দাসপুর, 19 জুলাই : বিয়ের মাত্র দেড় মাসের মাথায় মৃত্যু হল এক তরুণীর ৷ আর তা ঘিরেই অশান্তি ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে ৷ মৃতদেহ নিতে এসে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল পুলিশকে ৷ যদিও শেষমেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্য়া মিটে যায় ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় ৷ পুলিশ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পরই এলাকাবাসী তাদের মৃতদেহ নিয়ে যেতে দেন ৷ এদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ৷
আরও পড়ুন : বৃদ্ধকে খুন করে দ্বারকেশ্বরের তীরে কবর, গ্রেফতার ছেলে-বউমা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মণিকা বেরা ঘড়ুই ৷ বয়স 22 বছর ৷ মাস দেড়েক আগে দাসপুর থানা এলাকার হোসেনপুরের বাসিন্দা দীপঙ্কর ঘড়ুইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় মণিকার ৷ তাঁর বাবা হেমন্ত বেরা দাসপুরেরই যদুপুরের বাসিন্দা ৷ তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, 18 জুলাই রাতেই মেয়ের অসুস্থতার খবর পেয়েছিলেন তাঁরা ৷ তারপরই এই ঘটনা ৷ হেমন্তর অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ ৷ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে তারা ৷ কিন্তু ঠিক সেই সময়েই তাদের বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তরুণীকে খুনের অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা ৷ শুরু হয় বিক্ষোভ ৷ এর জেরে প্রায় ঘণ্টা খানেক মৃতার শ্বশুরবাড়িতেই তাঁর দেহ পড়ে থাকে ৷ পরে পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায় ৷
আরও পড়ুন : ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, শ্য়ালকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মৃতার বাবার
মণিকার বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে একটি ফোন পান তাঁরা ৷ তাতে জানানো হয়, মণিকা অসুস্থ ৷ এরপর রাতেই মণিকার শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছে যান তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা ৷ তখনই তাঁরা দেখেন, তাঁদের মেয়ে মারা গিয়েছেন ৷ এরপর সোমবার সকালে গোটা ঘটনা চাউর হতেই মণিকার শ্বশুরবাড়িতে স্থানীয়দের ভিড় জমতে শুরু করে ৷ পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ৷ ইতিমধ্যে মণিকার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে ৷