চন্দ্রকোনা, 6 জুন: আগামী দিনে তৃণমূল ছাড়া এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা থাকবে না ৷ কোনও কর্মী থাকবে না ৷ শুধু থাকবে তৃণমূল ৷ প্রকাশ্য সভা মঞ্চ থেকে বিরোধীদের এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন চন্দ্রকোনার তৃণমূল বিধায়ক । এই মন্তব্যে পালটা শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই শাসক দলের বিধায়কের হুঁশিয়ারিকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ল চন্দ্রকোনায় ৷ সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার কৃষ্ণপুর গ্রামে ভগবন্তপুর-1 নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয় । 100 দিনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ ও বিভিন্ন প্রকল্প-সহ বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে বঞ্চনার অভিযোগে এ দিন মহামিছিলের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল । আর সেই মিছিলেই উপস্থিত হন চন্দ্রকোনা বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ ধাড়া ।
সেই মিছিল শেষে কৃষ্ণপুর ফুটবল মাঠে একটি পথসভারও আয়োজন করা হয় । অন্যান্য বক্তাদের পরেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে ওঠেন শাসকদলের বিধায়ক । সেখানেই তৃণমূল বিধায়ক বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন । তিনি বলেন, আগামী দিনে এই এলাকায় কোনও বিরোধীদের পতাকা থাকবে না ৷ বিরোধীদের কোনও কর্মীও থাকবে না ৷ শুধু থাকবে তৃণমূল । তাঁর দাবি, যেহেতু 365 দিন এবং সারা দিনের 24 ঘণ্টায় মানুষের সাহায্য এবং সেবায় এগিয়ে থাকে তৃণমূল । তাই এলাকায় তৃণমূল বাদে আর অন্য কোনও বিরোধী নেতা কর্মী রাখা যাবে না । তৃণমূল বিধায়কের এ হেন বক্তব্যের জেরে এলাকায় শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক তরজা । তৃণমূল বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যর বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা ।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিরোধী কোনও মহাজোট হবে না, শিলিগুড়িতে এসে দাবি মোদির
এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে বিজেপি । বিজেপির চন্দ্রকোনার মণ্ডল সভাপতি সুকান্ত দলুই বলেন, যাতে পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে না পারেন, তার জন্যই এই ধরনের হুঁশিয়ারি । মূলত একনায়কতন্ত্র কায়েম করতে চায় তৃণমূল । তবে এই হুঁশিয়ারি এড়িয়ে মানুষ মনোনয়ন জমা দেবে এবং হুঁশিয়ারির যোগ্য জবাব দেবে ।
অন্যদিকে, আইএসএফ, সিপিআইএমও এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন ৷ তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল এলাকায় এভাবেই একনায়কতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে । যা কোনওদিনই সফল হবে না ।