খড়গপুর, 12 জানুয়ারি: শিশুপাচার বিরোধী অভিযানে এল বড় সাফল্য ৷ মুজফফরপুর-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস (muzaffarpur yesvantpur express) থেকে 13 জন নাবালককে (minors recovered from train) উদ্ধার করল রেল পুলিশ । অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা ৷ তাকে আটক করা হয়েছে ৷ সে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে শিশুগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিল বলে জেরায় জানতে পেরেছে খড়্গপুরের আরপিএফ বাহিনী (kharagpur RPF)৷
একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুজফফরপুর-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস থেকে 13 জন নাবালককে উদ্ধার করা হয় ৷ মঙ্গলবার দুপুর 1.09-এ 15228 যশবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি খড়্গপুর স্টেশনের 1নং প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনো মাত্রই আরপিএফ বাহিনী, জিআরপি আধিকারিক এবং চাইল্ড লাইনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ট্রেনের ডি-1 ও ডি-2 কামরায় অভিযান চালায় । সেই অভিযানে ডি-1 কোচের বাথরুমের সামনে বসে থাকা এক সন্দেহভাজন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং গড়গড় করে সত্যি বলা শুরু করে ।
আরও পড়ুন: চাকরির খোঁজে বাড়ি পালানো ৫ শিশু উদ্ধার গুয়াহাটিতে
প্রভু কুমার (21) নামে বিহারের মাধেপুরার বাসিন্দা ওই যুবককে আটক করা হয়েছে ৷ ওই কোচে তল্লাশি চালিয়ে 13 জন নাবালককে উদ্ধার করা হয় । উদ্ধার হওয়া নাবালকেরা বিহারের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা । জেরার মুখে প্রভু কুমার স্বীকার করে যে, বিহারের কাটিহার জাংশন থেকে 13 জন নাবালককে নিয়ে সে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজামান্ড্রি'র উদ্দেশে যাচ্ছিল । এই নাবালকদের শিশুশ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেওয়াই তার উদ্দেশ্য ছিল বলে জানিয়েছে প্রভু কুমার ।
গত 10 জানুয়ারি সোমবার খড়্গপুরের আরপিএফ বাহিনীর কাছে গোপন সূত্র মারফৎ খবর আসে । তাই 11 জানুয়ারি তারা সদলবলে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন বাহিনীর আধিকারিকরা । জানিয়ে রেখেছিলেন খড়্গপুর জিআরপি থানার পুলিশ এবং খড়্গপুর চাইল্ড লাইনের আধিকারিকদের । এরপর ট্রেন খড়্গপুর স্টেশনে পৌঁছতেই যৌথ অভিযান শুরু হয় । নেতৃত্বে ছিলেন খড়্গপুর আরপিএফ-এর এসআই এস সি সোয়েন, এসআই বিকাশ কুমার প্রমুখ ।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক “চাইল্ড ট্রাফিকিং" রুখল BSF, উদ্ধার 3 নাবালক
উদ্ধার হওয়া নাবালকদের মধ্যে 8 জনই বিহারের কাটিহার জেলার বাসিন্দা । বাকিদের মধ্যে 3 জন বেগুসরাই, 1 জন সমস্তিপুর এবং 1 জন খাগাড়িয়ার বাসিন্দা । প্রত্যেকের বয়স 12 থেকে 17'র মধ্যে । জেরায় প্রভু স্বীকার করেছে, ওই কিশোরদের মাসিক 13 হাজার টাকা বেতনে শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করার কথা হয়েছিল ।