খড়গপুর, 18 এপ্রিল : প্রয়োজনীয় কাজে খড়গপুর ক্যাম্পাসে ঢোকা ব্যক্তিদের জীবাণুমুক্ত করার জন্য একটি টানেল তৈরি করল IIT। ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে টানেলটি বসানো হয়েছে । ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারে থাকা ওই টানেলটির মধ্যে ঢুকতে হচ্ছে প্রত্যেককে । উচ্চচাপের বায়ু থেকে তাঁর উপর স্প্রে হচ্ছে জীবাণুনাশক দ্রবণ । তারপর তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন ।
এই টানেলের মাধ্যমে পোশাক স্যানিটাইজ় হওয়ার পাশাপাশি জুতোও স্যানিটাইজ়়ড হয়ে যাবে । বাজারজাতর জন্য এই টানেলটির দাম নির্ধারিত হয়েছে চার লাখ টাকা । অধ্যাপক মিহির সরঙ্গি সহ বিভিন্ন বিভাগের অনুষদ কর্মচারীরা এই অটোমেটেড স্প্রে টানেলটি তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন । এই টানেলটি স্বয়ংক্রিয় । একজন ব্যক্তি এই টানেলের মধ্যে প্রবেশ করলে তাঁর সারা শরীর স্যানিটাইজ়ড হবে ।
এই স্যানিটারি টানেলটি তৈরি করতে এক সপ্তাহের কম সময় নিয়েছে IIT । পুরোপুরি দেশীয় পদ্ধতিতে নির্মিত হয়েছে এটি । প্রত্যেকে সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ়ড হওয়ার পর ক্যাম্পাসে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন । এই টানেলটিকে যাতে বাণিজ্যিক রূপে ব্যবহার করা যায় সেইভাবেই তৈরি করা হয়েছে । দাম নির্ধারিত হয়েছে চার লাখ টাকা । IIT খড়গপুরের পরিচালক অধ্যাপক বীরেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, "আমাদের ক্যাম্পাসটি একটি মিনি টাউনশিপের মতো । বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয়তার জন্য স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা প্রোটোকলগুলির স্বয়ংক্রিয়তা প্রয়োজন । বিশেষ করে পরিষেবা সরবরাহকারী যাঁরা প্রতিদিন তাঁদের বাড়ি থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাসে আসছেন, আবার তাঁদের সংস্পর্শে আসতে হচ্ছে যাঁদের সেইসব মানুষের এই ধরনের স্বয়ংক্রিয় টানেলের খুবই প্রয়োজনীয়তা রয়েছে । যাঁরা এই টানেলটি তৈরি করার কাজে নিযুক্ত ছিলেন তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি এটি তৈরি করেছেন । তাঁদেরকে আমরা অভিনন্দন জানাই ।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "কোরোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এই জাতীয় আরও নতুন ধরনের সিস্টেম আনতে চলেছে IIT । আগামীদিনে COVID-19-এর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে আসা হবে ।" এই মহামারী রোধে IIT-র সঙ্গে অন্যান্য সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি ।