ETV Bharat / state

বন্যার জল বাড়িতে ঢুকলে অভিনেতার সুন্দর মুখ কাজে লাগে না : ভারতী - dipak adhikari

প্রচারে বেরিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দেবকে এলাকায় কাজের হিসাব দেখিয়ে কটাক্ষ করলেন ঘাটালের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষ।

ভারতী ঘোষ
author img

By

Published : Mar 31, 2019, 8:45 AM IST

Updated : Mar 31, 2019, 10:19 AM IST

ঘাটাল, 31 মার্চ : "আমাকে চোর ডাকাত যাই বলুক আমি প্রতিবাদ করব।" গতকাল প্রচারে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন ঘাটালের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষ। লোকসভা ভোট শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন। জোরকদমে প্রচারে সব দলই। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী গতবারের জয়ী সাংসদ দেব। প্রতিপক্ষ CPI-এর তপন গাঙ্গুলি ও BJP-র ভারতী ঘোষ। প্রচারে বিদায়ি সাংসদ দেবের কাজের হিসাব নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে কটাক্ষও করেন ভারতী।

গতকাল বিকেলে ঘাটালের দাসপুরের কলোড়া, নন্দপুর, পার্বতীপুরে প্রচারে বেরোন ভারতী। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন গত পাঁচ বছরে বিদায়ি সাংসদ দেব কী কী কাজ করেছেন ? অনেকে বলেন দেবকে কোনওদিন দেখেননি, আবার কেউ বলেন উনি ঠান্ডা ঘরে বসে থাকেন। তারপরই দেবকে কটাক্ষ করে ভারতী বলেন, "কোনও অভিনেতার সুন্দর মুখ দেখে পাবলিক ভোট দেয় না। অভিনেতার মুখ একবার দেখতে পারে। দু'বার দেখতে পারে কিন্তু বন্যার জল যখন বাড়িতে ঢুকে যায় তখন আর অভিনেতার মুখ কোনও কাজে লাগে না।"

প্রচারে ভারতী ঘোষ

নিজেকে জনগণের মুখ হিসেবে দাবি করে ভারতী বলেন, "ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত প্রশাসনের মুখ ছিলাম। সেই চাকরি ছেড়ে এখন আমি জনগণের মুখ। আমি নিজে একটা কথাও বলছি না। আমি বলতে চাই এই সরকার অসুস্থ সরকার। পুলিশকে সামনে রেখে এই সরকার চলে। যারা পুলিশকে সামনে রেখে চলে তাদের লজ্জা থাকে না । আর লজ্জা তো ম্যানুফ্যাকচার করা যায় না। লজ্জা থাকলে অন্তত ভোটের আগে মানুষের যা যা দরকার তার সুযোগ-সুবিধা করে দিত। আসলে এরা জানে জোর করে করে ভোট করিয়ে নেবে। আর আমাকে জেলে পাঠিয়েও আমার মুখ বন্ধ করা যাবে না। আমাকে চোর বলুক আর ডাকাত। আমি কোনওভাবে থামার লোক নই।"

ঘাটাল, 31 মার্চ : "আমাকে চোর ডাকাত যাই বলুক আমি প্রতিবাদ করব।" গতকাল প্রচারে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন ঘাটালের BJP প্রার্থী ভারতী ঘোষ। লোকসভা ভোট শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন। জোরকদমে প্রচারে সব দলই। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল প্রার্থী গতবারের জয়ী সাংসদ দেব। প্রতিপক্ষ CPI-এর তপন গাঙ্গুলি ও BJP-র ভারতী ঘোষ। প্রচারে বিদায়ি সাংসদ দেবের কাজের হিসাব নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে কটাক্ষও করেন ভারতী।

গতকাল বিকেলে ঘাটালের দাসপুরের কলোড়া, নন্দপুর, পার্বতীপুরে প্রচারে বেরোন ভারতী। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে জিজ্ঞাসা করেন গত পাঁচ বছরে বিদায়ি সাংসদ দেব কী কী কাজ করেছেন ? অনেকে বলেন দেবকে কোনওদিন দেখেননি, আবার কেউ বলেন উনি ঠান্ডা ঘরে বসে থাকেন। তারপরই দেবকে কটাক্ষ করে ভারতী বলেন, "কোনও অভিনেতার সুন্দর মুখ দেখে পাবলিক ভোট দেয় না। অভিনেতার মুখ একবার দেখতে পারে। দু'বার দেখতে পারে কিন্তু বন্যার জল যখন বাড়িতে ঢুকে যায় তখন আর অভিনেতার মুখ কোনও কাজে লাগে না।"

প্রচারে ভারতী ঘোষ

নিজেকে জনগণের মুখ হিসেবে দাবি করে ভারতী বলেন, "ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত প্রশাসনের মুখ ছিলাম। সেই চাকরি ছেড়ে এখন আমি জনগণের মুখ। আমি নিজে একটা কথাও বলছি না। আমি বলতে চাই এই সরকার অসুস্থ সরকার। পুলিশকে সামনে রেখে এই সরকার চলে। যারা পুলিশকে সামনে রেখে চলে তাদের লজ্জা থাকে না । আর লজ্জা তো ম্যানুফ্যাকচার করা যায় না। লজ্জা থাকলে অন্তত ভোটের আগে মানুষের যা যা দরকার তার সুযোগ-সুবিধা করে দিত। আসলে এরা জানে জোর করে করে ভোট করিয়ে নেবে। আর আমাকে জেলে পাঠিয়েও আমার মুখ বন্ধ করা যাবে না। আমাকে চোর বলুক আর ডাকাত। আমি কোনওভাবে থামার লোক নই।"

Intro:ট্রেড ফেয়ার 2018 এসে শিল্প নষ্টের কারণ বামদের আন্দোলন কেই দায়ী করলেন পরিবহন মন্ত্রী ।


Body:আগে একটা বাৎসরিক বনধ হতো আর সেই বনধের দিনে তাস খেলে , হইহুল্লোড় করে , পিকনিক করে একটা কর্মদিবস নষ্ট করে দিত তৎকালীন বাম সরকার সহ তাবড় তাবড় নেতারা । আমরা এসে শিল্পের পরিবেশ তৈরি করেছি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বনধ কড়া হাতে দমন করে আজ শিল্পকে একটা নতুন দিশা দেখিয়েছেন এরকমই মন্তব্য করলেন পরিবহন মন্ত্রী তথা সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী । এদিন তিনি মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির প্রাঙ্গনের এসেছিলেন ন্যাশনাল লেভেল ভেন্ডার ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম কাম এম এস এম ই ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার 2018 উদ্বোধন অনুষ্ঠানে । এই মেলার আয়োজক কনফেডারেশন অফ পূর্ব এন্ড পশ্চিম মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি , এই মেলা চলবে আগামী কয়েকদিন । এ বছরে মেলা দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পণ করল, মূলত কৃষি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কে উৎসাহ দিতেই এ মেলার আয়োজন । এখানে 25 টি প্যাভেলিয়ন সহ মোট 65 টি স্টল রয়েছে , এই স্টলে উৎসাহী যুবক-যুবতীরা যারা পড়াশোনা করে কোন চাকরি পায়নি তারা নিজেদের কর্মদক্ষতা ও কৌশল কে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন হস্তশিল্প ও কর্ম শিল্পের নিপুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে তাদের ছোট ছোট ব্যবসা পত্রের জিনিস স্টলে রেখেছেন যা নজর কাড়ছে । সেই মেলায় উদ্বোধনে এসে পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন বিগত 2-3 বছর আগে বাম সরকার একটা বাৎসরিক বনধ ডাকত , যে বনধ কর্মনাশা বনধ এবং হৈ-হুল্লোড় তাস খেলে তারা একটি দিন কাটিয়ে দিত । সেইটা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে বন্ধ করা গেছে , তাছাড়া বিগত বাম সরকারের আমলে বনধ এর জন্য বহু কোম্পানি এই রাজ্য ছেড়ে এবং জেলা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগী হয়েছেন বনধ কোনোভাবেই করা যাবে না । আগে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ছিল ধু ধু মাঠ সেই মাঠ এখন শিল্পের জন্য উপযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে গড়ে উঠেছে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক । যেকোনো তাবড় তাবড় নেতারা এই বনধ ডেকে দিত এবং গল্প-গুজব পিকনিকের মাধ্যমে বনধ কে তারা উপভোগ করত কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই সব বনধে আমাদের রাজ্য সচল করে রেখেছেন , তাই একটা নেগেটিভ জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছে আমাদের এই রাজ্য তথা জেলা যার অনুপ্রেরণা সম্পূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই । আমরা বেরিয়ে এসেছি ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও পুড়িয়ে দাও রাজনীতি থেকে , যা তৎকালীন বামফ্রন্টের সরকার এগুলি করত এবং শ্রমিক সংকট এবং শ্রমিকদের প্রতি হুলিয়া জারি করে এই ধরনের বনধ করতো যাতে করে বহু শিল্পউদ্যোগী পালাতে বাধ্য হয়েছেন । আজ একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্রেন্ডলি এনভারমেন্ট তৈরি হয়েছে যা মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরেই , তাছাড়া তিনি বলেন বর্তমানে কেন্দ্র সরকার যে ধরনের জি এস টি ও নোট বন্দি করেছেন তাতে অনেকাংশে ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে এ ক্ষেত্রে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে এম এস এম ই । তবে তা তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে আমরাও অনেক ভাবে হেল্প করেছি আগামী দিনে আরো ভালোভাবে গড়ে উঠবে শিল্পাঞ্চল । এভাবে বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী বলা বাহুল্য এই দিন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি তুলতে গিয়ে শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীর হাতে কিছুটা হেনস্থার শিকার হলেন সাংবাদিকরা । এদিন শুভেন্দু বাবু যখন মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয় । বাধার পাশাপাশি কে কতটা ছবি তুলবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বসেন সাংবাদিকদের শুভেন্দু বাবুর দেহরক্ষীরা , টিভিতে এতটা দেখাবেন না তো তুলছেন কেন । এই ঘটনায় কিছুটা ক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা শুভেন্দু বাবুর মঞ্চ ছাড়েন ।


Conclusion:শিল্প না আসার কারণ বিরোধীদের বনধ কেই দায়ী করলেন শুভেন্দু
Last Updated : Mar 31, 2019, 10:19 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.