ETV Bharat / state

Jagadhatri Puja 2022: আড়াইশো বছর ধরে মাকে কাঁচা মাংস ও মণ্ডা দিয়ে সন্তুষ্ট করে ঘোষ পরিবার - Midnapore Ghosh Bari Jagadhatri Puja

মেদিনীপুর জেলার পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজাের মধ্যে এক ও অন্যতম হলেও ঘোষ পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো (Midnapore Ghosh Bari Jagadhatri Puja) ।

Jagadhatri Puja 2022
মেদিনীপুরের ঘোষ বাড়ির পুজো
author img

By

Published : Oct 31, 2022, 10:25 AM IST

মেদিনীপুর, 29 অক্টোবর: একসময় জমিদারি প্রথা এবং সেই জমিদারি প্রথার সুবাদে মহাসমারোহে পুজোয় আয়োজন হত (Midnapore Ghosh Bari Jagadhatri Puja) । বর্তমানেও সেই জাঁকজমক বজায় রেখেই জগদ্ধাত্রী পুজােয় মায়ের নৈবেদ্যিতে রাখা হয়েছে কাঁচা মাংস ও ছানার তৈরি বিশেষ ধরনের মণ্ডা । আজও ঘোষ পরিবারের মানুষ রীতিনীতি মেনে জগধাত্রী পুজােয় অংশগ্রহণ করেন । বংশানুক্রমিক ধরে শিল্পীরা মায়ের মূর্তি গড়েন এবং পুজো হয় মূলত তান্ত্রিক মতে ।

ঐতিহ্য সম্বলিত মেদিনীপুর জেলার পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজাের মধ্যে অন্যতম হলেও ঘোষ পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো । মূলত ঘোষ পরিবারের সদস্য দ্বারিকানাথ ঘোষ জমিদার ছিলেন । আর সেই জমিদারির উদ্দেশ্যেই মেদিনীপুরে আগমন । জমিদারি প্রথা এবং সে প্রথার সুবাদে প্রথম আরামবাগে দুর্গাপুজো শুরু করেন । সেখানেই তিনি এই জগদ্ধাত্রী পুজােরও প্রচলন করেন । এরপর এই পুজো আস্তে আস্তে উঠে আসে মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকায় । পাঁচ-ছয় পুরুষ ধরে এই ঘোষ পরিবারের পুজো চালিয়ে আসছেন বর্তমান সদস্যরা । এই পুজোতে মূল বিশেষত্বই হলো, মাকে দেওয়া হয় কাঁচা মাংস ও ছানার তৈরি বিশেষ মণ্ড । মা সন্তুষ্ট হওয়ার পর সেই ভোগ অতিথিদের দেওয়া হয় ।

আড়াইশো বছর ধরে মাকে কাঁচা মাংস ও মণ্ডা দিয়ে সন্তুষ্ট করা হয় এখানে

আরও পড়ুন: আদি থেকে আধুনিক, কলকাতার চালচিত্র চন্দননগর বড়বাজারে

দুর্গাপুজোর বিসর্জনের মাটি নিয়ে এসে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি তৈরি হয় । গত বছরের রেখে দেওয়া কাঠামোর উপর মাটির প্রলেপ দেওয়া হয় । এরপর চলে মাটির কাজ এবং রঙ । রঙের পর করা হয় দেবীর অলংকরণ । এই পুজোর ধূপ কেনা হয় না বাজার থেকে । প্রায় মাসখানেক ধরে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই তৈরি করেন এই বিশেষ ধূপ । পুজোয় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজ্য এবং দেশ-বিদেশের ছড়িয়ে থাকা এই পরিবারের প্রায় 200-250 সদস্য । এখন এই পুজো চালান পাঁচজন । প্রত্যেকের ভাগে এক এক বছর এ পুজোর দায়িত্ব পড়ে আর সেই পরিবারই এ পুজো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যান ।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রথম বারোয়ারি আজও পায়নি হেরিটেজের স্বীকৃতি

কুমারী পুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজি বলি, ছাগল বলি-সহ পুজোর রীতিনীতি এখনও মেনে চলা হয়। যদিও বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে রেখে দেওয়া হয় মায়ের মন্দিরে আর পরবর্তী বছরে সেই কাঠামোতেই মাটি লেপে আবার মূর্তি বানানো হয় মায়ের ।

