চন্দ্রকোনা, 7 ডিসেম্বর : জাওয়াদের জেরে আত্মহত্যা করলেন চাষি । নিম্নচাপের জেরে টানা বর্ষণে জলমগ্ন জমি, আর তাতেই ঋণ নিয়ে চাষ করা আলুর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় আত্মঘাতী হলেন চাষি । জানা গিয়েছে, জমিতে বৃষ্টির জমা জল কাটানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে অশান্তি হয় ৷ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধান্যঝাটি গ্রামে (Farmer commits suicide on apprehension of loss due to Jawad at Chandrakona) ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় কৃষক ভোলানাথ বায়েন চাষের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল ছিলেন । ধান্যঝাটি গ্রামের বাসিন্দা এই কৃষক এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন ৷ এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা । এক গ্রামবাসী ও তাঁর স্ত্রীও জানালেন, ঋণ নিয়ে এই কৃষক চাষ করেছিলেন ৷
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে চাষের জমিতে জল জমে যাওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে যায় । সদ্য লাগানো আলু জমিতে জমা জল কাটানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় ৷ আর তারপরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন ভোলানাথ । সোমবার সন্ধেয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ায় বাড়িতেই বিষ খান ভোলানাথ বায়েন ৷ রাতে তাঁকে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । তবু শেষ রক্ষা হয়নি ৷ মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর ।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee on Farm Laws : কৃষি আইন প্রত্যাহার কৃষক সমাজের জয়, বললেন মমতা
যদিও মৃত কৃষকের এক আত্মীয় জানান, জমিতে জল কাটানো নিয়ে স্বামী স্ত্রীর অশান্তি হলেও মদ্যপ অবস্থায় ভোলানাথ বিষ খেয়েছেন । চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। যদিও পুলিশ এখনই মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে চায়নি । তদন্ত করে কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয় ৷
পরিবারের এক সদস্য বলেন, "বেশ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে সদ্য আলু ব্যবসায় নেমেছিলেন ভোলানাথ বায়েন ৷ কিন্তু জাওয়াদের দরুণ নিম্নচাপ আর নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে যায় চাষের জমি । এই অবস্থায় ক্ষতির আশঙ্কায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি ।এরপর জমিতে জমা জল বাইরে বের করানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয় ৷ এর ফলে অসন্তুষ্ট হয়ে ক্ষোভে বিষ খেয়ে নেন তিনি ৷"
আরও পড়ুন : West Bengal Farmers : মমতার আমলে চাষিদের আয় বাড়লেও কৃষি নির্ভরতা কমেছে