ঝাড়গ্রাম 20 ই অক্টোবর : গ্রামপঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মাওবাদী পোস্টার পড়ল জঙ্গলমহলে । আজ জামবনি থানার বালিজুড়ি গ্রামে লাল কালিতে লেখা পোস্টারগুলি উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম পুলিশ ।
পোস্টারগুলিতে লাল কালিতে লেখা ছিল, "কাপগাড়ি অঞ্চলের চোরদের খতম তালিকা- 1. প্রধান (1 কোটি টাকার দুর্নীতি ) 2. ইঞ্জিনিয়ার । অন্য একটি পোস্টারে লেখা ছিল- "মাওবাদী আছে সারাজীবন থাকবে" ।
মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারের খবর পেয়ে জামবনি থানার পুলিশ সকালেই সেগুলি উদ্ধার করে । যদিও ঝাড়গ্রাম জেলার এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের কথায়, এগুলি মাওবাদীদের কাজ নয় । স্থানীয় কয়েকজন এরকম পোস্টার দিয়ে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ।
এর আগে 15 অগাস্ট বেলপাহাড়ি, বাঁকশোল ও শালতল গ্রাম সহ একাধিক জায়গায় মাওবাদীদের নামে পোস্টার উদ্ধার হয় । যেগুলিতে 15 অগাস্টকে কালা দিবস পালনের আর্জি জানানো হয়েছিল । তার কয়েকদিন পরই বেলপাহাড়ি থানা থেকে মাত্র দু'কিলোমিটার দূরে হড়দা মোড়ে এক কন্ট্রাক্টরকে কাজ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে পোস্টার পড়ে । তার কয়েকদিনের মধ্যেই বেলপাহাড়ির বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ণাপানি গ্রামে এক ব্যবসায়ীর কাছে টাকা চেয়ে মাওবাদীদের নামে চিঠি যায়।
অভিযোগ, রাতে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলিও চালানো হয়েছিল । কয়েকদিন আগে বেলপাহাড়ির ঢাঙ্গিকুসুমে কয়েকজন পর্যটক বেড়াতে গেলে তারা নাকি সশস্ত্র সাত মাওবাদীর মুখোমুখি হয় । কেড়ে নেওয়া হয় তাদের মোবাইল ফোন । এরকমই গুজব রটেছিল । তারপরই ঝাড়গ্রামে আসেন রাজ্য পুলিশের DG বীরেন্দ্র । ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি ঢাঙ্গিকুসুম গ্রামের ওই পর্যটক স্থানটি পরিদর্শনে যান । 7 অক্টোবর ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তিনি অবশ্য সেদিন দাবি করেছিলেন কয়েকজন টাকার বান্ডিল নিয়ে এই এলাকায় মাওবাদী ঢুকিয়ে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ।