ETV Bharat / state

Hans Albert Einstein award: নদী নিয়ে গবেষণায় আমেরিকার বিরল সম্মান খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপককে - হান্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইন পুরস্কার

নদী নিয়ে গবেষণার জন্য আমেরিকার বিরল সম্মান হান্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইন পুরস্কার (Hans Albert Einstein award) পেতে চলেছেন খড়গপুর আইআইটির (Kharagput IIT professor gets hans albert einstein award) অধ্যাপক শুভাশিস দে ৷ তিনিই প্রথম ভারতীয় যিনি এই পুরস্কার পাচ্ছেন ৷

Kharagput IIT professor is first Indian who is getting hans albert einstein award
নদী নিয়ে গবেষণায় আমরিকার বিরল সম্মান খড়গপুর আইআইটি-র অধ্যাপককে
author img

By

Published : Feb 10, 2022, 4:02 PM IST

খড়গপুর, 10 ফেব্রুয়ারি: বিজ্ঞানী হান্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের (Hans Albert Einstein award) মৃত্যু হয় 1973 সালে । তাঁর নদীপথ ও পণ্য পরিবহণের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে 1988 সাল থেকে নদী বিষয়ক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গবেষণাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে । গত 35 বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিজ্ঞানী এই পুরস্কার (Kharagput IIT professor is first Indian who is getting hans albert einstein award) পাচ্ছেন । স্রোতস্বিনীর প্রবাহপথের অপার রহস্য এবং সভ্যতাকে রক্ষার বিষয়ে সুদীর্ঘ 30 বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে অধ্যাপক শুভাশিস দে এই বিরল পুরস্কারে সম্মানিত হবেন । চলতি বছরের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আইআইটি খড়গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শুভাশিস দেকে ।

বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর অব্যক্ত গ্রন্থে ভাগীরথীর উৎস সন্ধানের কথা বর্ণনা করেতে গিয়ে বলেছেন, "নদীকে আমার একটি গতি পরিবর্তনশীল জীব বলিয়া মনে হইত ।" তাঁর সেই অব্যক্ত প্রকাশিত (1921) হওয়ার পর ঠিক 100 বছর পরে আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী সারা বিশ্বকে জানালেন, কীভাবে নদীর গতিপথের খামখেয়ালিপনায় বন্যা হয় । ভেঙে যায় সেতু, নিমজ্জিত হয় সভ্যতা । কীভাবেই বা এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের গবেষণায় । গত 30 বছর ধরে নদীর গতি রহস্যময়তা মূলক গবেষণায় নিয়োজিত থেকে আইআইটি খড়্গপুরের (Kharagpur IIT) বিজ্ঞানী অধ্যাপক শুভাশিস দে নিজের মুকুটে জুড়তে চলেছে হান্স আ্যলবার্ট আইনস্টাইন পুরস্কার ।

আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটিতে পরিচারিকা থেকে সবজি বিক্রেতা, সবাইকে ভ্যাকসিন

জগদ্বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সুযোগ্য সন্তান তথা প্রকৃতি বিজ্ঞানী হান্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের নামে 1988 সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে । পুরস্কার প্রদান করা হয় 'আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস' (ASCE/ American Society of Civil Engineers)-এর পক্ষ থেকে । ভারত থেকে এই প্রথমবার কোনও বিজ্ঞানী এই পুরস্কার পেলেন । স্বভাবতই এই খবর শুধু আইআইটি খড়্গপুর নয়, সারা দেশের কাছেই গর্বের ।

আইআইটি খড়গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথিতযশা গবেষক ও অধ্যাপক ড. শুভাশিস দে সাংবাদিকদের বলেন, "নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীর ভাঙন, বন্যায় সেতু ভেসে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকেই পরিকাঠামো উন্নত করা যায় । কীভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলে ও পদ্ধতিতে সড়ক, সেতু প্রভৃতি গড়া যায়, তা নিয়ে আমি গত তিন দশক ধরে কাজ করে চলেছি ।" তিনি আরও বলেন "আমার এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার অন্যতম ঈর্ষণীয় প্রতিষ্ঠান আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস (American Society of Civil Engineers)। নিঃসন্দেহে সম্মানিত বোধ করছি । নদী ভাঙন ও নদীর গতিপথ নিয়ে আমার সারা জীবনের কাজ স্বীকৃতি পেল । এই বয়সেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি ।"