বাড়ির দুই সদস্য জয়ন্ত ঘোষ ও সুদীপ্ত ঘোষ মতে, এই পুজো মূলত হয় তান্ত্রিক মতে । এই পুজোতে পাঁচটা পালিতের মধ্যে প্রত্যেকেই ভাগ করে দেওয়া হয় । প্রতিবছর একজন করে পালিত এই পুজো পরিচালনা করবে । একদম পুজো মণ্ডপ তৈরি থেকে মাইক, বাজনা, বলি আনুষঙ্গিক সমস্ত কিছুই ওই পালিতের দায়িত্ব থাকে।

মেদিনীপুর, 29 অক্টোবর: একসময় জমিদারি প্রথা এবং সেই জমিদারি প্রথার সুবাদে মহাসমারোহে পুজোয় আয়োজন হত (Midnapore Ghosh Bari Jagadhatri Puja) । বর্তমানেও সেই জাঁকজমক বজায় রেখেই জগদ্ধাত্রী পুজােয় মায়ের নৈবেদ্যিতে রাখা হয়েছে কাঁচা মাংস ও ছানার তৈরি বিশেষ ধরনের মণ্ডা । আজও ঘোষ পরিবারের মানুষ রীতিনীতি মেনে জগধাত্রী পুজােয় অংশগ্রহণ করেন । বংশানুক্রমিক ধরে শিল্পীরা মায়ের মূর্তি গড়েন এবং পুজো হয় মূলত তান্ত্রিক মতে ।

ঐতিহ্য সম্বলিত মেদিনীপুর জেলার পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজাের মধ্যে অন্যতম হলেও ঘোষ পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো । মূলত ঘোষ পরিবারের সদস্য দ্বারিকানাথ ঘোষ জমিদার ছিলেন । আর সেই জমিদারির উদ্দেশ্যেই মেদিনীপুরে আগমন । জমিদারি প্রথা এবং সে প্রথার সুবাদে প্রথম আরামবাগে দুর্গাপুজো শুরু করেন । সেখানেই তিনি এই জগদ্ধাত্রী পুজােরও প্রচলন করেন । এরপর এই পুজো আস্তে আস্তে উঠে আসে মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকায় । পাঁচ-ছয় পুরুষ ধরে এই ঘোষ পরিবারের পুজো চালিয়ে আসছেন বর্তমান সদস্যরা । এই পুজোতে মূল বিশেষত্বই হলো, মাকে দেওয়া হয় কাঁচা মাংস ও ছানার তৈরি বিশেষ মণ্ড । মা সন্তুষ্ট হওয়ার পর সেই ভোগ অতিথিদের দেওয়া হয় ।

আড়াইশো বছর ধরে মাকে কাঁচা মাংস ও মণ্ডা দিয়ে সন্তুষ্ট করা হয় এখানে

আরও পড়ুন: আদি থেকে আধুনিক, কলকাতার চালচিত্র চন্দননগর বড়বাজারে

দুর্গাপুজোর বিসর্জনের মাটি নিয়ে এসে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি তৈরি হয় । গত বছরের রেখে দেওয়া কাঠামোর উপর মাটির প্রলেপ দেওয়া হয় । এরপর চলে মাটির কাজ এবং রঙ । রঙের পর করা হয় দেবীর অলংকরণ । এই পুজোর ধূপ কেনা হয় না বাজার থেকে । প্রায় মাসখানেক ধরে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতেই তৈরি করেন এই বিশেষ ধূপ । পুজোয় অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন রাজ্য এবং দেশ-বিদেশের ছড়িয়ে থাকা এই পরিবারের প্রায় 200-250 সদস্য । এখন এই পুজো চালান পাঁচজন । প্রত্যেকের ভাগে এক এক বছর এ পুজোর দায়িত্ব পড়ে আর সেই পরিবারই এ পুজো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যান ।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রথম বারোয়ারি আজও পায়নি হেরিটেজের স্বীকৃতি

কুমারী পুজো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজি বলি, ছাগল বলি-সহ পুজোর রীতিনীতি এখনও মেনে চলা হয়। যদিও বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে রেখে দেওয়া হয় মায়ের মন্দিরে আর পরবর্তী বছরে সেই কাঠামোতেই মাটি লেপে আবার মূর্তি বানানো হয় মায়ের ।

বাড়ির দুই সদস্য জয়ন্ত ঘোষ ও সুদীপ্ত ঘোষ মতে, এই পুজো মূলত হয় তান্ত্রিক মতে । এই পুজোতে পাঁচটা পালিতের মধ্যে প্রত্যেকেই ভাগ করে দেওয়া হয় । প্রতিবছর একজন করে পালিত এই পুজো পরিচালনা করবে । একদম পুজো মণ্ডপ তৈরি থেকে মাইক, বাজনা, বলি আনুষঙ্গিক সমস্ত কিছুই ওই পালিতের দায়িত্ব থাকে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.