ETV Bharat / state

কদমার টানে তুলসীচারার মেলায় ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ

author img

By

Published : Jan 24, 2020, 12:37 PM IST

Updated : Jan 24, 2020, 2:57 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুরের তুলসীচারার মেলায় নজর কাড়ছে জিভে জল আনা কদমা মিষ্টি ৷ প্রতিবারের মতো এবারেও এই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে ৷

kodma
কদমা মিষ্টি

মেদিনীপুর, 24 জানুয়ারি: আকারে কমলালেবুর মতো ৷ রং দুধ সাদা ৷ স্বাদেও জিভে জল আনবে ৷ কদমা মিষ্টি ৷ আর এই মিষ্টির চাহিদাই এখন তুঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের তুলসীচারার মেলায় ৷

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর আশপাশের এলাকার মানুষের প্রিয় মিষ্টির তালিকায় এটিই প্রথম ৷ স্বাদে এবং চেহারায় দুইয়েই অসাধারণ এই মিষ্টি ৷ 20 গ্রাম থেকে শুরু করে 1 কেজির কদমার চাহিদা সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের মধ্যে ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় গ্রামীণ মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সবংয়ের তুলসীচারার মেলা ৷ এই মেলা খ্যাত কদমা মিষ্টির জন্য ৷ কারণ এই মেলাতেই একমাত্র মেলে কদমা মিষ্টি ৷ জেলার আর কোথাও এই মিষ্টির প্রচলন নেই ৷ তাই মেলার মূল আকর্ষণ এই মিষ্টিকে ঘিরে ৷ মেলা থেকে আর যে যাই কিনুক না কেন কম বেশি প্রত্যেকে এই মিষ্টি কেনেন ৷

এই মিষ্টির বিশেষত্ব কী?

চিনির রস ফুটিয়ে ফুটিয়ে তৈরি হয় এই মিষ্টি ৷ আকারে কমলালেবুর মতো ৷ রং দুধ সাদা ৷ 20 গ্রাম থেকে শুরু করে 1 কেজিরও বেশি হয় কদমা ৷ মূল আকার গোল হলেও মিষ্টি প্রস্তুতকারীরা বিভিন্ন আকারের তৈরি করে থাকেন ৷ পাখি,গাছ, ঘট ইত্যাদি আকার তৈরি করে পসরা সাজান তাঁরা ৷ মিষ্টির ভেতরের অংশ ফাঁপা হওয়ায় ওজনও খুব কম ৷ তাই কেজিতে মিষ্টির সংখ্যা অনেকগুলোই হয় ৷ প্রায় 10 দিন ধরে চলা এই মেলায়, প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসেন ৷ মেলার এই ক'দিন কদমার চাহিদাও থাকে প্রচুর, জানালেন বিক্রেতারা ৷ প্রতিবছরের মতো এবছরও কদমার চাহিদা সাধারণ মিষ্টির তুলনায় অনেক বেশি ৷

কদমা বিক্রি হচ্ছে দেদার, দেখুন ভিডিয়ো

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর দুইপারে বসে এই মেলা ৷ নদীর উত্তর দিক পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের অন্তর্গত ৷ দক্ষিণ দিক পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের অন্তর্গত ৷ একটি তুলসীচারাকে কেন্দ্র করে বসে এই মেলা ৷ সম্ভবত সেই কারণেই এই মেলার নাম হয়েছে এই তুলসীচারা ৷ অনেকেই এই মেলাকে কোলন্দা মেলাও বলে থাকেন ৷ কারণ কোলন্দা গ্রামে এই মেলা বসে ৷

কথিত আছে প্রায় 500 বছরেরও আগে, এক সন্ন্যাসী এই নদীর ধারে একটি তুলসী গাছ লাগিয়ে পুজো করতেন ৷ নিত্য গাছের গোড়ায় মাটি দিতেন তিনি ৷ সন্ন্যাসী দেহত্যাগ করার পর গ্রামবাসী সেই তুলসী চারায় পুজো করতে শুরু করেন ৷ গাছের গোড়ায় মাটিও দিতে থাকেন তাঁরা ৷ পরে এই প্রথা আরও বাড়তে থাকে ৷ গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে শুরু হয় মানত করা ৷ প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তি তথা মকর সংক্রান্তিতে তুলসী চারায় মাটি দিয়ে শুরু হয় মেলা ৷ সেই থেকে মেলা আজও চলে আসছে ৷ লণ্ঠন থেকে বিদ্যুতের আলোয় সেজে ওঠে তুলসীচারার মেলা ৷

