ETV Bharat / state

স্বর্ণশিল্পী থেকে চাওয়ালা, করোনায় পেশা বদল দাসপুরের স্বর্ণশিল্পীদের

করোনার জেরে হারিয়েছেন অনেক কিছুই ৷ বাঁচার তাগিদে বদল করতে বাধ্য হয়েছেন পুরনো পেশা ৷ স্বর্ণশিল্পী থেকে কেউ হয়েছেন চাওয়ালা, তো কেউ আবার ডাবওয়ালা ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ছবিটা এরকমই ৷

স্বর্ণশিল্পী থেকে চা ওয়ালা
স্বর্ণশিল্পী থেকে চা ওয়ালা
author img

By

Published : Jul 29, 2021, 8:43 PM IST

দাসপুর, 29 জুলাই : করোনা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে অনেক কিছু ৷ দীর্ঘ লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ ৷ সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ছবিটা এরকমই ৷ স্বর্ণশিল্পী থেকে রাতারাতি কেউ হলেন চাওয়ালা তো কেউ ডাবওয়ালা ৷ জীবন ও জীবিকা রক্ষার্থে পরিবারের মুখে দু‘মুঠো অন্ন তুলে দিতেই এই পেশা পরিবর্তন বলেই দাবি শিল্পীদের ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল স্বর্ণশিল্পীদের জন্য বিখ্যাত । নিজের জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও কাজ করে থাকেন এখানকার স্বর্ণশিল্পীরা । কিন্তু দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতির জেরে জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও বন্ধ হয়েছে কাজ । ফলে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ভিন্ন পেশাকে বেছে নিয়েছেন দাসপুরের স্বর্ণশিল্পীরা ।

কেউ বেছে নিয়েছেন সবজি বিক্রি, কেউ বা ফল । দাসপুরের আর এক স্বর্ণশিল্পী অমল পাইন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন চা বিক্রি । তাঁর চা এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, দাসপুরের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অলিগলিতে এখন তা করোনা চা হিসাবে পরিচিত । সকাল বিকেল সকলের মুখে এখন একটাই কথা ৷ চল, করোনা চা খেয়ে আসি । দাসপুর থানার রাজনগরের এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা করোনার জেরে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন ।

সাইকেলে চা ফেরি

আরও পড়ুন : বাস নয়, বাসা

দোকান করার মতো টাকা নেই ৷ অমলবাবুর ভরসা একমাত্র সাইকেল ৷ তাই প্রত্যেকদিন সকালে বাড়ি থেকে চা বানিয়ে ফ্লাস্কে ভরে সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন । বিভিন্ন ধরনের মশলা দিয়ে তৈরি অমলবাবুর চা ইতিমধ্যেই মন কেড়েছে সবার । নবীন থেকে প্রবীণ ৷ সকলের মুখে অমলের চা এখন করোনা চা হিসাবে পরিচিত । চা খাওয়ার পরে অনলাইন পেমেন্টেরও সুবিধা থাকায় সকলেই স্বাদ নিচ্ছেন এই করোনা চায়ের ।

অমলের মতো দাসপুরের আরও এক স্বর্ণশিল্পী শান্তনু ভৌমিক । ভিনরাজ্যে অন্যের দোকানে কাজ করে দিব্যি সংসার চলছিল ৷ কিন্ত এক নিমেষে সব পাল্টে দিল একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস ৷ কাজ হারিয়ে দু'বছর বাড়িতেই দিন কাটছে শান্তনুরও । জমানো পুঁজি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দাসপুরের রাজনগর এলাকার বাজারে ডাব বিক্রি করে সংসারের হাল ফেরানোর চেষ্টা করছেন ।

প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হলেও এখনও দাসপুরে তৈরি হয়নি সোনার হাব । ভবিষ্যতে তা তৈরি হলে এলাকার স্বর্ণশিল্পীরা পুনরায় শুরু করতে পারবেন সোনার কাজ । সেই সুদিনের আশাতেই দিন গুনছেন এলাকার স্বর্ণশিল্পীরা ৷

