ETV Bharat / state

Kutum-Katum Handcraft: খোয়াব গাঁয়ে এখনও প্রাণ পায় অবন ঠাকুরের ‘কুটুম-কাটুম’

অবন ঠাকুরের ‘কুটুম-কাটুম’ প্রাণ পাচ্ছে ঝাড়গ্রামের খোয়াব গাঁয়ে (Kutum-Katum Handcraft) ৷ এই কুটুম-কাটুম হল, শুকনো গাছের শিকড়, ডাবের খোল, শুকনো তালের আঁটি, গাছের ডালের মূল আকৃতিকে অবিকৃত রেখে নতুন রূপ তৈরি করা ৷ তা জীবনজন্তু হতে পারে ৷ আবার মানুষ ৷ এই শিল্পকে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর হচ্ছে খোয়াব গাঁ ৷

Kutum-Katum Handcraft ETV BHARAT
Kutum-Katum Handcraft
author img

By

Published : Feb 25, 2023, 8:54 PM IST

খোয়াব গাঁয়ে এখনও প্রাণ পায় অবন ঠাকুরের কুটুম কাটুম

ঝাড়গ্রাম, 25 ফেব্রুয়ারি: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শেষ বয়সে ছবি আঁকা বা লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ বদলে শুকনো গাছের শিকড়, ডাবের খোল, শুকনো তালের আঁটি, গাছের ডাল দিয়ে পশু-পাখির নানা আকৃতি তৈরি করতেন ৷ আর সেটা তৈরি হত পশু-পাখির আকারকে অবিকৃত রেখেই ৷ তিনি এই শিল্পের নাম দিয়েছিলেন, ‘কুটুম-কাটুম’ ৷ আর এই শিল্পকে কেন্দ্র করেই ক্রমশ স্বনির্ভর হচ্ছে ঝাড়গ্রামের খোয়াব গাঁ ৷ এলাকার লোধা গোষ্ঠীর 13টি পরিবারের সদস্যরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৷ আর তাঁদের তৈরি ‘কুটুম-কাটুম’-এর চাহিদা এখন রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও (Handcraft Kutum-Katum Kept Alive by Shoilpik) ৷ তাদের সংগ্রহশালার নাম ‘শৈল্পিক’ ৷

শহুরে জীবনের থেকে শত হস্ত দূরে খোয়াব গাঁ এর বাসিন্দারা ৷ চাষবাস তাঁদের মূল পেশা ৷ তবে, অবসর সময়ে ‘কুটুম-কাটুম’ তৈরি করেন গ্রামের লোকজন ৷ সেখান থেকে মোটের উপর ভালোই আয় হয় ৷ তবে, এই বদল একদিনে আসেনি ৷ 2018 সালের পর খোয়াব গাঁ নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করে ৷ চালচিত্র অ্যাকাডেমির মৃণাল কুমার মণ্ডল এই গ্রামে আসেন ৷ সেখানকার মানুষদের দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজ করান ৷ কিন্তু, বাহিক্য এবং আর্টিফিশিয়াল জিনিস দিয়ে কোনও কিছু তৈরি করা গ্রামের মানুষদের জন্য সহজ ছিল না ৷ তার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রশিক্ষণের ৷

তাই মৃণাল মণ্ডল তাঁদের প্রাকৃতিক উপাদান যেমন, শুকনো গাছের শিকড়, ডাবের খোল, শুকনো তালের আঁটি, গাছের ডাল দিয়ে বিভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তুলতে উৎসাহ দেন ৷ দেখা যায়, তাঁরা অনেক সহজে সেই কাজটি করে ফেলছেন ৷ সেই সব প্রাকৃতিক জিনিসের আকৃতিতে কোনও বদল না-ঘটিয়ে, নানা জীবজন্তু, মানুষ ও নানান জিনিসের রূপদান করা হয় ৷ মৃণাল মণ্ডলের এই ভাবনা এসেছিল অবন ঠাকুরের ‘কুটুম-কাটুম’ থেকে ৷

আরও পড়ুন: লুপ্তপ্রায় হস্তশিল্পকে বাঁচাতে বালুচরী শাড়িতে 'কারুকলা' শিল্পী অমিতাভর

খোয়াব গাঁ-এর বাসিন্দাদের এই ‘কুটুম-কাটুম’ শিল্পের যে সংস্থা বা সংগ্রহশালা রয়েছে তার নাম ‘শৈল্পিক’ ৷ এর মাধ্যমে ক্রমে স্বনির্ভর হচ্ছেন খোয়াব গাঁ এর বাসিন্দারা ৷ 2021 সালে এই সংগ্রহশালা তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এমনকি নিজেদের খোয়ার গাঁ-কে সুন্দর করে সাজিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ প্রকৃতির রূপ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিটি বাড়ির দেওয়ালে ৷ ‘শৈল্পিক’-এর জনপ্রিয়তা পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি কলকাতা ও রাজ্যের বাইরেও রয়েছেন ৷ ভিনরাজ্য থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা খোয়াব গাঁয়ে আসেন ৷