মেদিনীপুর, 24 জানুয়ারি: আকারে কমলালেবুর মতো ৷ রং দুধ সাদা ৷ স্বাদেও জিভে জল আনবে ৷ কদমা মিষ্টি ৷ আর এই মিষ্টির চাহিদাই এখন তুঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের তুলসীচারার মেলায় ৷

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর আশপাশের এলাকার মানুষের প্রিয় মিষ্টির তালিকায় এটিই প্রথম ৷ স্বাদে এবং চেহারায় দুইয়েই অসাধারণ এই মিষ্টি ৷ 20 গ্রাম থেকে শুরু করে 1 কেজির কদমার চাহিদা সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের মধ্যে ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় গ্রামীণ মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম হল সবংয়ের তুলসীচারার মেলা ৷ এই মেলা খ্যাত কদমা মিষ্টির জন্য ৷ কারণ এই মেলাতেই একমাত্র মেলে কদমা মিষ্টি ৷ জেলার আর কোথাও এই মিষ্টির প্রচলন নেই ৷ তাই মেলার মূল আকর্ষণ এই মিষ্টিকে ঘিরে ৷ মেলা থেকে আর যে যাই কিনুক না কেন কম বেশি প্রত্যেকে এই মিষ্টি কেনেন ৷

এই মিষ্টির বিশেষত্ব কী?

চিনির রস ফুটিয়ে ফুটিয়ে তৈরি হয় এই মিষ্টি ৷ আকারে কমলালেবুর মতো ৷ রং দুধ সাদা ৷ 20 গ্রাম থেকে শুরু করে 1 কেজিরও বেশি হয় কদমা ৷ মূল আকার গোল হলেও মিষ্টি প্রস্তুতকারীরা বিভিন্ন আকারের তৈরি করে থাকেন ৷ পাখি,গাছ, ঘট ইত্যাদি আকার তৈরি করে পসরা সাজান তাঁরা ৷ মিষ্টির ভেতরের অংশ ফাঁপা হওয়ায় ওজনও খুব কম ৷ তাই কেজিতে মিষ্টির সংখ্যা অনেকগুলোই হয় ৷ প্রায় 10 দিন ধরে চলা এই মেলায়, প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসেন ৷ মেলার এই ক'দিন কদমার চাহিদাও থাকে প্রচুর, জানালেন বিক্রেতারা ৷ প্রতিবছরের মতো এবছরও কদমার চাহিদা সাধারণ মিষ্টির তুলনায় অনেক বেশি ৷

কদমা বিক্রি হচ্ছে দেদার, দেখুন ভিডিয়ো

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর দুইপারে বসে এই মেলা ৷ নদীর উত্তর দিক পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের অন্তর্গত ৷ দক্ষিণ দিক পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের অন্তর্গত ৷ একটি তুলসীচারাকে কেন্দ্র করে বসে এই মেলা ৷ সম্ভবত সেই কারণেই এই মেলার নাম হয়েছে এই তুলসীচারা ৷ অনেকেই এই মেলাকে কোলন্দা মেলাও বলে থাকেন ৷ কারণ কোলন্দা গ্রামে এই মেলা বসে ৷

কথিত আছে প্রায় 500 বছরেরও আগে, এক সন্ন্যাসী এই নদীর ধারে একটি তুলসী গাছ লাগিয়ে পুজো করতেন ৷ নিত্য গাছের গোড়ায় মাটি দিতেন তিনি ৷ সন্ন্যাসী দেহত্যাগ করার পর গ্রামবাসী সেই তুলসী চারায় পুজো করতে শুরু করেন ৷ গাছের গোড়ায় মাটিও দিতে থাকেন তাঁরা ৷ পরে এই প্রথা আরও বাড়তে থাকে ৷ গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে শুরু হয় মানত করা ৷ প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তি তথা মকর সংক্রান্তিতে তুলসী চারায় মাটি দিয়ে শুরু হয় মেলা ৷ সেই থেকে মেলা আজও চলে আসছে ৷ লণ্ঠন থেকে বিদ্যুতের আলোয় সেজে ওঠে তুলসীচারার মেলা ৷

Intro:মেলায় নজর কাড়ছে জিভে জল আনা কদমা মিষ্টি ,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর পাড়ের মানুষের একমাত্র প্রিয় এই কদমা মিষ্টি আকারে কমলা লেবুর মত ,এই মিষ্টির রং দুধ সাদা ,অসাধারন দেখতে এই কদমা ,২০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজিরও কদমার চাহিদা বেশি l
Body:মেলায় নজর কাড়ছে জিভে জল আনা কদমা মিষ্টি ,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর পাড়ের মানুষের একমাত্র প্রিয় এই কদমা মিষ্টি আকারে কমলা লেবুর মত ,এই মিষ্টির রং দুধ সাদা ,অসাধারন দেখতে এই কদমা ,২০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজিরও কদমার চাহিদা বেশি l



