মেদিনীপুর, 15 অক্টোবর : খড়গপুর আইআইটিতে (Kharagpur IIT) পড়ুয়ার মৃত্যুতে ফের সামনে এল নতুন তথ্য । ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ছেলেকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে (Khargapur IIT Student Death) এবং এই জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন করা হবে তারা জানিয়েছে ৷ তাদের আরও দাবি, আইআইটি কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে দুর্বব্যবহার করছে ৷ কোনোরকম যোগাযোগ রাখছে না ৷
শনিবার বিকেলে মেদিনীপুর মেডিক্যালের মর্গে ছেলের মৃতদেহ নিতে এসে আইআইটির প্রতি ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফাইজান আহমেদের বাবা সেলিম আহমেদ-সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা । ফাইজানের বাড়ি অসমের তিনসুকিয়ায় ৷ সেখান থেকে তাঁর বাবা, মা রেহানা আহমেদ, মাসি সালমা আহমেদ, মেসো রাশিদ আহমেদ ও আত্মীয় কামরুল আহমেদ এদিন দেহ নিতে আসেন মেদিনীপুরে ৷ মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা ।
ছেলে কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না বলে দাবি মৃতের বাবার । তিনি জানান, শেষবার মাসির সঙ্গে কথা হয়েছিল মঙ্গলবার রাত 10টা নাগাদ ৷ সম্প্রতি মাসির বিয়ে হওয়ায় তাঁদের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি । তখনই কথা হয় তাঁর ও ফাইজানের মধ্যে ৷
গত জুলাই মাসে বাড়ি গিয়েছিলেন ফাইজান । অগস্ট মাসে আবার তিনি খড়গপুর আইআইটিতে চলে আসেন । 2018 সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হন ফাইজান । অভিযোগ, তাঁর হস্টেল পরিবর্তন নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে ৷ কেন তিনি হস্টেল পরিবর্তন করেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি বলে পরিবারের দাবি ৷
হাসপাতালের মর্গে দেহ দেখার পরেই ফাইজানের বাবা সেলিম আহমেদ চিৎকার করে বেরিয়ে এসে দাবি করেন, তাঁর ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে । আইআইটি কর্তৃপক্ষ চুপ করে আছে । বুধবার থেকে মোবাইল বন্ধ রয়েছে । শরীর মুখ ফুলে গিয়েছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bengal CM Mamata Banerjee) কাছে আবেদন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।
তবে কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন ।
আরও পড়ুন : খড়গপুর আইআইটি হস্টেলে উদ্ধার পড়ুয়ার দেহ