আরও পড়ুন : সরকারি পরিষেবা দিতে নেওয়া হচ্ছে টাকা, খবর সংগ্রহে বাধা সংবাদমাধ্যমকে

দাসপুর, 29 জুলাই : করোনা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে অনেক কিছু ৷ দীর্ঘ লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ ৷ সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন অনেকেই ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ছবিটা এরকমই ৷ স্বর্ণশিল্পী থেকে রাতারাতি কেউ হলেন চাওয়ালা তো কেউ ডাবওয়ালা ৷ জীবন ও জীবিকা রক্ষার্থে পরিবারের মুখে দু‘মুঠো অন্ন তুলে দিতেই এই পেশা পরিবর্তন বলেই দাবি শিল্পীদের ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল স্বর্ণশিল্পীদের জন্য বিখ্যাত । নিজের জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও কাজ করে থাকেন এখানকার স্বর্ণশিল্পীরা । কিন্তু দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতির জেরে জেলার পাশাপাশি ভিনরাজ্যেও বন্ধ হয়েছে কাজ । ফলে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে ভিন্ন পেশাকে বেছে নিয়েছেন দাসপুরের স্বর্ণশিল্পীরা ।

কেউ বেছে নিয়েছেন সবজি বিক্রি, কেউ বা ফল । দাসপুরের আর এক স্বর্ণশিল্পী অমল পাইন পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন চা বিক্রি । তাঁর চা এখন এতটাই জনপ্রিয় যে, দাসপুরের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অলিগলিতে এখন তা করোনা চা হিসাবে পরিচিত । সকাল বিকেল সকলের মুখে এখন একটাই কথা ৷ চল, করোনা চা খেয়ে আসি । দাসপুর থানার রাজনগরের এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা করোনার জেরে পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছেন ।

সাইকেলে চা ফেরি

আরও পড়ুন : বাস নয়, বাসা

দোকান করার মতো টাকা নেই ৷ অমলবাবুর ভরসা একমাত্র সাইকেল ৷ তাই প্রত্যেকদিন সকালে বাড়ি থেকে চা বানিয়ে ফ্লাস্কে ভরে সাইকেলে চেপে বেরিয়ে পড়েন । বিভিন্ন ধরনের মশলা দিয়ে তৈরি অমলবাবুর চা ইতিমধ্যেই মন কেড়েছে সবার । নবীন থেকে প্রবীণ ৷ সকলের মুখে অমলের চা এখন করোনা চা হিসাবে পরিচিত । চা খাওয়ার পরে অনলাইন পেমেন্টেরও সুবিধা থাকায় সকলেই স্বাদ নিচ্ছেন এই করোনা চায়ের ।

অমলের মতো দাসপুরের আরও এক স্বর্ণশিল্পী শান্তনু ভৌমিক । ভিনরাজ্যে অন্যের দোকানে কাজ করে দিব্যি সংসার চলছিল ৷ কিন্ত এক নিমেষে সব পাল্টে দিল একটি ক্ষুদ্র ভাইরাস ৷ কাজ হারিয়ে দু'বছর বাড়িতেই দিন কাটছে শান্তনুরও । জমানো পুঁজি শেষ হয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে দাসপুরের রাজনগর এলাকার বাজারে ডাব বিক্রি করে সংসারের হাল ফেরানোর চেষ্টা করছেন ।

প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হলেও এখনও দাসপুরে তৈরি হয়নি সোনার হাব । ভবিষ্যতে তা তৈরি হলে এলাকার স্বর্ণশিল্পীরা পুনরায় শুরু করতে পারবেন সোনার কাজ । সেই সুদিনের আশাতেই দিন গুনছেন এলাকার স্বর্ণশিল্পীরা ৷

আরও পড়ুন : সরকারি পরিষেবা দিতে নেওয়া হচ্ছে টাকা, খবর সংগ্রহে বাধা সংবাদমাধ্যমকে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.