দুর্গাপুর, 6 সেপ্টেম্বর : দু'দিন আগেই রাজ্য়ের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন ৷ শুধুমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন ৷ এর সঙ্গে রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন হবে ৷ তবে ভবানীপুর নিয়েই আগ্রহ সবার ৷ কারণ এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দাঁড়াবেন বলে প্রথম থেকে শোনা গিয়েছিল ৷ দল তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে গতকাল ৷ 30 সেপ্টেম্বর অর্থাৎ দুর্গাপুজোর ঠিক আগে ভবানীপুরের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ৷ এ নিয়ে এবার আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷
কমিশনের উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই আইনজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ৷ প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার কথাও বলেন দিলীপ ঘোষ ৷ সোমবার সকালে দুর্গাপুরের বিধাননগরে বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় মহিলা কর্মীকে দেখতে এসে এমনই জানান বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি । দুর্গাপুর নগর নিগমের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে টিকা নিতে গেলে ওই মহিলাকে বিদ্রুপ ও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ ওই মহিলা ঘটনার পরের দিন আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন ৷ দুর্গাপুর ব্যারাজ সংলগ্ন দামোদর নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি ৷ কিন্তু স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্ষা পান ৷ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷
ওই মহিলাকে দেখতে এসে ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "ডাল মে কুছ কালা হ্যায় ৷" রবিবার আসন্ন উপনির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে কটাক্ষ করেছিলেন ৷ এদিন একধাপ এগিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একহাত নেন তিনি ৷ তাঁর বক্তব্য, করোনা বিধিতে পঞ্চাশ জনের বেশি লোক একত্রিত হওয়ার নিয়ম যেখানে নেই, সেই অবস্থায় আসন্ন নির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মিটিং মিছিলে হাজার হাজার লোক জমায়েত হবে ৷ কারো বাবার ক্ষমতা নেই এই মিছিল-মিটিং আটকানোর ৷ কিন্তু বিজেপি মিটিং করলেই দিলীপ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের সমর্থকদের গ্রেফতার করবে পুলিশ ৷
এই সংক্রান্ত খবর : শুধু ভবানীপুরেই উপনির্বাচন কেন, প্রশ্ন শুভেন্দুর
শুধু ভবানীপুরে কেন, বাকি কেন্দ্রে উপনির্বাচন নয় কেন, এর আগে এই প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তিনি বলেছিলেন, নির্বাচন কমিশন আর বিজেপি-র মধ্যে কোনও আঁতাত নেই ৷ তারপর এবার দিলীপ ঘোষ কমিশনকে একহাত নেন ৷ কার্যত কেন্দ্র ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এত চাঁচাছোলা ভাষায় একযোগে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিকে ৷ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দিলীপ ঘোষের এ হেন মন্তব্যে রাজনৈতিকমহলে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে ৷
