চন্দ্রকোনা, 14 ডিসেম্বর: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খিচুড়িতে টিকটিকি পড়ার অভিযোগ ৷ সেই খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ পড়ে একাধিক শিশু ৷ ক্ষীরপাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 30 জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিডিও ও পুলিশ ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের লোড়পুর এলাকার এই ঘটনায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক ৷
এক শিশুর অভিভাবকের অভিযোগ, "খিচুড়িতে টিকিটিকি পড়েছিল ৷ অনেকে বমি করেছে ৷ হাসপাতালে এসে ওষুধ দেওয়া হয়েছে বাচ্চাকে ৷ এখন সুস্থ আছে ৷" ক্ষীরপাই হাসপাতালের বিএমওএইচ নিরঞ্জন কুতি বলেন, "অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাচ্চাদের যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তাতে কিছু একটা পড়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকজন বমি করেছে ৷ কিছুজন বাড়িতে রয়েছে, কিছু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৷ প্রত্যেককেই নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। যে বাচ্চারা একটু ভালো আছে, তাদের ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে ৷"
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা পূর্ণিমা মণ্ডলের দাবি, প্রত্যেকেই টিফিন বন্ধ করে খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিল বাড়িতে। যদি কেন্দ্রে খাবারে টিকটিকি পড়ত তাহলে তা নজরে আসত ৷ তাই বাড়িতেও টিকটিকি পড়তে পারে। ব্লক বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস জানান, সবাই সুস্থ আছে ৷ অবজারভেশনে রয়েছে। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভয়ের কোনও কারণ নেই
তবে গোটা ঘটনায় ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধেই একাধিক অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা ৷ তাঁদের অভিযোগ, লোড়পুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে অন্যান্য দিনের মতো বৃহস্পতিবারও খিচুড়ি রান্না হয়েছিল। সেই খিচুড়ি টিফিন বক্সে করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাবার সময় এক অভিভাবক দেখতে পান সিদ্ধ হওয়া বড় একটি টিকটিকি। আর তাতেই জানাজানি হতেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
সেই খিচুড়ি খেয়ে নিয়েছিল অনেক অভিভাবক ও শিশু। এমনকি, কয়েকজন বমি করতেও শুরু করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থ শিশুদের ক্ষীরপাই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে দৌড়ে যান চন্দ্রকোনা 1 নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস। এছাড়াও হাসপাতালে উপস্থিত হন রামজীবনপুর ফাঁড়ির আইসি রাজকুমার দাস, ক্ষীরপাই ফাঁড়ির আইসি গোবর্ধন সাহু ।
আরও পড়ুন
1. 6 বছরের শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা ! অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পাওয়ায় কান্নায় ভাসলেন বাবা
2. প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণে 'বেড়া ভেঙে শিক্ষাকেন্দ্র' রাজ্যের যৌনপল্লিগুলিতে
3. বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ছেলে, প্রসাদ-গঙ্গাজল খেয়ে মহাদেবের দরবারে জীবনযাপন বৃ্দ্ধার!