মেদিনীপুর, 6 জুলাই: প্রচারে বেরিয়ে সৌজন্যের বার্তা তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার। বৃহস্পতিবার শেষদিন পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে গত পঞ্চায়েতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সুজিত ঘোষের বাড়ি গেলেন বিধায়ক ৷ তাঁর পাশে থাকার আশ্বাসও দিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, "পারলে ক্ষমা করে দেবেন আমাদের। তবে আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর আর কোনও ধরনের ঘটনা ঘটবে না ৷"
প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, 2018 সালে এইরকমই এক পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদলের কর্মী ও সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপি সমর্থক সুজিত ঘোষ (60) ৷ আগুন ভাঙার চক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা টাঙ্গি, বল্লম দিয়ে তাঁকে মারধর করে। ঘটনা পরবর্তী সময়ে এখন প্যারালাইসিড হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন সুজিত বাবু। পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও না দোষীরা শাস্তি পেয়েছে, আক্রান্ত না-পেয়েছেন কোনও সাহায্য। এদিন প্রচারে বেরিয়ে শেষ লগ্নের দিকে এই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হওয়ার হাজির হন জুন মালিয়া।
আক্রান্ত বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি তাঁর বাড়ির লোকদের বলেন, "এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কিন্তু যখন ঘটনাটি ঘটেছে তখন তিনি বিধায়ক ছিলেন না। 2021 সালের দায়িত্ব পাওয়ার পর এই তাঁর প্রথম পঞ্চায়েত ভোট নির্বাচন। আমি আমার দলের সবার হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলাম, পারলে আমাকে আপনারা ক্ষমা করে দেবেন।" যদিও এই ঘটনায় আক্রান্ত সুজিত ঘোষের ছেলে আশিস ঘোষ বলেন, "দীর্ঘ পাঁচ বছর বাবা শাসকদলের কর্মীদের দ্বারা আক্রান্ত প্যারালাইসিড হয়ে বাড়িতে পড়ে রয়েছেন। না-পেয়েছে দোষীরা শাস্তি, না-পেয়েছি কোনও ক্ষতিপূরণ। আজকের তৃণমূলের মিছিলেও দেখলাম সেই অভিযুক্তরা ঘুরে বেড়াচ্ছে ।"
তিনি আরও বলেন, "তবে মারের বদলা কখনও মার হতে পারে না। আমরা শান্তি চাই। তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়া আশ্বাস দিয়েছেন আর এই ধরনের ঘটনা এলাকায় ঘটবে না।" প্রসঙ্গত, এদিন কালগাং মালিয়াড়াতে প্রচারে আসেন তৃণমূলের বিধায়ক জুন মালিয়া। মূলত এই পঞ্চায়েত ভোটে তিনি কোনওরকম হিংসা পছন্দ করেন না বলে বার্তা দেন মানুষের কাছে। যদিও শেষ পর্বে জুন মালিয়া মেদিনীপুর, শালবনি-সহ ভিন্ন এলাকাতেও প্রচারে যান পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থীদের হয়ে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ পূর্ব মেদিনীপুর, কার দখলে থাকবে জেলা পরিষদ ?