মোহবনী, 11 অগস্ট : শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবসে ক্ষুদিরামের জন্মভিটেতে দাঁড়িয়েই উল্টো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন খোদ জেলাশাসক ও রাজ্যের মন্ত্রী । ভুল বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফের সঠিক ভাবে দ্বিতীয়বার উত্তোলন করা হল । ঘটনায় বিতর্কের মুখে পড়েছেন জেলাশাসক এবং মন্ত্রী ৷ বিরোধীরা নিন্দার সুর চড়িয়েছে ৷
বুধবার শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর 114তম আত্মবলিদান দিবস উপলক্ষে ক্ষুদিরামের জন্মভিটে মোহবনী গ্রামে শহিদ স্মরণের আয়োজন করা হয় ৷ মোহবনী ডেভলপমেন্ট অথরিটির সভাপতি তথা জেলাশাসক রেশমী কমলের আহ্বানে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা-সহ অন্যান্য বিশিষ্টরা ৷ অনুষ্ঠানের শুরুতেই ঘটে বিপত্তি । উল্টো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেখা যায় জেলাশাসক ও রাজ্যের মন্ত্রীকে । যদিও পতাকার দড়ি বাঁধার আগেই নজরে আসে বিষয়টি । সঙ্গে সঙ্গেই ভুল শুধরে নেওয়া হয় ৷ ঘটনায় চরম বিতর্কের মুখে পড়েছেন জেলাশাসক ও রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী ।
ঘটনার পর জেলাশাসক কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ৷ মন্ত্রী শিউলি সাহার সঙ্গে ফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "তখনও ঠিকমতো আমাদের পতাকা টাঙানো হয়নি । কিন্তু সাংবাদিকরা তার ছবি তুলে নিয়েছে । আমাদের পতাকা টাঙানোর আগেই ছবি করে তাঁরা খবর করেছেন ৷ এর বেশি বলতে পারব না ।"
তবে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা ৷ বিজেপি জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি বলেন, "তৃণমূলের কালচারই এটা । ওরা কোনও কিছুই জাতীয় মর্যাদায় পালন করতে শেখেনি । ওরা শুধু নাটক করে বেড়াচ্ছে ৷ কাল থেকেই নাটক শুরু হয়েছে । ঘাটালে জলে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন খোদ মন্ত্রী । সাংসদ দেব বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হলে ঘাটালের সমস্যার সমাধান হবে । নাটক ওরা করেই চলেছে । তার মধ্যেই সবচেয়ে কলঙ্কময় দিন হল আজকে । যেখানে পুলিশ আধিকারিক, মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন, সেখানে উল্টো পতাকা কী করে উত্তোলন করা হয় ? এটা মেদিনীপুরের জন্য এক কলঙ্কময় অধ্যায় এবং আমরা চাইব ওঁরা সবার সামনে এসে মেদিনীপুরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিক ।"
আরও পড়ুন : উলটো জাতীয় পতাকা তুলে অস্বস্তিতে দিলীপ