মেদিনীপুর, 8 জুন : দিন দিন বেড়ে চলা রেল শহর খড়গপুরে খুন ডাকাতি জখমের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিজেপি বিধায়ক । তিনি পুলিশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, এখানকার আইপিএস অফিসারদের এয়ারপোর্ট থেকে নেমে শপথ নিতে হয় নবান্নে আর তাই এই ধরনের অশান্তি ঘটনা ঘটে চলছে । এই অশান্তি এখনও চার বছর সহ্য করতে হবে এই রাজ্যের মানুষকে ।
গোটা রাজ্যের সঙ্গে খড়্গপুরের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এবার তীব্র ভাষায় পুলিশের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সম্প্রতি তিনি মেদিনীপুরের একটি সাংবাদিক বৈঠকের পরই এই ধরনের কটাক্ষ করে বসেন । তিনি বলেন, "তিনি খড়্গপুরের দিনদুপুরে বোমা, গুলি, অপহরণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন এবং বলেন যারা ইউপিএসসি, আইএএস পরীক্ষা দিয়ে এই পুলিশ অফিসার হন তারা পুলিশে যোগ দান করার সময় যে শপথ নেন দেশ মাতৃকাকে ভালবাসব, জীবন দিয়ে রক্ষা করব আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে দেব না, নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করব সেই অফিসাররাই যখন এরাজ্যে প্রবেশ করেন তাঁরা এয়ারপোর্ট থেকে নেমে নবান্নে গিয়ে আরেকটি শপথ পাঠ করতে হয় তাঁদের । এই রাজ্যের নবান্নে এসে তাঁদের শপথ পাঠ করানো হয় যে তারা এরাজ্যের শাসকদলের ভূমিকা পালন করবে তাদের দলদাস হয়ে কাজ করতে হবে এবং শাসক দলের হয়েই আইন-শৃঙ্খলা দেখতে হবে । তার জন্যই আজকে রাজ্যের এই পরিস্থিতি । রাজ্যের সঙ্গে খোদ রেল শহর খড়গপুরে দিনের পর দিন আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে । খড়গপুরে বেড়েছে খুন ডাকাতি ধর্ষণ ও বোমা বন্দুক উদ্ধারের ঘটনা ।"
বিজেপি বিধায়ক বলেন, "এই জন্যই প্রতিদিনই খড়গপুরে একাধিক জায়গায় খুন জখম ধর্ষণ বেড়েই চলছে রাতের পাশাপাশি দিন দুপুরে চুরি ছিনতাই ও দিনদুপুরে বোমা উদ্ধার হচ্ছে। আর এই বিষয়ে নির্বিকার এলাকার পুলিশ প্রশাসন । তাই রাজ্যের মানুষের বলব তারা তো ভোট দিয়ে নিয়ে এসেছেন এই সরকারকে যেহেতু একটি বছর কেটে গিয়েছে এরকম ভাবে আরও চারটি বছর এদের অত্যাচার সহ্য করতে হবে । এরপরই তাদের জমানা শেষ হয়ে পুনরায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে ভারতীয় জনতা পার্টির দ্বারা ।"
এছাড়াও তিনি অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, "বহু জায়গায় ভোট হয়েছে ভোটের পর সরকার গড়েছে বহু জায়গায় বিজেপি দল সরকার গড়তে পারেনি কিন্তু কোথাও ভোটের পর সামান্যটুকু খুন জখম হয়নি ৷ না হয়েছে কোনও মারপিটের ঘটনা । উত্তরপ্রদেশের মতো জায়গায় মানুষ শান্তিতে রয়েছে যোগীজির সুশাসনে । অথচ এই রাজ্যে প্রতিদিন অশান্তির ঘটনা ঘটে চলছে । বিধানসভা ভোটের পর ফলাফলের দিন থেকে প্রায় 60 জন বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে এই রাজ্যে । এই রাজ্যে শাসক দলের মূল কাজ হল ছলে-বলে-কৌশলে পুলিশকে দিয়ে মানুষকে নিপীড়ন করা ।"
আরও পড়ুন : "একত্রিত হয়ে লড়তে হবে", বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে খড়গপুরে মোমবাতি মিছিল হিরণের
যদিও প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় শুধু রেল শহর না জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু জায়গায় পুলিশি অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে তার অভিযোগ বারেবারে করছে বিরোধী দল ও রাজনৈতিক দলগুলি । বিশেষ করে বিজেপি বারবার পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে এবং বিক্ষোভ ও আন্দোলনে দেখিয়েছে রাস্তায় রাস্তায় ।