ETV Bharat / state

যশ মোকাবিলা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক-সহ আধিকারিকরা

author img

By

Published : May 25, 2021, 3:31 PM IST

আমফানের স্মৃতি মেলাতে না মেলাতেই আসছে যশ ৷ এবার ঝড়ের গতিপথে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে কলকাতা তো আছেই, রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন অঞ্চল ৷ আমফানের ক্ষত মনে রেখে আগেভাগেই জরুরি ব্যবস্থাগুলি নিতে শুরু করেছে জেলাপ্রশাসন ৷ সোমবার রাতেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ৷

ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে জেলাপ্রশাসন আধিকারিকেরা
ত্রাণ শিবির পরিদর্শনে জেলাপ্রশাসন আধিকারিকেরা

মেদিনীপুর, 25 মে : আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল ওডিশা-বাংলা সীমানায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ । আতঙ্কিত দেশের বিভিন্ন রাজ্য সমেত পশ্চিমবঙ্গও ৷ এর আর এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে রয়েছে পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশ ৷ প্রভাব পড়বে জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুরে সীমান্ত এলাকাগুলোতেও ৷ তার আগেই রাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা । জেলায় প্রায় 1000 রেসকিউ সেন্টারে প্রায় 2 লক্ষ মানুষকে এনে রাখা হয়েছে ইতিমধ্যে ৷ এনডিআরএফ-সহ সামরিক বাহিনীর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ৷ ও 80 জন জওয়ান রাখা হয়েছে জেলায়।

সোমবার রাতে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক-সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং জেলা প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকেরা । ঘূর্ণিঝড় আসার আগে রাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । মূলত প্যানডেমিক করোনা সংক্রমণের উপর এই ঘূর্ণিঝড় অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি । তাই এই জায়গাগুলিতে দিনে তো বটেই, রাতেও মাইকিং করে অঞ্চলবাসীকে সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন । পাশাপাশি নদীর পাড় বরাবর কাঁচা বাড়ি থেকে মানুষ সরানোর কাজ চলছে ।

আরও পড়ুন : যশের দাপটের আগেই জোয়ারের জল ঢুকল পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক গ্রামে

জেলাশাসক রেশমি কোমল পরিদর্শনে যান কেশিয়াড়িতে, শালবনিতে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার, ঘাটালে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পিনাকীরঞ্জন প্রধান, ডেবরায় অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) কুহুক ভূষণ, দাঁতনে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার সিংলা । কেশিয়াড়ি পরিদর্শনের সময়ে জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন জেলার ওসি (বিপর্যয় মোকাবিলা) দেবব্রত সাউ । ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নেওয়া এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে তাঁরা জানান যে, জেলা প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে । আর ত্রাণ শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা আছে কি না, যথেষ্ট সংখ্যক উদ্ধারকর্মী রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকেরা ৷ জেলাশাসক রেশমি কোমল সাংবাদিকদের বলেন, "এই ঝড়ের বিষয়ে তদারকি করা হয়েছে ৷ সমস্ত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে । শুকনো খাবার ত্রিপল রয়েছে ৷ নিরাপত্তা এবং উদ্ধারকর্মীরাও থাকছেন এখানে । বিশেষত দ্রুত উদ্ধারকার্য চালাতে 7টি এনডিআরএফ, 2টি এসডিআরএফ দলের সঙ্গে প্রায় 80 জন জন সেনা রয়েছেন ৷ ঝড়ের প্রভাবের পরেই ভেঙে যাওয়া বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, গাছপালা, সরাতে উদ্ধারবাহিনী এসে পৌঁছেছে ইতিমধ্যে । এছাড়া রাতেই প্রায় 82 হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে । আমরা সব বিষয়ে তৈরি প্রস্তুতি নিয়েছি ৷ আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও মজুত করা রয়েছে ।"


এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে । এছাড়াও দফায় দফায় জরুরি বৈঠক সারছেন আধিকারিকেরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ।

মেদিনীপুর, 25 মে : আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামীকাল ওডিশা-বাংলা সীমানায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ । আতঙ্কিত দেশের বিভিন্ন রাজ্য সমেত পশ্চিমবঙ্গও ৷ এর আর এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথে রয়েছে পূর্ব, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশ ৷ প্রভাব পড়বে জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুরে সীমান্ত এলাকাগুলোতেও ৷ তার আগেই রাতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরা । জেলায় প্রায় 1000 রেসকিউ সেন্টারে প্রায় 2 লক্ষ মানুষকে এনে রাখা হয়েছে ইতিমধ্যে ৷ এনডিআরএফ-সহ সামরিক বাহিনীর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন জায়গায় ৷ ও 80 জন জওয়ান রাখা হয়েছে জেলায়।

সোমবার রাতে বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলি পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক-সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং জেলা প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকেরা । ঘূর্ণিঝড় আসার আগে রাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা । মূলত প্যানডেমিক করোনা সংক্রমণের উপর এই ঘূর্ণিঝড় অনেকটা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই ৷ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি । তাই এই জায়গাগুলিতে দিনে তো বটেই, রাতেও মাইকিং করে অঞ্চলবাসীকে সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন । পাশাপাশি নদীর পাড় বরাবর কাঁচা বাড়ি থেকে মানুষ সরানোর কাজ চলছে ।

আরও পড়ুন : যশের দাপটের আগেই জোয়ারের জল ঢুকল পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক গ্রামে

জেলাশাসক রেশমি কোমল পরিদর্শনে যান কেশিয়াড়িতে, শালবনিতে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার, ঘাটালে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পিনাকীরঞ্জন প্রধান, ডেবরায় অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) কুহুক ভূষণ, দাঁতনে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) তুষার সিংলা । কেশিয়াড়ি পরিদর্শনের সময়ে জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন জেলার ওসি (বিপর্যয় মোকাবিলা) দেবব্রত সাউ । ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নেওয়া এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে তাঁরা জানান যে, জেলা প্রশাসন তাঁদের পাশে রয়েছে । আর ত্রাণ শিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা আছে কি না, যথেষ্ট সংখ্যক উদ্ধারকর্মী রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকেরা ৷ জেলাশাসক রেশমি কোমল সাংবাদিকদের বলেন, "এই ঝড়ের বিষয়ে তদারকি করা হয়েছে ৷ সমস্ত ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমাণে রাখা হয়েছে । শুকনো খাবার ত্রিপল রয়েছে ৷ নিরাপত্তা এবং উদ্ধারকর্মীরাও থাকছেন এখানে । বিশেষত দ্রুত উদ্ধারকার্য চালাতে 7টি এনডিআরএফ, 2টি এসডিআরএফ দলের সঙ্গে প্রায় 80 জন জন সেনা রয়েছেন ৷ ঝড়ের প্রভাবের পরেই ভেঙে যাওয়া বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, গাছপালা, সরাতে উদ্ধারবাহিনী এসে পৌঁছেছে ইতিমধ্যে । এছাড়া রাতেই প্রায় 82 হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জঙ্গলমহল পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে । আমরা সব বিষয়ে তৈরি প্রস্তুতি নিয়েছি ৷ আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসও মজুত করা রয়েছে ।"


এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে । এছাড়াও দফায় দফায় জরুরি বৈঠক সারছেন আধিকারিকেরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.