খড়গপুর, 18 ফেব্রুয়ারি: ফের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করলেন বিজেপির সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার রাতেই খড়গপুরে এসেছেন এই বিজেপি সাংসদ। গোপালির আশ্রমে এক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে শনিবার, অর্থাৎ আজ মর্নিংওয়ার্ক করেন বিজেপি সাংসদ। কর্মসূচি শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন দিলীপ ঘোষকে ৷ সেই প্রশ্নের উত্তরেই শাসকদল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতাদের তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন এই বিজেপি নেতা (Dilip Ghosh Slams Mamata Banerjee Over DA Issue )।
সাংবাদিকরা এদিন দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করেন, রাজ্য সরকারের 38 শতাংশ ডিএ (DA)-র পরিবর্তে 3 শতাংশ দেওয়া নিয়ে ৷ উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "যারা রাজ্য চালাতে পারে না তাদের উচিত অবিলম্বে রাজ্যের দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া। এই সরকার যেভাবে সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করছে তাতে সরকারি কর্মচারীরা কোনওদিন যদি পেন ডাউন করে ফেলে তখন রাজ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে।" পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়েও এদিন তিনি মুখ খুলেছেন।
গড়িয়াহাটে হকারদের বসাতে বিরাট অংকের তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, "এটা বাস্তব সত্য সব জায়গায় টাকা নিয়ে লেনদেন হচ্ছে। সরকারি জায়গা দখল করে বাড়িঘর বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আর তা হচ্ছে টাকার বিনিময়ে ৷ দোকান তৈরি করে হাত বদলের সময়ও সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন হচ্ছে । এগুলো আগে অভিযোগ ছিল এখন তা সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।" বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা উদ্ধার এবং বিভিন্ন জায়গায় টাকার বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বলেন, "টাকা যখন এসেছে অবৈধভাবে তখন সেটা তো কোথাও না-কোথাও লাগাতে হবে। এই যে রাস্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় টাকা ধরা পড়ছে নেতাদের সম্পর্ক আছে বলেই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আর সেখানে ছাপামারি হচ্ছে আর ধরপাকড় হচ্ছে তাই টাকা বেড়াচ্ছে। এইসবের সাথে যুক্ত কয়লার টাকা গরুর টাকা, বালি পাচারের টাকা।"
আরও পডুন: 'বিজেপি নেতা দুর্নীতিতে জড়িত হলে গ্রেফতার নয় কেন ?' নাম না-করে দিলীপকে নিশানা মমতার
তিনি আরও বলেন, "এমনকী শিক্ষক নিয়োগের টাকাও রয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা বাজারে ঘুরছে কিছু টাকা বিদেশ চলে গিয়েছে, কিছু টাকা এখানে বা বাংলার বাইরে গিয়েছে। কিছু এখানকার ব্যবসায়ীদের হাতে এসেছে। আর কোনও না-কোনওভাবে সেগুলো বিনিয়োগ হচ্ছে ৷ এখন যত তদন্ত এগোচ্ছে তত এই সমস্ত জিনিস সামনে আসছে।" এছাড়াও সুকান্ত মজুমদারের দুয়ারে সুকান্ত কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, "এগুলো পার্টির কোনও ধরনের প্রোগ্রাম নয়। এক একজন সাংসদ (MLA), বিধায়ক (MP) তাঁদের নিজেদের এলাকায় জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য এগুলো করে থাকেন। এরপরই তিনি গোপালির কর্মসূচিতে যোগদান করেন।