খড়গপুর, 30 সেপ্টেম্বর: নিজেদের বাঁচাতে ব্যবহৃত গাড়িটি রেখে নগ্ন হয়ে একটি আখের জমিতে গা ঢাকা দিয়ে বসেছিল ছয় ডাকাত। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি ৷ ড্রোন দিয়ে নজরদারি করে প্রথমে 5, পরে 1 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ খড়গপুর ডাকাতির ঘটনায় বড়সড় সাফল্য পুলিশের । কারণ, শুক্রবার ডাকাতির মাত্র 4 ঘণ্টার মধ্যে 5 জন ও শনিবার সকালে একজনকে গ্রেফতার করা হয় ।
শুক্রবার খড়গপুর গোলবাজার এলাকার সোনার দোকানে ডাকাতি পর চম্পট দেয় ডাকাতরা । একটি সাদা স্করপিওতে ওড়িশা রাজ্যের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা ৷ সেই সময়েই বেলিয়াবেড়া থানার অন্তর্গত রন্টুয়া থেকে 5 জনকে পাকড়াও করে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশের হাতে তুলে দেয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ৷ তাদেরকে জিজ্ঞাসবাদ করেই শনিবার অমরজিত নামে আরও এক ডাকাতের খোঁজ পায় পুলিশ ৷ এদিন তাকেও গ্রেফতার করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম সীমানা লাগোয়া গোপীবল্লভপুর থানার রন্টুয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুষ্কৃতীদের । ধৃতদের নাম গৌরব সিং, প্রকাশ কুমার, সুজিত কুমার , নবীন কুমার এবং রোশন কুমার ।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বেশ কয়েকটি কার্তুজ, একটি ছুরি-সহ একাধিক মোবাইল ফোন । গাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দিতে আখের ক্ষেতের মধ্যে জামা- কাপড় খুলে বসে পড়ে দুষ্কৃতীরা । এরপর ড্রোন দিয়ে নজর চালায় পুলিশ । তাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে 5 ডাকাত ৷ সকলেই ভিন রাজ্যের ৷
আরও পড়ুন: খড়গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি, বাধা দিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মালিক-সহ দুই
শুক্রবার সন্ধ্যেবেলায় এক সাংবাদিক বৈঠকে করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার । সেই বৈঠকেই তিনি বলেন, "এই ডাকাতরা সকলে বিহারের বাসিন্দা । কয়েকদিন আগেই চুরির জন্য ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ৷ মূলত তারা পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টারে দুদিন ধরে ছিল ৷ ডাকাতির আগে সোনার দোকানে আশেপাশের এলাকা রেইকি করে ৷ প্রথমে ক্রেতা সেজে দোকানে ঢোকার চেষ্টা করে । এরপর ডাকাতিতে বাধা পেয়ে দোকান মালিককে গুলি করে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা । পুলিশি সক্রিয়তায় মাত্র 4 ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়ে যায় 5 দুষ্কৃতী ।"