মেদিনীপুর, 20 অগস্ট : পশ্চিম মেদিনীপুরে শহিদ সম্মান যাত্রায় এসে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘এই রাজ্যের সরকার তালিবানের থেকেও খারাপ। না হলে একজন জেলার মন্ত্রীকে তাঁর এলাকায় পুলিশ প্রশাসন কীভাবে কেস দেয়। এখন পার্টির নেতা এবং এ রাজ্যের সরকার এক হয়ে গিয়েছে। তাই আধার কার্ড, রেশন কার্ডের পর লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চলছে পার্টি অফিস থেকে।’’
পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রের শিক্ষা রাষ্ট্রমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয় পশ্চিম মেদিনীপুরে। সংবর্ধনা সভায় হাজির ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ৷ শহিদ সম্মান যাত্রায় প্রথম খেমাশুলিতে সংবর্ধনা পান সুভাষ সরকার ৷ এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একের পর এক নিমপুরা, খড়গপুর, মোহনপুর, ধর্মা, বটতলা, কেরানিতলা এবং শ্যাম সংঘ হলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ।
এরপর দিলীপ ঘোষ ও সুভাষ সরকার জগন্নাথ মন্দির হয়ে ডেবরার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
আরও পড়ুন : Narendra Modi : ধর্মীয় পর্যটনে ভারতে বাড়বে কর্মসংস্থান, দাবি মোদির
এদিন সাংবাদিকরা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপবাবু বলেন ‘‘এই রাজ্যের সরকার তালিবানের উপরে। যেখানে মন্ত্রী যে জেলার সেখানেই তাঁর নামে এফআইআর হয়। আসলে নিশীথ প্রামাণিক জিতে মন্ত্রী হয়েছেন, সাংসদ হয়েছেন তো এটা ঠিকমতো তৃণমূল হজম করতে পারেনি তাই তাকে আটকানোর জন্যই কেস দেওয়া হচ্ছে।’’
এই ধরনের ঘটনা নতুন নয় ৷ এই ধরনের ঘটনা ঘটবে এটা আমরা জানি ৷ তাই চমকে ধমকে আমাদের আটকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধায়ক চন্দনা বাউড়িকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত জীবনে প্রত্যেকের অধিকার আছে নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তৃণমূল নেতাদের চরিত্র আমরা আগেই দেখে নিয়েছি। প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেগুলি নিয়ে কেউ যদি কুৎসা রটায় সমাজ তা দেখবে সমাজ তার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সমাজের কাছে দায়বদ্ধ ।’’
আরও পড়ুন : Tripura-TMC : ত্রিপুরায় বেসুরো সুদীপ, টুইটে বিজেপিকে কটাক্ষ কুণালের
লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘এখন সরকার ও পার্টি এক হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী, পার্টির নেতা এক তাঁদের সম্পত্তিও এক। তাই তাদের ইচ্ছেমত নিজেদের পার্টি অফিসে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালাচ্ছে। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদিচ্ছা থাকত, তিনি তাহলে মোদির মতো জনধন অ্যাকাউন্টে টাকা সরাসরি পাঠিয়ে দিতেন। এভাবে লাইনে দাঁড় করিয়ে ভিখিরির মতো 500 টাকার জন্য লাইনে দাঁড় করাতেন না।’’
আরও পড়ুন : BJP workers Join TMC : তৃণমূলে যোগ একাধিক সদস্যর, হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির পঞ্চায়েত
সুভাষ সরকার জানান, শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভয় পাচ্ছে । বেশি সংখ্যায় বিধায়ক পেয়ে তৃণমূল সরকার গঠন করেছে ঠিক কিন্তু ভোটের ব্যবধান বেশি নয়।