ETV Bharat / state

লকডাউন : দোকানেই পচছে ফল, মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

কোরোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লকডাউনের আওতায় ভারত ৷ আর এতেই ফাঁপরে পড়েছেন ফল বিক্রেতারা । লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে সবজি বিক্রেতাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ফল বিক্রেতাদের ৷ কিন্তু লকডাউনে ব্যবসায়ীদের সাধারণ দিনের চেয়ে বাণিজ্যিক হারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ফল ৷ সেই ফল বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা ।

image
ফল বিক্রেতা
author img

By

Published : Apr 22, 2020, 2:15 PM IST

Updated : Apr 22, 2020, 3:09 PM IST

মেদিনীপুর, 22 এপ্রিল : দীর্ঘ 21 দিনের পর আরও 18 দিনের লকডাউনের ঘোষণা ৷ এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া জেলার ফল ব্যবসায়ীদের কাছে । গ্রাহক নেই ৷ প্রতিদিন কেজি কেজি ফল পচছে ঝুড়িতে । আপেল, আঙুর, লেবু, কলার পচন রোধ করা যাচ্ছে না ৷ তাই জোর করেই দোকান খুলে রাখছে ব্যবসায়ীরা । লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না ৷ ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে মেদিনীপুরের ফল ব্যবসায়ীরা ৷

সংক্রমনের নাম কোরোনা ভাইরাস ৷ আর এই কোরোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে দাপট দেখাচ্ছে গোটা পৃথিবীতে । সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে লকডাউনের আওতায় ভারত ৷ আর এতেই বিপাকে পড়েছেন ফল বিক্রেতারা । লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে সবজি বিক্রেতাসহ ফল বিক্রেতাদের ৷ কিন্তু লকডাউনে ব্যবসায়ীদের সাধারণ দিনের চেয়ে বাণিজ্যিক হারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ফল ৷ সেই ফল বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা । কারণ দোকান তো খোলা কিন্তু লকডাউনে মানুষ আগের মতো বেরোচ্ছে না । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি মানুষ । তারা যা কিনছে তার পরিমাণও কম । রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়েছে । রাতের বেলা তো বটেই, দিনের বেলায়ও থাকছে না মানুষজন । চারিদিকে খাঁ খাঁ করছে । একসময় যে ফল দোকানগুলোতে দেদার ভিড় হত বা ফল কিনতে লম্বা লাইন পড়ে যেত, সেখানে জনশূন্য ৷ ফলে পাকা ফল প্রতিদিন কেজি কেজি নষ্ট হচ্ছে । পচা ফল ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা । নিজের কেনা দাম তো উঠছেই না উল্টে খেসারত দিতে হচ্ছে । মেদিনীপুর শহরের খোদ ব্যবসায়ীরাই শুনিয়েছে সেই আতঙ্কের কথা ।

শহরের ফল ব্যবসায়ী পলাশ দাস, রাজীব রায়রা বলছেন, ‘‘কোরোনার ভয়ে মানুষ এখন বাড়িতে ৷ ফল কী করে বিক্রি হবে । রাস্তায় তো মানুষই নেই । ভয়ে বেরোচ্ছে না ৷ ব্যবসার খুব লোকসান হচ্ছে ।’’ রাজাবাজারে ব্যবসা করতে আসা সঞ্জয় দাস, নিমাই করেরও একই বক্তব্য, ‘‘রাস্তা সকাল থেকেই ফাঁকা। তাছাড়া মানুষের হাতে টাকাও নেই, ফল কিনবে কীভাবে । এইরকম চলতে থাকলে আমাদের না খেতে পেয়ে মরতে হবে । সমস্যা আছে আরও ৷ লকডাউনে মিলছে না গাড়ি ৷ তাই দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে গাড়িতে ফল আনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ৷ পয়সা দিয়ে কেনা ফল পচে যাওয়ায় ফেলে দিতে হচ্ছে ৷

এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হকার্স ইউনিয়নের সম্পাদক শংকর দাসের বক্তব্য,‘‘ টাটকা ফল এনে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা । সরকারকে বলব ফল ব্যবসায়ীদের দিকেও একটু নজর দিন ৷ কারণ তাদেরও পরিবার-পরিজন রয়েছে । এরকম চলতে থাকলে তারা চরম লোকসানের সম্মুখীন হবে ।

মেদিনীপুর, 22 এপ্রিল : দীর্ঘ 21 দিনের পর আরও 18 দিনের লকডাউনের ঘোষণা ৷ এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া জেলার ফল ব্যবসায়ীদের কাছে । গ্রাহক নেই ৷ প্রতিদিন কেজি কেজি ফল পচছে ঝুড়িতে । আপেল, আঙুর, লেবু, কলার পচন রোধ করা যাচ্ছে না ৷ তাই জোর করেই দোকান খুলে রাখছে ব্যবসায়ীরা । লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না ৷ ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে মেদিনীপুরের ফল ব্যবসায়ীরা ৷

সংক্রমনের নাম কোরোনা ভাইরাস ৷ আর এই কোরোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে দাপট দেখাচ্ছে গোটা পৃথিবীতে । সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে লকডাউনের আওতায় ভারত ৷ আর এতেই বিপাকে পড়েছেন ফল বিক্রেতারা । লকডাউনে ছাড় দেওয়া হয়েছে সবজি বিক্রেতাসহ ফল বিক্রেতাদের ৷ কিন্তু লকডাউনে ব্যবসায়ীদের সাধারণ দিনের চেয়ে বাণিজ্যিক হারে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ফল ৷ সেই ফল বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা । কারণ দোকান তো খোলা কিন্তু লকডাউনে মানুষ আগের মতো বেরোচ্ছে না । সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকটি মানুষ । তারা যা কিনছে তার পরিমাণও কম । রাস্তা জনশূন্য হয়ে পড়েছে । রাতের বেলা তো বটেই, দিনের বেলায়ও থাকছে না মানুষজন । চারিদিকে খাঁ খাঁ করছে । একসময় যে ফল দোকানগুলোতে দেদার ভিড় হত বা ফল কিনতে লম্বা লাইন পড়ে যেত, সেখানে জনশূন্য ৷ ফলে পাকা ফল প্রতিদিন কেজি কেজি নষ্ট হচ্ছে । পচা ফল ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা । নিজের কেনা দাম তো উঠছেই না উল্টে খেসারত দিতে হচ্ছে । মেদিনীপুর শহরের খোদ ব্যবসায়ীরাই শুনিয়েছে সেই আতঙ্কের কথা ।

শহরের ফল ব্যবসায়ী পলাশ দাস, রাজীব রায়রা বলছেন, ‘‘কোরোনার ভয়ে মানুষ এখন বাড়িতে ৷ ফল কী করে বিক্রি হবে । রাস্তায় তো মানুষই নেই । ভয়ে বেরোচ্ছে না ৷ ব্যবসার খুব লোকসান হচ্ছে ।’’ রাজাবাজারে ব্যবসা করতে আসা সঞ্জয় দাস, নিমাই করেরও একই বক্তব্য, ‘‘রাস্তা সকাল থেকেই ফাঁকা। তাছাড়া মানুষের হাতে টাকাও নেই, ফল কিনবে কীভাবে । এইরকম চলতে থাকলে আমাদের না খেতে পেয়ে মরতে হবে । সমস্যা আছে আরও ৷ লকডাউনে মিলছে না গাড়ি ৷ তাই দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে গাড়িতে ফল আনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ৷ পয়সা দিয়ে কেনা ফল পচে যাওয়ায় ফেলে দিতে হচ্ছে ৷

এই বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা হকার্স ইউনিয়নের সম্পাদক শংকর দাসের বক্তব্য,‘‘ টাটকা ফল এনে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা । সরকারকে বলব ফল ব্যবসায়ীদের দিকেও একটু নজর দিন ৷ কারণ তাদেরও পরিবার-পরিজন রয়েছে । এরকম চলতে থাকলে তারা চরম লোকসানের সম্মুখীন হবে ।

Last Updated : Apr 22, 2020, 3:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.