মেদিনীপুর, 11মে : কোরোনা আতঙ্ক দেশজুড়ে ৷ আর সেই আগুনে ঘি ঢালছে একাংশ নেটিজেন। বিশেষ করে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের মত সোশাল সাইটে বেশকিছু মানুষ কোরোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে যাচ্ছে । আর সেই ঘটনায় নড়েচড়ে বসল মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । শুরু হল দমন প্রক্রিয়া ।
কোরোনার প্রাদুর্ভাব যত বেড়েছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভুয়ো খবরের রমরমা । এরকমই অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় । মাঝে মাঝেই বিভিন্ন সোশাল সাইটে ছড়িয়ে দিচ্ছে কোরোনার আতঙ্ক । সোশাল সাইটে বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা যায় জেলার বহু জায়গায় শয়ে শয়ে কোরোনা রোগী ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তারা আরো মানুষকে সংক্রমিত করছে । অপর দিকে এক মহিলার অডিয়ো বার্তার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার করে জেলার বহু জায়গায় কোরোনার সংক্রমিত হওয়ার খবর । এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । মূলত এই কোরোনা গুজব রোধ করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র বদ্ধপরিকর । সেই প্রেক্ষিতে এবার সোশাল সাইটে পোস্ট করা ব্যক্তিদের খুঁজে বার করতে শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ । পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ভুয়ো খবরের তদন্ত করতে গিয়ে মোট ন’টি কেস দায়ের করেছে এবং এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে আটজন সোশাল সাইট ইউজ়ার । প্রতিদিন ভুয়ো খবর দমন করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ ।
আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার এক সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে এই তথ্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন । তিনি বলেন, ‘‘আমরা ক্রমবর্ধমান দেখে যাচ্ছি বেশ কিছু মানুষ কোরোনা সম্পর্কে গুজব রটিয়ে বেড়াচ্ছে । যখন তখন যেখানে সেখানে বিভিন্ন রকম ভুলভাল এবং গুজবের খবর পোস্ট করে মানুষকে বিভ্রান্ত ও আতঙ্ক তৈরি করছে । এই অবস্থায় আমরা কড়া হাতে দমন করার জন্য আমাদের সমস্ত থানাকে নির্দেশ দিয়েছি । ইতিমধ্যে আমরা এই গুজব রটানোর প্রেক্ষিতে ন’টি অভিযোগে আট জনকে গ্রেপ্তার করেছি । তাকে এই প্যানডেমিক সংক্রান্ত আইনে তার বিরুদ্ধে ধারা প্রয়োগ করে তদন্ত শুরু করেছি । তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে সমস্ত জেলাবাসীকে জানাতে চাই কেউ কোনওভাবেই গুজব রটাবেন না । কোরোনার গুজব রটাতে গিয়ে যদি কেউ ধরা পড়েন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব ।
উল্লেখ্য সম্প্রতি একজন মহিলা অডিয়ো বার্তার মধ্য দিয়ে জেলাবাসীকে বিভ্রান্ত করেছিল । সেই অডিয়ো বার্তার মধ্য দিয়ে বলতে চেয়েছিল মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা মরে যাচ্ছে এবং লুকিয়ে রয়েছে যা পুলিশ প্রশাসন দেখছে না এবং দেখেও ব্যবস্থা নেয়নি । এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল শহরজুড়ে । সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছিল । সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার নড়েচড়ে বসল জেলা পুলিশ ।