গড়বেতা 2 অক্টোবর: পুজোর শপিং ও চাঁদা তোলার কাজ শুরু করে দিল 'রামলাল'। চন্দ্রকোনা গড়বেতার 14 নম্বর জাতীয় সড়কে রীতিমতো ট্রাক থামিয়ে নিজের মতো চাঁদা তুলে নিচ্ছে সে। আর তা দেখতে আসর জমিয়েছেন অনেকে। কেউ তুলছেন ভিডিয়ো কেউ বা সেলফি। যদিও ঘণ্টাখানেক পর 'রামলাল'কে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ ভাবছেন নিশ্চয় রামলালকে জঙ্গলে পাঠানো হল কেন? জানতে পড়ে নিন এই প্রতিবেদন ৷
রামলাল আসলে এক দাঁতাল ৷ সে 'ঝাড়গ্রাম কি রামলাল' বলেই খ্যাত ৷ কিন্তু সে এখন ঠিকানা বদলে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাড়ি দিয়েছে সে ৷ সোমবারের এইকাণ্ডে রামলালকে বন দফতরের লোক এসে গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে যানজট কাটিয়ে দেয়। পুজোর আর হাতে মাত্র কয়েকদিন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় যেমন মণ্ডপের কাজ শেষ পর্যায়ে তেমনি চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। অন্যদিকে, নতুন জামা-প্যান্ট কেনার সঙ্গে পুজোর জন্য চাঁদা তোলার হিড়িক চলছে জঙ্গলমহলে। মানুষের মতো পুজোর আগে চাঁদা তুলতে তাই রাস্তায় নেমে পড়েছে রামলাল।
সোমবার সকাল সকাল জাতীয় সড়কে দাপিয়ে বেড়াল সে। শুধু তাই নয়, 14 নম্বর জাতীয় সড়কে যানবাহন আটকে খাবারের খোঁজে তাণ্ডব চালাতেও দেখা গেল এই গজরাজকে। জানা যায়, সোমবার সকালে গড়বেতা লাগোয়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে জাতীয় সড়কে চলে আসে ঝাড়গ্রামের রামলাল। এরপর রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যানবাহন আটকে খাবারের খোঁজে গাড়ি গুলিতে তল্লাশি চালায়। রামলালের তাণ্ডবে জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে সারি সারি গাড়ি। জাতীয় সড়কে বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে যান চলাচল। পরে বন দফতরের কর্মীদের সাহায্যে রামলালকে জঙ্গলে পাঠানো হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, রামলাল হল ঝাড়গ্রামের একটি স্থানীয় ঘুরে বেড়ানো দাঁতাল হাতি। যাকে প্রায় সময় ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন অলিগলি এবং সড়কে দেখা যায়। মূলত খাবারের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে । তবে এই হাতিটি স্বভাবতই শান্ত প্রিয় এবং ক্ষয়ক্ষতি না-করেই নিজের প্রয়োজন মতো খাবার সংগ্রহ করে নেয়। এই রামলালকে নিয়ে কোনওরকম মাথাব্যথা থাকে না বনদফতরের। এলাকার বাসিন্দারাও রামলালকে নিয়ে খুব একটা ক্ষিপ্ত নন। এ নিয়ে এক বন আধিকারিক জানান, রামলাল অত্যন্ত শান্ত প্রিয় হাতি। সাধারণত খাবারের খোঁজে লোকালে চলে আসে।"
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মার দিন 'বাহন' হাতির পুজোয় মাতল গরুমারা জাতীয় উদ্যান