চন্দ্রকোনা, ১২ মার্চ: প্রতিবছর বন্যায় নদীর পাড় ধসে শিলাবতীর গ্রাসে চলে গিয়েছে বহু বসতবাড়ি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের ভগবন্তপুর চৈতন্যপুর গ্রামর মানুষজন এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন। তাঁদের দাবি, কংক্রিটের নদীর পাড় করতে হবে (Public Demands Concrete Repaire Bank In Chandrakana)।
শিলাবতী নদীর ধারেই অবস্থিত এই চৈতন্যপুর গ্রামে বছর কুড়ি আগে ১২০০ পরিবারের বসবাস ছিল । প্রতিবছর বন্যায় শিলাবতী নদীর পাড় ধসে গিয়ে বহু বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে গিয়েছে ৷ বর্তমানে চৈতন্যপুর গ্রামে ৫০০-৬০০ পরিবারের বাস। নদীর ভাঙনের জেরে অনেকেই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন। সেই বাম আমল থেকেই নদী বাঁধ ভাঙনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করে এসেছেন এলাকাবাসী ৷ কিন্তু ভাঙন ঠেকাতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি সরকার, এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের। এবারও পরপর চারটি ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হয়েছে চন্দ্রকোনার এই চৈতন্যপুর এলাকা।
তবে বর্তমানে ৮৬ লক্ষ টাকা খরচ করে সেই নদী ভাঙন রোধে পাড় মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। বহু বছর পর সরকার নদী ভাঙন রোধে উদ্যোগী হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দা ৷ কিন্তু তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয়ে তাঁরা।
আরও পড়ুন: বাঁধের ছাড়া জল এর্নাকুলামে পৌঁছাতেই পেরিয়ারের পাড়ে সতর্কতা জারি
এলাকাবাসীর দাবি, বহু বছর ধরে এই নদীর পাড় ধসে গভীর খাদে পরিণত হয়েছে ,নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে কংক্রিট বাঁধ দিতে হবে। এবিষয়ে ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, ‘'এবারে পরপর চারটি বন্যা হয়েছিল ৷ যার জেরে নদী বাঁধগুলি সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়েছিল ৷ গ্রামবাসীর কংক্রিট বাঁধের দাবি আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জানাব।'’
বর্ষার মরশুম এলে বন্যায় কতটা কার্যকরী হয় লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে সেচ দফরের এই নদী পাড় মেরামতের কাজ, সেটাই দেখার।