ETV Bharat / state

কোরোনার জেরে আনন্দপুরে বন্ধ ঝাড়েশ্বরের গাজন - Pandemic Corona

কথিত আছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একবার বন্ধ হয়েছিল ঝাড়েশ্বরের গাজন । তারপর থেকে এই দ্বিতীয়বার । কোরোনার জেরে বন্ধ হল গাজন উৎসব । অনুষ্ঠান বা মেলা বন্ধ হলেও চৈত্র সংক্রান্তিতে পুজো হবে নিয়ম মেনেই ।

jhareshwar
ঝাড়েশ্বর
author img

By

Published : Apr 6, 2020, 2:59 PM IST

মেদিনীপুর, 6 এপ্রিল : কোরোনার জেরে বাতিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়েশ্বর মন্দিরের গাজন উৎসব l প্রতিবছর চৈত্র মাসে কানাশোল গ্রামের এই মন্দিরে গাজন উৎসব হয় । মেলাও বসে। এই মেলায় অন্তত দশ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হয় । কিন্তু এবার কোরোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল উৎসব ।

কেশপুরের আনন্দপুর থানার কানাশোল গ্রাম । রাজ্যে এই গ্রামের পরিচিতি ঝাড়েশ্বর মন্দিরের জন্য l এখানে শিব পূজিত হন ঝাড়েশ্বর রূপে । চৈত্র মাসের গাজন উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস ব্যাপী মেলা চলে এখানে । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন আসেন । কিন্তু এবার পুরো ফাঁকা মন্দির প্রাঙ্গন । নেই মাইকের আওয়াজে মন্ত্রচ্চারণ বা হরেক মাল 10 টাকার বিজ্ঞাপন । নেই চপ ভাজার জিলিপির দোকান বা নাগরদোলার কাউন্টার । মন খারাপ এলাকাবাসীর ।

মন্দির প্রাঙ্গনে মেলা না থাকলেও পুজো হবে নিয়ম মেনেই । পুরোহিত ছাড়া সেবাইত এক- দু'জন থাকবেন মন্দিরে । তাছাড়া বাকি সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলেই জানা গেছে ।

এবিষয়ে সেবাইত সুনীল মিশ্র বলেন, "পূর্বপুরুষদের থেকে শোনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করেছিল l সেই সময় এই পুজোর অনুষ্ঠান একবার বাতিল হয়েছিল । তারপর থেকে কোনওদিন এমনটা আর হয়নি ।"

এনিয়ে সকলের মন খারাপ হলেও, এর মাঝেই আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন তাঁরা । স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, "পুজো বন্ধ না রাখলে ভিড়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে অনেক বেশি, আমাদের ভালোর জন্যই করা এই পদক্ষেপে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ।" তাঁদের কথায়, এবার পুজোয় বাড়িতে থাকলে আগামী আরও অনেক পুজোয় আনন্দ করতে পারব ।

মেদিনীপুর, 6 এপ্রিল : কোরোনার জেরে বাতিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়েশ্বর মন্দিরের গাজন উৎসব l প্রতিবছর চৈত্র মাসে কানাশোল গ্রামের এই মন্দিরে গাজন উৎসব হয় । মেলাও বসে। এই মেলায় অন্তত দশ হাজারের বেশি মানুষের সমাগম হয় । কিন্তু এবার কোরোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গেল উৎসব ।

কেশপুরের আনন্দপুর থানার কানাশোল গ্রাম । রাজ্যে এই গ্রামের পরিচিতি ঝাড়েশ্বর মন্দিরের জন্য l এখানে শিব পূজিত হন ঝাড়েশ্বর রূপে । চৈত্র মাসের গাজন উপলক্ষ্যে প্রায় একমাস ব্যাপী মেলা চলে এখানে । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন আসেন । কিন্তু এবার পুরো ফাঁকা মন্দির প্রাঙ্গন । নেই মাইকের আওয়াজে মন্ত্রচ্চারণ বা হরেক মাল 10 টাকার বিজ্ঞাপন । নেই চপ ভাজার জিলিপির দোকান বা নাগরদোলার কাউন্টার । মন খারাপ এলাকাবাসীর ।

মন্দির প্রাঙ্গনে মেলা না থাকলেও পুজো হবে নিয়ম মেনেই । পুরোহিত ছাড়া সেবাইত এক- দু'জন থাকবেন মন্দিরে । তাছাড়া বাকি সকলের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে বলেই জানা গেছে ।

এবিষয়ে সেবাইত সুনীল মিশ্র বলেন, "পূর্বপুরুষদের থেকে শোনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সরকার ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করেছিল l সেই সময় এই পুজোর অনুষ্ঠান একবার বাতিল হয়েছিল । তারপর থেকে কোনওদিন এমনটা আর হয়নি ।"

এনিয়ে সকলের মন খারাপ হলেও, এর মাঝেই আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন তাঁরা । স্থানীয়দের একাংশ বলছেন, "পুজো বন্ধ না রাখলে ভিড়ে সংক্রমণ ছড়াতে পারে অনেক বেশি, আমাদের ভালোর জন্যই করা এই পদক্ষেপে সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে ।" তাঁদের কথায়, এবার পুজোয় বাড়িতে থাকলে আগামী আরও অনেক পুজোয় আনন্দ করতে পারব ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.