আরও পড়ুন: আইআইটি-এর সমস্ত গেট খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

খড়গপুর, 10 ফেব্রুয়ারি: বিজ্ঞানী হান্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের (Hans Albert Einstein award) মৃত্যু হয় 1973 সালে । তাঁর নদীপথ ও পণ্য পরিবহণের কাজের প্রতি সম্মান জানিয়ে 1988 সাল থেকে নদী বিষয়ক বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গবেষণাগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে । গত 35 বছরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় বিজ্ঞানী এই পুরস্কার (Kharagput IIT professor is first Indian who is getting hans albert einstein award) পাচ্ছেন । স্রোতস্বিনীর প্রবাহপথের অপার রহস্য এবং সভ্যতাকে রক্ষার বিষয়ে সুদীর্ঘ 30 বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে অধ্যাপক শুভাশিস দে এই বিরল পুরস্কারে সম্মানিত হবেন । চলতি বছরের জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা শহরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির থেকে এই পুরস্কার নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আইআইটি খড়গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শুভাশিস দেকে ।

বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু তাঁর অব্যক্ত গ্রন্থে ভাগীরথীর উৎস সন্ধানের কথা বর্ণনা করেতে গিয়ে বলেছেন, "নদীকে আমার একটি গতি পরিবর্তনশীল জীব বলিয়া মনে হইত ।" তাঁর সেই অব্যক্ত প্রকাশিত (1921) হওয়ার পর ঠিক 100 বছর পরে আরেক বাঙালি বিজ্ঞানী সারা বিশ্বকে জানালেন, কীভাবে নদীর গতিপথের খামখেয়ালিপনায় বন্যা হয় । ভেঙে যায় সেতু, নিমজ্জিত হয় সভ্যতা । কীভাবেই বা এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে, তাও তিনি জানিয়েছেন নিজের গবেষণায় । গত 30 বছর ধরে নদীর গতি রহস্যময়তা মূলক গবেষণায় নিয়োজিত থেকে আইআইটি খড়্গপুরের (Kharagpur IIT) বিজ্ঞানী অধ্যাপক শুভাশিস দে নিজের মুকুটে জুড়তে চলেছে হান্স আ্যলবার্ট আইনস্টাইন পুরস্কার ।

আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটিতে পরিচারিকা থেকে সবজি বিক্রেতা, সবাইকে ভ্যাকসিন

জগদ্বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের সুযোগ্য সন্তান তথা প্রকৃতি বিজ্ঞানী হান্স অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের নামে 1988 সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে । পুরস্কার প্রদান করা হয় 'আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস' (ASCE/ American Society of Civil Engineers)-এর পক্ষ থেকে । ভারত থেকে এই প্রথমবার কোনও বিজ্ঞানী এই পুরস্কার পেলেন । স্বভাবতই এই খবর শুধু আইআইটি খড়্গপুর নয়, সারা দেশের কাছেই গর্বের ।

আইআইটি খড়গপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথিতযশা গবেষক ও অধ্যাপক ড. শুভাশিস দে সাংবাদিকদের বলেন, "নদীর গতিপথ পরিবর্তন, নদীর ভাঙন, বন্যায় সেতু ভেসে যাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণালব্ধ জ্ঞান থেকেই পরিকাঠামো উন্নত করা যায় । কীভাবে সুরক্ষিত অঞ্চলে ও পদ্ধতিতে সড়ক, সেতু প্রভৃতি গড়া যায়, তা নিয়ে আমি গত তিন দশক ধরে কাজ করে চলেছি ।" তিনি আরও বলেন "আমার এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চার অন্যতম ঈর্ষণীয় প্রতিষ্ঠান আমেরিকান সোসাইটি অফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারস (American Society of Civil Engineers)। নিঃসন্দেহে সম্মানিত বোধ করছি । নদী ভাঙন ও নদীর গতিপথ নিয়ে আমার সারা জীবনের কাজ স্বীকৃতি পেল । এই বয়সেও কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পাচ্ছি ।"

আরও পড়ুন: আইআইটি-এর সমস্ত গেট খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.