চন্দ্রকোনা, 7 সেপ্টেম্বর : পুজোর বাকি আর একমাস ৷ তার মধ্যেই পুজো উদ্যোক্তাদের অর্ডার মতো প্রতিমা জোগান দিতে হবে ৷ তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত চন্দ্রকোণা 1 নং ব্লক ক্ষীরপাই পৌরসভার 1 নং ওয়ার্ডের নুনেবাজার এলাকা ৷ বহু পুরানো এই কুমোরটুলি থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা যায় ৷
বিগত বছরের তুলনায় বরাত বেড়েছে শেষবেলায় ৷ অন্তত এমনটাই জানাচ্ছেন নুনেবাজার এলাকার মৃৎশিল্পীরা ৷ ফলে পুজোর ঠিক আগে উদ্যোক্তাদের প্রতিমা প্রস্তুত করে ডেলিভারি দেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে অজিত বাগ, বাদল মালিক ও নবকুমার রায়দের । প্রতি বছর বৈশাখ মাসের শেষ দিক থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু এ বছর শ্রাবণ মাসের শেষ থেকে মূর্তি তৈরির বরাত আসছে ।
তাই পটুয়াপাড়ায় এখন মূর্তি তৈরির ব্যস্ততা ৷ রাত 1টা দেড়টা পর্যন্ত চলছে প্রতিমা তৈরি ৷ করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে এবার পুজোর বাজেটেও কাটছাঁট করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা ৷ তাই কম বাজেটের ছোট প্রতিমার দিকেই ঝুঁকছেন অধিকাংশ উদ্যোক্তা ৷ 80-90 হাজার টাকা বাজেটের পুজো এসে দাঁড়িয়েছে 30-35 হাজারে ৷
মূল্যবৃদ্ধির বাজারে তাই বরাত পেয়েও লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না মৃৎশিল্পীরা ৷ তবু পেটের তাগিদে বংশপরম্পরায় চলে আসা এই কাজকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এখানকার পাঁচ-ছটি পরিবার ৷ তাই দেরিতে হলেও বায়না আসতে থাকায় পেশার তাগিদে নির্ধারিত সময়ে উদ্যোক্তাদের হাতে প্রতিমা তুলে দিতে জোরকদমে করছেন প্রতিমা তৈরির কাজ ।
মূর্তি তৈরি করলেও তৃতীয় ঢেউয়ের ভয় তাঁদের মনের মধ্যে রয়েই গিয়েছে ৷ পুজোর আগেই যদি তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে মূর্তির বরাত বাতিল করে দেন উদ্যোক্তারা, তার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা ৷ সকলেই চাইছেন ভালই ভালই কেটে যাক বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব ৷
আরও পড়ুন : Durga Puja in Kolkata : ঢাকি থেকে পুরোহিত, ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক আবাসনের পুজোয়