মেদিনীপুর, 22 জানুয়ারি: মেদিনীপুরে এক অনুষ্ঠানে এসে এবার ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বাড়ির পিছন থেকে বোমা-বন্দুক উদ্ধার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । তিনি দাবি করেন, সমস্ত তৃণমূল নেতার বাড়িতেই বোমা, বন্দুক রয়েছে ৷ আর যার পাহারায় রয়েছে পুলিশ । এদিন 'দিদির দূত' শতাব্দী রায়কে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ৷ সেই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, "সবাইকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে ।"
মেদিনীপুরে সাংসদ এদিন একটি অংকন প্রতিযোগিতায় উদ্বোধন করতে এসেছিলেন মেদিনীপুরে । দিলীপ ঘোষ এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ৷ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি ৷ বিভিন্ন দাবি করেন, সঙ্গে অভিযোগও । এদিন সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষকে ভাঙ্গড়ের আরাবুলের বাড়ির পিছন থেকে বোমা-বন্দুক কারখানার হদিস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, "তৃণমূলের সব নেতা-কর্মীর বাড়িতেই বোমা ও বন্দুক রয়েছে এবং সেগুলি পাহারা দেয় পুলিশ প্রশাসন । মাঝে মধ্যে দিদিমণি উদ্ধার করতে বললে তারা কিছু কিছু উদ্ধার করে আবার পরবর্তীকালে তারাই বোমা-বন্দুক মজুত করে রাখে ।"
বুথ স্তরে শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলন গড়ে তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "বুথ স্তরে আন্দোলনের কথা পার্টি বলেনি ৷ বরং বলেছে আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের কাছে যেতে হবে । যেভাবে আমরা বিভিন্ন অঞ্চলে, বিডিও অফিসে আন্দোলন করছি । বিজেপি আন্দোলনে রয়েছে এবং বিজেপি যে ইস্যুগুলি তুলেছে, সেগুলি মানুষই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে । মানুষ এখন 'দিদির দূত'কে আটকে কাজের হিসাব চাইছে । রাস্তা ঘাট বাড়ি ঘরের হিসাব খুঁজছে তারা ।"
আরও পড়ুন: শনিতে আইএসএফ-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, রবিবার আরাবুলের বাড়ির পিছনে বোমার বস্তা
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সম্প্রতি এলাকা পর্যবেক্ষণ করে কোন ভুল পায়নি ৷ এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "যদি তাই হয়, তাহলে কেন কেন্দ্রীয় দল আসার আগেই সমস্ত হোর্ডিং এবং সাইনবোর্ড লুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে ।" তিনি আরও বলেন, "পর্যবেক্ষক দলের কাছে তারা বলেছে হাতিতে নাকি সাইনবোর্ড ভেঙে দিয়েছে ৷ বন্যাতে নাকি বাঁধ ভেঙে চলে গিয়েছে । এই অভিযোগ একমাত্র মানুষই করেছে । তাই তৃণমূলের বহু নেতা জেলে ঢুকছে, বাকিরাও ঢুকবে সেইদিনই আসছে ।"
আরও পড়ুন: বিক্ষোভের মুখে 'দিদির দূত' শতাব্দী রায়, নামলেনই না গাড়ি থেকে
শতাব্দী রায় দিদির দূত হিসেবে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে ৷ সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, "সকল নেতা-মন্ত্রীদেরই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে । কারণ মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে ৷ আর তাই মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে ।" যদিও এদিন সাংসদের অনুষ্ঠানে না-গিয়ে বহু নেতা-কর্মীরা পিকনিকে চলে গিয়েছে ৷ সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "এটা সাংসদের প্রোগ্রাম, সাংসদ এসেছে এবং অন্যেরাও অনেকেই রয়েছে এই অনুষ্ঠানে ।"