ঘাটাল, 5 জানুয়ারি: স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে ৷ এই সন্দেহে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ৷ বৃহস্পতিবার মাঝরাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে ৷ পুলিশ মৃত বাসন্তী পণ্ডিতের (35) দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেরা চলছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার কাটান এলাকার বাসিন্দা শ্রীবাস পণ্ডিত থানায় এসে জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন ৷ এ কথা শুনে দ্রুত পুলিশের একটি দল কাটান এলাকায় অভিযুক্ত শ্রীবাস পণ্ডিতের বাড়িতে যান ৷ সেখানে ঘরের মধ্যে পড়ে থাকা বাসন্তী পণ্ডিতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান তদন্তকারীরা ৷ এর পর শ্রীবাসকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷ অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল ৷ সেই সন্দেহে ঘুমের মধ্যেই বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলেছেন তিনি ৷
কিন্তু, প্রতিবেশী এবং শ্রীবাসের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর কোনও ঝগড়া-অশান্তি ছিল না ৷ দাম্পত্য কলহ সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাঁরা ৷ তাহলে, হঠাৎ করে কী এমন হল ? যাতে শ্রীবাস পণ্ডিত তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহেই খুন করে ফেললেন ! পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টিতে অন্য কোনও কারণও থেকে থাকতে পারে ৷ তাই সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শ্রীবাস পণ্ডিতের মা কমলা পণ্ডিত দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে মানসিকভাবে সুস্থ নন ৷ এর জন্য নাকি নিয়মিত ওষুধ খান শ্রীবাস ৷ পুলিশ এই দিকটিও তদন্ত করে দেখছে ৷ অন্যদিকে, মৃত বাসন্তী পণ্ডিতের বোন শ্রাবন্তী পারুইয়ের অভিযোগ, শ্রীবাস এর আগেই তাঁর স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেই সময় তাঁর দিদি প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন ৷ শ্রাবন্তীর দাবি, "যদি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে দু’জনের মধ্যে অশান্তি হত, তাহলে তাঁরা বসে আলোচনা করতে পারতেন ৷ কিন্তু, তা না করে দিদিকে খুন করল ৷ আমি জামাইবাবুর কঠিন শাস্তি চাই ৷"
আরও পড়ুন: