ETV Bharat / state

জৈব পদ্ধতিতে 245 রকমের ধান চাষ, দিশা দেখাচ্ছেন গড়বেতার চাষি - চাষী প্রদ্যুৎ সামন্তের ধান চাষ

কখনও ধানের খাড়া খেয়েছেন ? সেই ব্যবস্থা করে প্রায় 18 বিঘা জমিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 245 ভ্যারাইটি ধানের চাষ করছেন প্রদ্যুৎ সামন্ত ৷ প্রয়োগ করছেন না কোনওরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ৷ রয়েছে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ 245 রকমের হারিয়ে যাওয়া দেশি ধান ৷ শুধু ধান নয়, ধানের খাড়াগুলোর রকমারি সুস্বাদু খাবার পরিবেশন করা যাবে যাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় ৷

চাষি প্রদ্যুৎ সামন্ত
author img

By

Published : Nov 9, 2019, 3:39 PM IST

Updated : Nov 10, 2019, 7:57 AM IST


গড়বেতা, 9 নভেম্বর : 245 রকমের ধান চাষ করছেন ৷ তাও মাত্র 18 বিঘা জমিতে ৷ ব্যবহার করছেন না কোনও রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ৷ ধান চাষে নতুন পথ দেখাচ্ছেন চাষি প্রদ্যুৎ সামন্ত ৷ এইসব ধানে বিভিন্ন রোগ দূর হবে বলে কৃষি ব্লক আধিকারিকের বক্তব্য ৷

ধান চাষের পাশাপাশি ধানের থেকে বেরোনো খাড়া রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রদ্যুৎ সামন্ত ৷ এবং যা খুব সুস্বাদু ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চাছাগোট গ্রামে একসঙ্গে প্রায় 245 প্রজাতির দেশি ধানের চাষ করেছেন ৷ এই চাষ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ৷ কোনওরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন না তিনি ৷ বলেন, প্রায় 18 বিঘা জমিতে 245 ভ্যারাইটির ধানের চাষ করছেন ৷ তার মধ্যে রয়েছে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া দেশি ধান ৷ ধানের ফলন অন্যান্য হাইলিং ধানের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে ৷ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে ৷

চাষি প্রদ্যুৎ সামন্তের বক্তব্য

দেশি ধানের বাজার কোথায় কী ভাবে বিক্রি করা হবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "অনেক মানুষ আছেন দেশি চালের ভাত খেতে চান ৷ স্থানীয় লোক তাদেরই এই ধান বিক্রি করে ৷ তাছাড়া কালাভাতি ধানের যে চাল হয় সেটি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৷ এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টার ফুলিয়া থেকে 245 রকমের দেশি ধানের প্রজাতির মধ্যে 235টি পেয়েছিলাম ৷ আর বাকি 10 টি নিজে সংগ্রহ করেছি ৷ এখানে এমন কিছু দেশি ধানের চাষ হচ্ছে যেমন জে পি 210, জে পি 90, কেরালা সুন্দরী ৷ এই ধানগুলো সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে, কোনওরকম রাসায়নিক সার ছাড়াই হেক্টর প্রতি 6 থেকে 8 টন ফসল পেতে পারি ৷ এখানে কালাভাতি ধানের চাষ হয়েছে প্রচুর ৷ এই ধানের চালের পাশাপাশি তাঁর ফেলে দেওয়া খাড়াগুলো আমরা খেতে পারি ৷ এই খাড়ার মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় , যা শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজন ৷ এছাড়া ও সেন্টেড রাইস , তুলাইপাঞ্জি চাষ করেছি ,মোগো চাষ করেছি ৷ এর মধ্যে কিছু কিছু ধান আছে যেগুলোকে আমরা মার্কেটিং করে বাজারজাত করতে পারি ৷ এই ধান চাষ করতে বিঘা প্রতি প্রায় 6 হাজার টাকার মতো খরচ হবে ৷ আর আনুমানিক এই ধান থেকে প্রায় বিঘা প্রতি কুড়ি হাজার টাকা লাভ হবে ৷"

অপর দিকে ব্লক কৃষি আধিকারিক অনুপ সামন্ত বলেন , "রাজ্য সরকারের প্রকল্প আর কে ভি ওয়াই প্রকল্পে চাষি প্রদ্যুৎ সামন্তকে 235 রকমের ধান দেওয়া হয়েছিল ৷ উনি আরও 10 রকমের অতিরিক্ত সংগ্রহ করে মোট 245 ধরনের ধান চাষ করছেন ৷ এই ধানের মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ৷ বিশেষ করে কালো রঙের যে কালাভাতি ধান চাষ হয়, সেই ধানের চাল খেলে ক্যানসার রোগ পর্যন্ত সারতে পারে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ধান রয়েছে, যে চাল কে ফুটাতে হবে না, এমনই ঠান্ডা বা গরম জলে রাখলেই ভাত হয়ে যাবে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সেন্টেড ধান পাওয়া যাবে যা থেকে পায়েস রান্না করা যেতে পারে ৷ এই ধান থেকে শুধু চাল পাওয়া যাবে তা নয় , এই ধানের শিষ থেকে বড়াও তৈরি করা যাবে ৷ পাশাপাশি এর খাড়া দিয়ে ভালো সুস্বাদু রান্না করা যাবে ৷ "


গড়বেতা, 9 নভেম্বর : 245 রকমের ধান চাষ করছেন ৷ তাও মাত্র 18 বিঘা জমিতে ৷ ব্যবহার করছেন না কোনও রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ৷ ধান চাষে নতুন পথ দেখাচ্ছেন চাষি প্রদ্যুৎ সামন্ত ৷ এইসব ধানে বিভিন্ন রোগ দূর হবে বলে কৃষি ব্লক আধিকারিকের বক্তব্য ৷

ধান চাষের পাশাপাশি ধানের থেকে বেরোনো খাড়া রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রদ্যুৎ সামন্ত ৷ এবং যা খুব সুস্বাদু ৷ তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চাছাগোট গ্রামে একসঙ্গে প্রায় 245 প্রজাতির দেশি ধানের চাষ করেছেন ৷ এই চাষ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে ৷ কোনওরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন না তিনি ৷ বলেন, প্রায় 18 বিঘা জমিতে 245 ভ্যারাইটির ধানের চাষ করছেন ৷ তার মধ্যে রয়েছে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া দেশি ধান ৷ ধানের ফলন অন্যান্য হাইলিং ধানের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে ৷ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে ৷

চাষি প্রদ্যুৎ সামন্তের বক্তব্য

দেশি ধানের বাজার কোথায় কী ভাবে বিক্রি করা হবে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "অনেক মানুষ আছেন দেশি চালের ভাত খেতে চান ৷ স্থানীয় লোক তাদেরই এই ধান বিক্রি করে ৷ তাছাড়া কালাভাতি ধানের যে চাল হয় সেটি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ৷ এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টার ফুলিয়া থেকে 245 রকমের দেশি ধানের প্রজাতির মধ্যে 235টি পেয়েছিলাম ৷ আর বাকি 10 টি নিজে সংগ্রহ করেছি ৷ এখানে এমন কিছু দেশি ধানের চাষ হচ্ছে যেমন জে পি 210, জে পি 90, কেরালা সুন্দরী ৷ এই ধানগুলো সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে, কোনওরকম রাসায়নিক সার ছাড়াই হেক্টর প্রতি 6 থেকে 8 টন ফসল পেতে পারি ৷ এখানে কালাভাতি ধানের চাষ হয়েছে প্রচুর ৷ এই ধানের চালের পাশাপাশি তাঁর ফেলে দেওয়া খাড়াগুলো আমরা খেতে পারি ৷ এই খাড়ার মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় , যা শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজন ৷ এছাড়া ও সেন্টেড রাইস , তুলাইপাঞ্জি চাষ করেছি ,মোগো চাষ করেছি ৷ এর মধ্যে কিছু কিছু ধান আছে যেগুলোকে আমরা মার্কেটিং করে বাজারজাত করতে পারি ৷ এই ধান চাষ করতে বিঘা প্রতি প্রায় 6 হাজার টাকার মতো খরচ হবে ৷ আর আনুমানিক এই ধান থেকে প্রায় বিঘা প্রতি কুড়ি হাজার টাকা লাভ হবে ৷"

অপর দিকে ব্লক কৃষি আধিকারিক অনুপ সামন্ত বলেন , "রাজ্য সরকারের প্রকল্প আর কে ভি ওয়াই প্রকল্পে চাষি প্রদ্যুৎ সামন্তকে 235 রকমের ধান দেওয়া হয়েছিল ৷ উনি আরও 10 রকমের অতিরিক্ত সংগ্রহ করে মোট 245 ধরনের ধান চাষ করছেন ৷ এই ধানের মধ্যে বেশিরভাগ রয়েছে বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে ৷ বিশেষ করে কালো রঙের যে কালাভাতি ধান চাষ হয়, সেই ধানের চাল খেলে ক্যানসার রোগ পর্যন্ত সারতে পারে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ধান রয়েছে, যে চাল কে ফুটাতে হবে না, এমনই ঠান্ডা বা গরম জলে রাখলেই ভাত হয়ে যাবে ৷ এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সেন্টেড ধান পাওয়া যাবে যা থেকে পায়েস রান্না করা যেতে পারে ৷ এই ধান থেকে শুধু চাল পাওয়া যাবে তা নয় , এই ধানের শিষ থেকে বড়াও তৈরি করা যাবে ৷ পাশাপাশি এর খাড়া দিয়ে ভালো সুস্বাদু রান্না করা যাবে ৷ "

Intro:কখনো ধানের খাড়া খেয়েছেন ? খাননি তো ,সে ব্যবস্থা করে প্রায় 18 বিঘা জমিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 245 রকমের ভ্যারাইটি ধানের চাষ করছেন চাষী প্রদ্যুৎ সামন্ত ,কোনরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করেই , যার মধ্যে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ রয়েছে 245 রকমের হারিয়ে যাওয়া দেশী ধান l শুধু ধান নয়, ধানের খাড়া গুলোর রকমারি সুস্বাদু ডিস্ পরিবেশন করা যাবে যাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়Body:কখনো ধানের খাড়া খেয়েছেন ? খাননি তো ,সে ব্যবস্থা করে প্রায় 18 বিঘা জমিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 245 রকমের ভ্যারাইটি ধানের চাষ করছেন চাষী প্রদ্যুৎ সামন্ত ,কোনরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করেই , যার মধ্যে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ রয়েছে 245 রকমের হারিয়ে যাওয়া দেশী ধান l শুধু ধান নয়, ধানের খাড়া গুলোর রকমারি সুস্বাদু ডিস্ পরিবেশন করা যাবে যাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় l


ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি , ছোটবেলায় এই ধরনের ভাব-সম্প্রসারণ পড়তে পড়তে আমরা কিছুটা হলেও ওয়াকিবহাল হয়েছি যে, আজকের দিনে খাবারের কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে l বিশেষ করে প্রতিদিন সংবাদ পত্র দেখি কত মানুষ না খেয়ে দিন যাপন করছে এবং মারা যাচ্ছে l দিন দিন প্রতিটি জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে l যা প্রতিদিন দু'মুঠো খাবারের যোগান করতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ l আগে যেখানে জমিতে একবার বছরে ধান চাষ হতো, সেখানে এখন সেই জমিতে বছরে চারবার ধান চাষ হচ্ছে, তা সত্বেও খাদ্যের যোগান দেওয়া যাচ্ছে না l এইবার সেই খাবারের যোগান দিতে নতুন পথ দেখাচ্ছেন প্রদ্যুৎ সামন্ত l তিনি ধান চাষের পাশাপাশি ধানের থেকে বেরোনো খাড়া রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং যা সুস্বাদু l তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের সহযোগিতায় গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের চাছাগোট গ্রামে একসঙ্গে প্রায় 245 প্রজাতির দেশি ধানের চাষ করেছেন l এই চাষ সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে, কোনরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করেই কৃষক প্রদ্যতু সামন্ত l চাষী প্রদ্যুৎ সামন্ত জানান প্রায় 18 বিঘা জমিতে 245 ভ্যারাইটির ধানের চাষ করছেন তিনি ,তার মধ্যে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া দেশী ধান l ধানের ফলন অন্যান্য হাইলিং ধানের চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে ,সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে চাষ হয়েছে l এই দেশি ধানের বাজার কোথায় কিভাবে বিক্রি করা হবে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান অনেক মানুষ আছেন দেশি চালের ভাত খেতে চান, লোকাল লোক তাদেরকেই এই ধান বিক্রি করা হয় l তাছাড়া কালাভাতি ধানের যে চাল হয় সেটি প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ l এগ্রিকালচার ট্রেনিং সেন্টার ফুলিয়া থেকে 245 রকমের দেশি ধানের প্রজাতির মধ্যে 235 টি পেয়েছিলাম আর বাকি গুলি নিজে 10 টি কালেকশন করেছি l এখানে এমন কিছু দেশী ধানের চাষ হচ্ছে যেমন জে পি 210, যে পি90, কেরালা সুন্দরী l এই ধান গুলো সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে, কোন রকম রাসায়নিক সার ছাড়াই হেক্টর প্রতি 6 থেকে 8 টন ফসল পেতে পারি l এখানে কালাভাতী ধানের চাষ হয়েছে প্রচুর l এই ধানের চালের পাশাপাশি তাঁর ফেলে দেওয়া খাড়া গুলো আমরা খেতে পারি l এই খাড়ার মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় , যা শরীরের অত্যন্ত প্রয়োজন l এছাড়া ও সেন্টেড রাইস , তুলাইপাঞ্জি চাষ করেছি ,মোগো চাষ করেছি l এর মধ্যে কিছু কিছু ধান আছে যেগুলো কে আমরা মার্কেটিং করে বাজারজাত করতে পারি l এই ধান চাষ করতে বিঘা প্রতি প্রায় 6 হাজার টাকার মতো খরচ হবে l আর আনুমানিক এই ধান থেকে প্রায় বিঘা প্রতি কুড়ি হাজার টাকা লাভ হবে l অপর দিকে ব্লক কৃষি আধিকারিক অনুপ সামন্ত জানান রাজ্য সরকারের প্রকল্প আর কে ভি ওয়াই প্রকল্পে চাষী প্রদ্যুৎ সামন্ত কে 235 রকমের ধান দেওয়া হয়েছিল ,উনি আরো 10 রকমের এক্সট্রা সংগ্রহ করে মোট 245 ধরনের ধান চাষ করছেন l এই ধানের মধ্যে বেশির ভাগ রয়েছে বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে l বিশেষ করে কালো রংয়ের যে কালাভাতি ধান চাষ হয়, সেই ধানের চাল খেলে ক্যান্সার রোগ পর্যন্ত সারতে পারে l এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ধান রয়েছে, যেই চাল কে ফুটাতে হবে না, এমনি ঠান্ডা বা গরম জলে রাখলেই ভাত হয়ে যাবে l এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সেন্টেড ধান পাওয়া যাবে এই ধানের চাক থেকে অপূর্ব সুগন্ধ বেরোবে এর পায়েস রান্না করা যেতে পারে l তাছাড়া বেশিরভাগ ধরনের ধানের চাল থেকে বিভিন্ন রোগ অতি দ্রুত সেরে উঠবে বলে জানান তিনি l এই ধান থেকে শুধু চাল পাওয়া যাবে তা নয় ,এই ধানের শীষ থেকে বড়া তৈরি করা যাবে পাশাপাশি এর খাড়া দিয়ে ভালো সুস্বাদু রান্না করা যাবে l Conclusion:কখনো ধানের খাড়া খেয়েছেন ? খাননি তো ,সে ব্যবস্থা করে প্রায় 18 বিঘা জমিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 245 রকমের ভ্যারাইটি ধানের চাষ করছেন চাষী প্রদ্যুৎ সামন্ত ,কোনরকম রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ না করেই , যার মধ্যে কালা ভাতি, কৃষ্ণ মুকুল, সেন্টেড রাইস ,তুলাইপাঞ্জি, সীতা সাল, নাগরা সাল সহ রয়েছে 245 রকমের হারিয়ে যাওয়া দেশী ধান l শুধু ধান নয়, ধানের খাড়া গুলোর রকমারি সুস্বাদু ডিস্ পরিবেশন করা যাবে যাতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়
Last Updated : Nov 10, 2019, 7:57 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.