ETV Bharat / state

Mother Language Day Celebration: সহজপাঠের ছবি নিয়ে স্কুলে ভাষা দিবস উদযাপনে মাতল কচিকাচারা - Mother Language Day Celebration at School

নাচে-গানে প্রাথমিক স্কুলে মাতৃভাষা দিবস উদযাপন (Mother Language Day Celebration at School)৷ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা জানাল খুদে পড়ুয়ারা ৷

ETV Bharat
রূপনারায়ণপুরের স্কুলে ভাষা দিবস উদযাপন
author img

By

Published : Feb 22, 2023, 9:31 AM IST

রূপনারায়ণপুরের স্কুলে ভাষা দিবস উদযাপন

খড়গপুর, 22 ফেব্রুয়ারি: মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হল মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের রূপনারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Rupnarayanpur Primary School)৷ মঙ্গলবার মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই স্কুল ৷ তাতে যোগদান করে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাল তারা ৷ কবিগুরুর সহজপাঠের বিভিন্ন ছবি আঁকা ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে কোমর দোলাল 'আমি বাংলায় গান গাই' গানে ৷ এছাড়াও এদিন বসে আঁকো প্রতিযোগিতাও হয় ৷

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । বাংলাদেশ এই দিনটি জাতীয় দিবস অর্থাৎ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করে আসছে । পশ্চিমবঙ্গেও এই দিনটি প্রতিবছর ভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয় । 1947 সালের 14 অগস্ট জন্মলগ্ন থেকেই মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের । আর এই ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে একটি অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ বলে মনে করা হয় । মূলত স্বাধীনতার পর উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের এক এবং অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে বাংলাভাষী পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র প্রতিবাদ ও গণ আন্দোলন শুরু হয় । বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার দাবিও ওঠে ।

এই লক্ষ্যে 1948 সালের মার্চে শুরু হয় আন্দোলন । 1952 সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্গত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সমাজকর্মীরা পাকিস্তান সরকারের ভাষা নীতির তীব্র বিরোধিতা করেন । নিজেদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে পথে নামেন তাঁরা । দাবি ছিল একটাই, বাংলা ভাষাকে সে দেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে । এই ঘটনায় 1952 সালের 21 ফেব্রুয়ারি এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় । পাকিস্তানের পুলিশ গুলি চালালেও এই প্রতিবাদ আন্দোলন থামানো যায়নি । অবশেষে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে একপ্রকার বাধ্য হয় । 21 ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন চার যুবক, রফিক-বরকত-সালাম ও আব্দুল জব্বার । এরপর থেকেই এই ভাষা শহিদদের স্মরণে ওই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাকা নগরী । 22 ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় । ঢাকায় ঐতিহাসিক সর্ববৃহৎ শোকযাত্রা বের হয়েছিল এই দিনেই । 1953 সাল থেকে 21 ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ দিবস রূপে পালিত হয়ে আসছে ।

স্কুলে ভাষাদিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বীরেন পাল বলেন, "এই ভাষা দিবসে বাংলা ভাষাকে আমরা পেয়েছি অনেক লড়াই করার পর । বহু মানুষ রক্ত দিয়েছেন এই বাংলা ভাষার জন্য । আমাদের কবি ও লেখকরা লড়াই করেছেন । তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভাষা দিবসে আমাদের স্কুলের কচিকাচারা বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ।

আরও পড়ুন : সুরেরই ভাষা, আনন্দেরই ভাষা...

রূপনারায়ণপুরের স্কুলে ভাষা দিবস উদযাপন

খড়গপুর, 22 ফেব্রুয়ারি: মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হল মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের রূপনারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (Rupnarayanpur Primary School)৷ মঙ্গলবার মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই স্কুল ৷ তাতে যোগদান করে মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাল তারা ৷ কবিগুরুর সহজপাঠের বিভিন্ন ছবি আঁকা ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে কোমর দোলাল 'আমি বাংলায় গান গাই' গানে ৷ এছাড়াও এদিন বসে আঁকো প্রতিযোগিতাও হয় ৷

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । বাংলাদেশ এই দিনটি জাতীয় দিবস অর্থাৎ সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালন করে আসছে । পশ্চিমবঙ্গেও এই দিনটি প্রতিবছর ভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালিত হয় । 1947 সালের 14 অগস্ট জন্মলগ্ন থেকেই মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশে সূচনা হয় ভাষা আন্দোলনের । আর এই ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে একটি অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ বলে মনে করা হয় । মূলত স্বাধীনতার পর উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের এক এবং অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে বাংলাভাষী পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র প্রতিবাদ ও গণ আন্দোলন শুরু হয় । বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণার দাবিও ওঠে ।

এই লক্ষ্যে 1948 সালের মার্চে শুরু হয় আন্দোলন । 1952 সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্গত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সমাজকর্মীরা পাকিস্তান সরকারের ভাষা নীতির তীব্র বিরোধিতা করেন । নিজেদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করতে পথে নামেন তাঁরা । দাবি ছিল একটাই, বাংলা ভাষাকে সে দেশের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে । এই ঘটনায় 1952 সালের 21 ফেব্রুয়ারি এই আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয় । পাকিস্তানের পুলিশ গুলি চালালেও এই প্রতিবাদ আন্দোলন থামানো যায়নি । অবশেষে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে একপ্রকার বাধ্য হয় । 21 ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন চার যুবক, রফিক-বরকত-সালাম ও আব্দুল জব্বার । এরপর থেকেই এই ভাষা শহিদদের স্মরণে ওই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ঢাকা নগরী । 22 ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সর্বত্র কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় । ঢাকায় ঐতিহাসিক সর্ববৃহৎ শোকযাত্রা বের হয়েছিল এই দিনেই । 1953 সাল থেকে 21 ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ দিবস রূপে পালিত হয়ে আসছে ।

স্কুলে ভাষাদিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বীরেন পাল বলেন, "এই ভাষা দিবসে বাংলা ভাষাকে আমরা পেয়েছি অনেক লড়াই করার পর । বহু মানুষ রক্ত দিয়েছেন এই বাংলা ভাষার জন্য । আমাদের কবি ও লেখকরা লড়াই করেছেন । তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে ভাষা দিবসে আমাদের স্কুলের কচিকাচারা বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ।

আরও পড়ুন : সুরেরই ভাষা, আনন্দেরই ভাষা...

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.