দাসপুর, 11 মে: স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরবাসীর ৷ শীঘ্রই দাসপুরে তৈরি হবে গোল্ড হাব ৷ বুধ ও বৃহস্পতিবার গোল্ড হাবের তৈরির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এলেন জেলাশাসক ও বিধায়ক ৷ এই গোল্ড হাবের ফলে উপকৃত হবেন বাইরের রাজ্যে কর্মরত কয়েক হাজার এলাকার স্বর্ণশিল্পী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে ।
মূলত, চলতি বছরে 16 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দাসপুরে গোল্ড হাবের শিলান্যাস করেন । প্রশাসনিকভাবে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের ফরিদপুরে গোল্ড হাবের জায়গা চিহ্নিতকরণ করা হয়। এরপরই মাঝখানে অনেকটাই সময় কেটে যায়। তবে তারপরই তড়িঘড়ি পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই গোল্ড হাবের দিকে নজর দেয় রাজ্য সরকার। এদিন ফরিদপুরের সেই এলাকা পরিদর্শন করতে আসলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভূইয়াঁ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকেরা ।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল-দাসপুরের বেশিরভাগ মানুষই সোনার কাজের উপর নির্ভরশীল। ভিন রাজ্যে সোনার কাজে কর্মরত রয়েছেন সেখানকার প্রচুর মানুষ। তাদের রাজ্যে কাজের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এই গোল্ড হাব। এলাকা পরিদর্শনে এসে জেলাশাসক বলেন, "দ্রুত গোল্ড হাবের কাজ শুরু হবে । প্রথম পর্যায়ের কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেওয়া হল । এই কাজ প্রায় আট কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। আর এটি তৈরি হলে ব্যাপক উন্নয়ন হবে এলাকায় । কর্মরত হবেন কয়েক হাজার স্বর্ণশিল্পী।" যদিও তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী এই হাবের সূচনা করেছেন কয়েকমাস আগেই ।
এলাকার বিধায়ক মমতা ভূইয়াঁ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের প্রকল্প এই গোল্ড হাব । তাছাড়া এলাকার মানুষের খুবই প্রয়োজন ছিল । ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন আর তারপরে তিনি উদ্বোধন করেছেন । আমরা ওয়ার্ক অর্ডার করে দিলাম এবার তৈরির অপেক্ষায় । প্রথম পর্যায়ে শতাধিক মানুষকে নিয়োগ করা হবে ৷ পরবর্তীকালে পাঁচশো-হাজার সংখ্যাটা বাড়বে ।"
আরও পড়ুন: ডট কলমের যুগে ব্রিটিশ আমলের পেন হাসপাতালে কমেছে মানুষের ভিড়