শালবনি, 26 মে : শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে কুড়মিদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ তাঁর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা ৷ ঘটনার জেরে মাঝপথে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থমকে যায় অভিষেকের গাড়ি ৷ বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ির কাঁচও ভেঙে দেয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছে অভিষেকের নিরাপত্তা নিয়ে ৷ শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে কর্মসূচি রয়েছে অভিষেকের ৷ সেখানেও বিক্ষোভ দেখানোর কথা কুড়মিদের ৷
তবে শুক্রবারের ঘটনা প্রসঙ্গে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুমন মাহাতো বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি যারা ভাঙচুর করেছে তারা ঘাঘর ঘরা কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে যুক্ত নয় ৷ এটা প্রশাসনের ব্যর্থতা ৷ আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ অনুসারে এই সমাজের মানুষরা নির্দিষ্ট পয়েন্টে থেকেই তাকে ঘাগর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছিল কিন্তু তারপরও পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা বলতে পারব না । এটা সম্পূর্ণভাবে পুলিশের ব্যর্থতা এবং পুলিশই এটাকে অন্যদিকে চালনা করেছে ।"
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান ৷ এত পুলিশ, রাজ্যের গোয়েন্দাদের তৎপরতা থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা কী করে ঘটে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাঘর ঘেরা কেন্দ্রীয় কমিটি ৷ পুলিশের উপস্থিতিতে জেড প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাওয়া একজনের কনভয়ে এই ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷
আরও পড়ুন: অভিষেকের কনভয়ে কুড়মিদের হামলা, মুখ্যসচিবকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বিষয়টিকে পুলিশের ব্যর্থতা বলে দাবি করেছেন মেদিনীপুরের কুড়মি নেতারা । আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়েছেন, শনিবারও তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘাঘর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন ৷ উল্লেখ্য, এদিন ঢিল, বাঁশ,পাথর নিয়ে অভিষেকের কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে কুড়মি বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ৷ মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার দাবি, এটা জাতিগত আন্দোলন নয় ৷ কুড়মি নেতাদের এই আন্দোলনে নোংরামো হচ্ছে ৷ এদিনের ঘটনার দায় কুড়মি নেতাদের নিতে হবে ৷