সবং, 9 জুন : গত 26 তারিখে ঘূর্ণিঝড় যশের (Super Cyclone Yaas) প্রকোপে ক্ষয়ক্ষতির আবেদন করার জন্য রাজ্য সরকার সম্প্রতি শুরু করেছে দুয়ারে ত্রাণ শিবির । এই শিবিরে মানুষজন জানিয়ে যাচ্ছেন ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির কথা । গত 3 জুন থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে ত্রাণ শিবিরে জমা পড়ছে এইসব আবেদনপত্র ৷ কিন্তু সেই শিবিরে আজব আজব সব আবেদনে চক্ষু চড়কগাছ সবংয়ের আধিকারিকের ।
সবং 4 নম্বর ব্লকের দশগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ত্রাণ শিবিরে এক অদ্ভূত আবেদন জমা পড়েছে । তাপস কর তাপস কর নামে এক আবেদনকারীর বয়ান, গত 26 মে যশের আতঙ্কে তাঁর একটি ছাগল মারা গিয়েছে । ওই ছাগলের জন্য যাতে অনুদান দেওয়া হয় তার জন্য আবেদন জানান ৷ আবেদনপত্রটি ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায় । শুধুমাত্র ছাগলের ক্ষতিপূরণের জন্যই আবেদন করা হয়েছে তা নয়, পুকুরের মাছ নষ্ট হওয়ার জন্যও ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে । সবং ব্লকের বিলকুয়া গ্রামের বাসিন্দা রামাপদ জানা তাঁর আবেদনে লিখেছেন, এই সুপার সাইক্লোন ঝড়ে তাঁর পুকুরের প্রায় 3 কোটি টাকার মাছ মারা গিয়েছে, যার ক্ষতিপূরণ চান তিনি ৷
ওই ধরনের মজার আবেদনের কথা স্বীকার করেছেন সবংয়ের বিডিও তুহিনশুভ্র মহান্তি । তিনি বলেন, "নানা রকমের আবেদনপত্র আমাদের কাছে জমা পড়েছে, যেগুলো জমা করেছেন এলাকার মানুষ । সেগুলো খতিয়ে দেখার পরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি ঠিক করা হবে ।"
যদিও এই বিষয়ে সবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ আবু কালাম বক্স বলেন, "কোলন্দার তাপস কর যশের আতঙ্কে ছাগল মারা যাওয়ায় জন্য অদ্ভুত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন । অপর দিকে বিলকুয়ার রামপদ জানা মাছ মরার জন্য 3 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন । আসলে গ্রামের সাধারণ লোক এঁরা ৷ তিনের পর ক'টা শূন্য দিলে কত টাকা হয় তা বুঝতে পারেননি । হয়তো না বুঝেই অন্য কেউ আবেদন লিখে দিয়েছেন । তবে যে যাই আবেদন করুন, আমরা বলেছি বিডিও তদন্ত করে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷'
এই অদ্ভুত ধরনের আবেদনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসাহাসি শুরু হয়েছে সবংজুড়ে । এখন দেখার বিডিও কর্তৃপক্ষ আবেদনের কী পর্যালোচনা করে ৷
আরও পড়ুন : লকডাউন পরিস্থিতিতে রুজি হারিয়ে বিপাকে পরিবহণ শ্রমিক ও গাড়ির মালিকরা