মেদিনীপুর, 12 অগস্ট: বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে আক্রান্ত হোমিওপ্যাথিক হাউস স্টাফ ৷ অভিযোগ, ওই হাউস স্টাফ-সহ বান্ধবীকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা ৷ পাশাপাশি তাঁর বান্ধবীকে নিয়েও চম্পট দেয়। বর্তমানে ওই হাউস স্টাফের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুরের খয়রুল্লা চকের ডাম্প হাউসে। তদন্তে গুড়গুড়ি পাল থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, শুক্রবার বান্ধবীকে নিয়ে বাইকে করে ঘুরতে যান মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক কলেজের হাউস স্টাফ অর্ঘ্যপ্রভ ঘোষাল। এরপর সেখানে তাঁরা দু'জন গল্প করার সময় বেশকিছু দুষ্কৃতী হাজির হয় এবং তাঁদের মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর বান্ধবীকে নিয়ে মুহূর্তের মধ্যে ওই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে চম্পট দেয় ৷
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অর্ঘ্যপ্রভ ওই এলাকার মানুষকে বিষয়টি জানান। তাঁদের বাইকে করে কিছু ছেলেদের নিয়ে বান্ধবীকে খুঁজতেও যান ৷ হন্যে হয়ে খুঁজলেও তাঁর বান্ধবীকে পাওয়া যায় না। পরে খবর দেওয়া হয় গুড়গুড়ি পাল থানার পুলিশকে ৷ পুলিশ এসে আহত ওই হোমিওপ্যাথিক হাউস স্টাফকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। যদিও বান্ধরীর কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ প্রশাসন। এলাকায় চলছে তল্লাশি।
পুলিশের পাশাপাশি এলাকার মানুষও ওই তরুণীকে খোঁজার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে, হাসপাতালে পৌঁছেছেন ওই হাউস স্টাফের বন্ধুবান্ধবরা ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল বেরা বলেন, "আমি দোকানে বসেছিলাম ৷ যুবকটি আহত অবস্থায় দৌড়ে আসেন এবং পুরো ঘটনা বলেন। তখন আমরা এলাকার লোক নিয়ে খুঁজতে বেরোই তার বান্ধবীকে ৷ কিন্তু খুঁজে পাইনি। একটি ওড়না এবং গামছা উদ্ধার হয়েছে। তিনি বলেন তাঁর বাড়ি দুর্গাপুর ও মেয়ের বাড়ি কোলাঘাট। তাঁরা কর্মসূত্রে এখানে থাকেন। দু'জনেই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷"
আরও পড়ুন: ঘরে বিবস্ত্র অবস্থায় ছেলের বন্ধু-বান্ধবী, প্রতিবাদ করায় ইঁট মেরে বাবার মাথা ফাটাল গুণধর পুত্র