ETV Bharat / state

Life Imprisonment: স্ত্রীকে পুড়িয়ে খুন ! 8 বছর পর স্বামীকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত - Life Imprisonment

আট বছর পর স্ত্রীকে হত্যার সাজা পেল অভিযুক্ত স্বামী ৷ সমস্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল ঘাটাল মহকুমা আদালত ৷ ঠিক কী হয়েছিল সেদিন ?

ETV Bharat
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন
author img

By

Published : Aug 3, 2023, 9:32 PM IST

স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পর আইনজীবীর বক্তব্য

ঘাটাল, 3 অগস্ট: বিয়ের পরই পণের জন্য মারধর এবং পরবর্তীকালে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয় স্বামী । সেই ঘটনায় অবশেষে আট বছর পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল আদালত ।

2010 সাল ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার টালিভাটা এলাকার বাসিন্দা সুদাম মণ্ডল সোনার কাজ করতেন মধ্যপ্রদেশের রত্নামে ৷ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় চন্দ্রকোনা থানার কালাপাট এলাকার বাসিন্দা চাঁপা মণ্ডলকে নিয়ে পালিয়ে যান মধ্যপ্রদেশে । সেখানেই একটি মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা ৷ এর কিছুদিন পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে পণের টাকা আনার জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে ৷ চাঁপার বাবা হত দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের কথা ভেবে কিছু টাকা পাঠিয়েছিলেন ৷ তবুও দিনের পর দিন চাঁপার উপর অত্যাচার বেড়েই চলছিল ৷ এই অবস্থাতেই চাঁপা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে ও এক সন্তানের জন্ম দেয় ৷ এরপর স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রেখে যায় সুদাম ৷

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর 7 মে 2015 সালে চাঁপা যেদিন অগ্নিদগ্ধ হয় ঠিক তার আগের দিন সুদাম মধ্যপ্রদেশ থেকে তার দেশের বাড়িতে আসে ৷ তার পরের দিন বেলা তিনটের সময় চাঁপার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে ৷ ফলে চাঁপার দেহের 98 শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসেনি ৷ এরপরই চাঁপার বাপের বাড়ির পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় দাসপুর থানায় । এই অভিযোগের ভিতিত্তে অভিযুক্ত সুদাম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তোলা হয় ঘাটাল মহকুমা আদালতে ৷ সেই 2015 সাল থেকে মামলা চলার পর জেল হেফাজতে থাকাকালীন অবশেষে বৃহস্পতিবার, 498 ও 302 ধারায় অভিযুক্ত সুদাম মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালতের বিচারক মদনমোহন মিশ্র ।

এই বিষয়ে চাঁপার পরিবারের তথা সরকার পক্ষের আইনজীবী চিত্ত কর্মকার জানান, বারবার পণের দাবিতেই অত্যাচার হত চাঁপার উপর ৷ তারপরই তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয় ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এতদিন মামলা চলছিল । যদিও ধৃত সুদাম এতদিন জেল হেফাজতেই ছিল । এদিন সমস্ত সাক্ষ্য গ্রহণ এবং কাগজপত্র দেখে বিচারপতি তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ৷ আর এই সাজা ঘোষণায় খুশি হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ।

আরও পড়ুন : মিষ্টি ব্যবসায়ীকে খুন, 9 বছর পর অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল আদালত

স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণার পর আইনজীবীর বক্তব্য

ঘাটাল, 3 অগস্ট: বিয়ের পরই পণের জন্য মারধর এবং পরবর্তীকালে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ । সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার হয় স্বামী । সেই ঘটনায় অবশেষে আট বছর পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল আদালত ।

2010 সাল ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার টালিভাটা এলাকার বাসিন্দা সুদাম মণ্ডল সোনার কাজ করতেন মধ্যপ্রদেশের রত্নামে ৷ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় চন্দ্রকোনা থানার কালাপাট এলাকার বাসিন্দা চাঁপা মণ্ডলকে নিয়ে পালিয়ে যান মধ্যপ্রদেশে । সেখানেই একটি মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা ৷ এর কিছুদিন পর থেকেই বাপের বাড়ি থেকে পণের টাকা আনার জন্য স্ত্রীর উপর অত্যাচার শুরু করে ৷ চাঁপার বাবা হত দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের কথা ভেবে কিছু টাকা পাঠিয়েছিলেন ৷ তবুও দিনের পর দিন চাঁপার উপর অত্যাচার বেড়েই চলছিল ৷ এই অবস্থাতেই চাঁপা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে ও এক সন্তানের জন্ম দেয় ৷ এরপর স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রেখে যায় সুদাম ৷

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর 7 মে 2015 সালে চাঁপা যেদিন অগ্নিদগ্ধ হয় ঠিক তার আগের দিন সুদাম মধ্যপ্রদেশ থেকে তার দেশের বাড়িতে আসে ৷ তার পরের দিন বেলা তিনটের সময় চাঁপার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে ৷ ফলে চাঁপার দেহের 98 শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল ৷ কিন্তু কেউ তাঁকে বাঁচাতে আসেনি ৷ এরপরই চাঁপার বাপের বাড়ির পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় দাসপুর থানায় । এই অভিযোগের ভিতিত্তে অভিযুক্ত সুদাম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ । তোলা হয় ঘাটাল মহকুমা আদালতে ৷ সেই 2015 সাল থেকে মামলা চলার পর জেল হেফাজতে থাকাকালীন অবশেষে বৃহস্পতিবার, 498 ও 302 ধারায় অভিযুক্ত সুদাম মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল ঘাটাল মহকুমা আদালতের বিচারক মদনমোহন মিশ্র ।

এই বিষয়ে চাঁপার পরিবারের তথা সরকার পক্ষের আইনজীবী চিত্ত কর্মকার জানান, বারবার পণের দাবিতেই অত্যাচার হত চাঁপার উপর ৷ তারপরই তাঁকে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয় ৷ সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই এতদিন মামলা চলছিল । যদিও ধৃত সুদাম এতদিন জেল হেফাজতেই ছিল । এদিন সমস্ত সাক্ষ্য গ্রহণ এবং কাগজপত্র দেখে বিচারপতি তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ৷ আর এই সাজা ঘোষণায় খুশি হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার ।

আরও পড়ুন : মিষ্টি ব্যবসায়ীকে খুন, 9 বছর পর অভিযুক্তদের যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল আদালত

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.