চন্দ্রকোনা, 8 ডিসেম্বর: মিগজাউমের ব্যাপক প্রভাব জেলার ব্লকে ব্লকে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টি! আর এই দুর্যোগে দুর্ভোগ বাড়ছে কৃষকদের । ইতিমধ্যে আলু জমিতে জমতে শুরু করেছে বৃষ্টির জল ৷ তাতেই পচনের আশঙ্কায় মাথায় হাত আলু চাষিদের । সকাল হতেই মাঠে নেমে আলু জমি থেকে জমা জল সরাতে তৎপর চাষিরা ।
তবে শুধু আলু নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছেন ধান চাষিরাও ৷ কৃষকদের দাবি, আবহাওয়ার সতর্কবার্তা পেয়ে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে তড়িঘড়ি কাঁচা ধান কেটে ফেলেছিলেন ৷ কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ সেই ধান রোদে শুকোতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। এদিকে ধান কাটার কাজ শেষ হতেই আলু চাষের জন্য বীজ ছাড়ানোর কাজও হয়ে গিয়েছিল ৷ জমিতে গাছও বেড়িয়ে গেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে অনবরত বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমে গিয়েছে ৷ তাতেই ক্ষতির মুখে পড়ছেন কৃষকরা ৷ এদিকে বৃষ্টির ফলে নতুন করে আলু লাগানোর কাজ পিছিয়ে যাবে ৷ আবার কোনও ক্ষেত্রে আলু কাটা রয়েছে সেই আলুর বীজ নষ্ট হয়ে যাবে বলেই জানান কৃষকরা ৷
এই প্রসঙ্গেই আলু চাষি অসিত মালশ ও মদন পৈড়া বলেন, "অনবরত বৃষ্টি হচ্ছে আর তাতে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি হবে আলুর । অকাল এই বর্ষণে মাথায় হাত আলু চাষিদের । 2500 টাকা বস্তা করে আলু বিক্রি করেছি ৷ এরপরও যদি আবারও ক্ষতি হয় তবে আর চাষ করা সম্ভব হবে না । কারণ সব আলু জমিতে পড়ে রয়েছে ৷ আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল ।"
চাষের ক্ষতি প্রসঙ্গেই উপকৃষি অধিকর্তা দুলাল দাস অধিকারী বলেন, "জমি থেকে 74 শতাংশ ধান কেটে ফেলা হয়েছিল ৷ তবে সেক্ষেত্রে শস্য বীমার আওতায় যে সমস্ত কৃষকরা আছেন তাঁরা ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন । অন্যদিকে আলু চাষের ক্ষেত্রে এখনই বলা সম্ভব নয় । কারণ এ বছর প্রায় 29 হাজার 200 হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে । যেহেতু এখনো বৃষ্টি পড়ছে তাই ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বলতে পারব না।"
আরও পড়ুন: