মেদিনীপুর, 4 অগস্ট: কাশ্মীরের ডাল লেকে প্রিয়জনের সঙ্গে শিকারায় ভাসতে ইচ্ছে হচ্ছে ? সঙ্গে আন্দামানের অ্যাডভেঞ্চার ? তাহলে এবার বঙ্গেই এই দুই ইচ্ছে পূরণ হবে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে জঙ্গলমহল অধ্যুষিত কংসাবতী নদীতে চলছে শিকারা ৷ খুব শীঘ্রই এখানে শুরু হবে একাধিক অ্যাডভেঞ্চার রাইডও ৷ উদ্যোক্তাদের আশা, দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এখানে এসে যেমন শিকারার স্বাদ নিতে পারবেন সঙ্গেই স্ক্রু ড্রাইভিং, ফ্রি-ফায়ার ক্যাম্প এবং বনভোজনের সুবিধাও মিলবে । পুরো দায়িত্বভার সামলাবেন স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা । পুজোর পরেই পুরোদমে চালু হতে চলেছে এইসব ব্যবস্থা ।
তিন একর জায়গায় 10 কোটি টাকা খরচা করে 'কংসাবতী এগ্রি অ্যাডভেঞ্চার' নামে এই পার্ক জঙ্গলমহল অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনীপুরের শহর মেদিনীপুর ও খড়গপুরের সংযোগস্থল কংসাবতীতে তৈরি করা হয়েছে । এই মুহূর্তে ব্যাটারিচালিত একটি বড় শিকারা এবং পালবাহী সাতটি শিকারা নিয়েই পথ চলা শুরু হয়েছে । ছোট বড় শিকারাতে চেপে পর্যটকরা কংসাবতী নদীর মাঝে গড়ে ওঠা তিনটি দ্বীপ যেমন পরিদর্শন করতে পারবেন, তেমনি থাকছে এই দ্বীপে গিয়ে রান্নাবান্না এবং বনভোজনের আনন্দ নেওয়ার ব্যবস্থা । এছাড়াও এই কংসাবতীর এক প্রান্তে পরিযায়ী পাখিদের দেখার সাধও মিলবে এই শিকারাতে ৷
আরও পড়ুন : নতুন হংকং হিসেবে গড়ে উঠবে আন্দামান
আগামিদিনে এখানে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার রাইড যেমন স্কুবা, স্পিডবোট, ব্যানানা ড্রাইভিংয়ের মতো জলক্রীড়ার ব্যবস্থা করা হবে । সঙ্গে থাকছে এই শিকারার উপর চেপে রেস্তোরাঁ, হাউজবোর্ড, বাস্তুতান্ত্রিক উদ্যান বিনোদন অঞ্চল, ফায়ার ক্যাম্প, অ্যাডভেঞ্চার সঙ্গে লাইট ও সাউন্ড শো-র মজা । এছাড়াও পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকছে ঝুমুর গান, কবিগান, ছৌ নাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ৷
এই পার্ক তৈরির উদ্দেশ্য মূলত এলাকার বিশেষ করে খড়গপুর ও মেদিনীপুরের 2000 স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজ দেওয়া ৷ এই পার্ককে ভিত্তি করে কর্মসংস্থান গড়ে তোলা ৷ উদ্যোক্তারা বলছেন, পুজো থেকেই পুরোদমে চালু হয়ে যাবে এই পার্ক । তাই পুজোর ছুটিতে আপনার গন্তব্য হতেই পারে মেদিনীপুরের এগ্রি অ্যাডভেঞ্চার পার্ক ৷
আরও পড়ুন : মিরিক যেন একটুকরো ডাল লেক, পুরোদমে চালু হচ্ছে শিকারা পরিষেবা