তবে, এই মুহূর্তে তাদের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ বেহাল রাস্তার কারণে বহু পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন ৷ গ্রামে আসার আরও একটি রাস্তা থাকলেও, সেটি ঘুর পথ ৷ যার কথা অধিকাংশ লোকেই জানেন না ৷ তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লোকজন ফিরে যাচ্ছেন ৷ প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানালেন ‘শৈল্পিক’-এর শিল্পী ষষ্ঠীচরণ আহির এবং ভূপতি মল্লিকরা ৷

খোয়াব গাঁয়ে এখনও প্রাণ পায় অবন ঠাকুরের কুটুম কাটুম

ঝাড়গ্রাম, 25 ফেব্রুয়ারি: অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর শেষ বয়সে ছবি আঁকা বা লেখালেখি বন্ধ করে দিয়েছিলেন ৷ বদলে শুকনো গাছের শিকড়, ডাবের খোল, শুকনো তালের আঁটি, গাছের ডাল দিয়ে পশু-পাখির নানা আকৃতি তৈরি করতেন ৷ আর সেটা তৈরি হত পশু-পাখির আকারকে অবিকৃত রেখেই ৷ তিনি এই শিল্পের নাম দিয়েছিলেন, ‘কুটুম-কাটুম’ ৷ আর এই শিল্পকে কেন্দ্র করেই ক্রমশ স্বনির্ভর হচ্ছে ঝাড়গ্রামের খোয়াব গাঁ ৷ এলাকার লোধা গোষ্ঠীর 13টি পরিবারের সদস্যরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৷ আর তাঁদের তৈরি ‘কুটুম-কাটুম’-এর চাহিদা এখন রাজ্য ও দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও (Handcraft Kutum-Katum Kept Alive by Shoilpik) ৷ তাদের সংগ্রহশালার নাম ‘শৈল্পিক’ ৷

শহুরে জীবনের থেকে শত হস্ত দূরে খোয়াব গাঁ এর বাসিন্দারা ৷ চাষবাস তাঁদের মূল পেশা ৷ তবে, অবসর সময়ে ‘কুটুম-কাটুম’ তৈরি করেন গ্রামের লোকজন ৷ সেখান থেকে মোটের উপর ভালোই আয় হয় ৷ তবে, এই বদল একদিনে আসেনি ৷ 2018 সালের পর খোয়াব গাঁ নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করে ৷ চালচিত্র অ্যাকাডেমির মৃণাল কুমার মণ্ডল এই গ্রামে আসেন ৷ সেখানকার মানুষদের দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্পের কাজ করান ৷ কিন্তু, বাহিক্য এবং আর্টিফিশিয়াল জিনিস দিয়ে কোনও কিছু তৈরি করা গ্রামের মানুষদের জন্য সহজ ছিল না ৷ তার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রশিক্ষণের ৷

তাই মৃণাল মণ্ডল তাঁদের প্রাকৃতিক উপাদান যেমন, শুকনো গাছের শিকড়, ডাবের খোল, শুকনো তালের আঁটি, গাছের ডাল দিয়ে বিভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তুলতে উৎসাহ দেন ৷ দেখা যায়, তাঁরা অনেক সহজে সেই কাজটি করে ফেলছেন ৷ সেই সব প্রাকৃতিক জিনিসের আকৃতিতে কোনও বদল না-ঘটিয়ে, নানা জীবজন্তু, মানুষ ও নানান জিনিসের রূপদান করা হয় ৷ মৃণাল মণ্ডলের এই ভাবনা এসেছিল অবন ঠাকুরের ‘কুটুম-কাটুম’ থেকে ৷

আরও পড়ুন: লুপ্তপ্রায় হস্তশিল্পকে বাঁচাতে বালুচরী শাড়িতে 'কারুকলা' শিল্পী অমিতাভর

খোয়াব গাঁ-এর বাসিন্দাদের এই ‘কুটুম-কাটুম’ শিল্পের যে সংস্থা বা সংগ্রহশালা রয়েছে তার নাম ‘শৈল্পিক’ ৷ এর মাধ্যমে ক্রমে স্বনির্ভর হচ্ছেন খোয়াব গাঁ এর বাসিন্দারা ৷ 2021 সালে এই সংগ্রহশালা তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ এমনকি নিজেদের খোয়ার গাঁ-কে সুন্দর করে সাজিয়েছেন গ্রামবাসীরা ৷ প্রকৃতির রূপ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিটি বাড়ির দেওয়ালে ৷ ‘শৈল্পিক’-এর জনপ্রিয়তা পার্শ্ববর্তী জেলা, এমনকি কলকাতা ও রাজ্যের বাইরেও রয়েছেন ৷ ভিনরাজ্য থেকে তো বটেই, বিদেশ থেকেও পর্যটকরা খোয়াব গাঁয়ে আসেন ৷

তবে, এই মুহূর্তে তাদের একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ বেহাল রাস্তার কারণে বহু পর্যটক ফিরে যাচ্ছেন ৷ গ্রামে আসার আরও একটি রাস্তা থাকলেও, সেটি ঘুর পথ ৷ যার কথা অধিকাংশ লোকেই জানেন না ৷ তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে লোকজন ফিরে যাচ্ছেন ৷ প্রশাসনিক স্তরে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানালেন ‘শৈল্পিক’-এর শিল্পী ষষ্ঠীচরণ আহির এবং ভূপতি মল্লিকরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.