অবিভক্ত মেদিনীপুরের পরও পশ্চিম মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় গ্রামিন মেলা গুলির মধ্যে অন্যতম হল সবং এর তুলসীচারা-র মেলা l তবে আজ যে কারনে এই মেলার বর্ননা করা হচ্ছে তার একটাই কারন তা হল "কদমা" মিষ্টি l এই মিষ্টি এমনই একটি মিষ্টি যা শুধু এই মেলাতেই পাওয়া যায় l জেলার আর কোথাও এই মিষ্টির প্রচলন নেই l মেলার মূল আকর্ষণ তাই এই মিষ্টি কে ঘিরে l মেলাতে আর যে যাই কিনুক না কেন কম বেশি প্রত্যেকে এই মিষ্টি কেনেন l মিষ্টির বিশেষত্ব - চিনির রস ফুটিয়ে ফুটিয়ে তৈরী হওয়া , আকারে কমলা লেবুর মত ,এই মিষ্টির রং দুধ সাদা ,অসাধারন দেখতে এই মিষ্টি l এই কদমা ২০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজিরও বেশি হয় l মুল আকার গোল হলেও মিষ্টি প্রস্তুতকারীরে বিভিন্ন আকারে তৈরি করেন এই মিষ্টি l পাখি,গাছ, ঘট ইত্যাদি আকার তৈরি করে পসরা সাজান , চিনির পাক করে তৈরি হয় মিষ্টি l মিষ্টির ভেতরে অংশ ফাঁপা হওয়ায় ওজনও খুব কম , তাই কেজিতে মিষ্টির সংখ্যা অনেকগুলোই হয় এই সুন্দরী কদমা স্বাদেও মধুর l প্রায় দশদিন ধরে চলা এই মেলায়, প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে l বাড়ি ফেরার পথে বেশির ভাগের হাতেই থাকে কদমা l মেলার এই কটা দিন এই কদমার চাহিদাও থাকে প্রচুর জানালেন বিক্রেতারা l প্রতিবছরের ন্যায় কদমার চাহিদা মিষ্টির তুলনায় অনেক বেশি l


উল্লেখ্য পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর দুইপারে বসে এই মেলা l নদীর উত্তর পাড় হল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার অন্তর্গতআর দক্ষিণ পাড় হল পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার অন্তর্গত l এই মেলাকে দুই জেলার মিলন মেলা বললেও ভুল হবে না l একটি তুলসী চারাকে কেন্দ্র করে বসে এই মেলা l বলা যেতে পারে এই তুলসী চারা থেকেই মেলার নামকরণ তুলসীচারা আর যে গ্রামে এই মেলা বসে সেই গ্রামটির নাম কোলন্দা হওয়ায়, অনেকে এই মেলাকে কোলন্দা মেলাও বলে l কথিত আছে ৩০০ বছরেরও আগে, এক সন্ন্যাসী এই নদীর পাড়ে একটি তুলসী গাছ লাগিয়ে পূজো করতেন আর তার গাছের গোড়য় মাটি দিতেন এবং পূজো করতেন l সন্ন্যাসী দেহত্যাগ করার পর গ্রামবাসী সেই তুলসী চারায় পুজো করতে শুরু করেন এবং গাছের গোড়ায় মাটি দিতে শুরু করেন l পরে এই প্রথা আরো বাড়তে থাকে গাছের গোড়ায় মাটিয়ে দিয়ে মানত করা শুরু হয় l শুধু তাই নয় সেই মানতে মানুষের ইচ্ছা পূরণ হতে শুরু হয় l প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তি তথা মকর সংক্রান্তিতে তুলসী চারায় মাটি দিয়ে শুরু হয় মেলা l সেই থেকে মেলা আজও চলে আসছে l লন্ঠন থেকে হ্যারিকেন এখন সু-সজ্জিত আলোক সজ্জায় সেজে ওঠে তুলসী চারার মেলা l


Conclusion:মেলায় নজর কাড়ছে জিভে জল আনা কদমা মিষ্টি ,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী কেলেঘাই নদীর পাড়ের মানুষের একমাত্র প্রিয় এই কদমা মিষ্টি আকারে কমলা লেবুর মত ,এই মিষ্টির রং দুধ সাদা ,অসাধারন দেখতে এই কদমা ,২০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১ কেজিরও কদমার চাহিদা বেশি l
Last Updated : Jan 24, 2020, 2:57 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.