিল, ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল ,তখন মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কিছু জায়গায় পাকিস্তানের পতাকা উঠেছিল, যশোরের খুলনা জায়গায় উঠেছিল হিন্দুত্বের পতাকা । তাই ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে । তবে এদিন মুকুল রায় নির্মলা সীতারামন এর এল আই সির শেয়ার বিক্রি করা প্রসঙ্গে বক্তব্য না বাড়িয়ে বলেন বাজেট পেশ হয়েছে, এই নিয়ে বক্তব্য পেশ হবে তারপর এ বিষয়ে মন্তব্য করব , অহেতুক বিতর্ক বাড়িয়ে লাভ নেই ।


Conclusion:ছত্রধর মাহাতোকে তৃণমূল রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা ছিল ,পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসার পর জেলে পাঠানো হয়েছিল এবং বর্তমানে আবার রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য তাকে মুক্তি দেওয়া হল ,বক্তা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় পাশাপাশি সিএএ ও এনআরসি নিয়ে তিনি বলেন যারা এর প্রতিবাদ করছে বা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা দেশবিরোধী কাজকর্মে লিপ্ত ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.