কেশপুর, 11 জুলাই: মঙ্গলবার চলছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গণনা ৷ এদিন গণনাপর্ব চলাকালীন গণনাকেন্দ্র থেকেই কংগ্রেস প্রার্থীকে গ্রেফতার করে মেদিনীপুর কোর্টে চালান করল পুলিশ । কার্যত নজিরবিহীন এই ঘটনার সাক্ষী রইল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ৷ ধৃত কংগ্রেস প্রার্থীর নাম আব্দুল জব্বর মল্লিক ৷ তিনি কেশপুরের উচাহারের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের 195 নং বুথের কংগ্রেস প্রার্থী ৷ পুলিশের দাবি, ভোটের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের ঘটনায় তিনি অভিযুক্ত । যদিও আব্দুল জব্বর মল্লিক জানিয়েছেন, তিনি নিরপরাধ ৷ তাঁর দাবি, ভোটে তিনি জিতে গিয়েছেন ৷ পুলিশ তাঁকে গণনাকেন্দ্র থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে বেআইনিভাবে ।
এই গ্রেফতারি নিয়ে ক্ষোভ জন্মেছে স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে ৷ তারা এই ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে উল্লেখ করছেন । এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা মহম্মদ সাইফুল বলেন, "এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে । মনোনয়নের আগে এলাকায় মারধর করা হয়েছে শাসক দলের তরফ থেকে ৷ এখানে আমাদের জয় নিশ্চিত বলে, ভোটের দিন ভোট লুট করতে এসেছিল শাসক দলের দুষ্কৃতীরা, সে সময় গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়ায় এবং আমাদের কর্মীরা বাধা দেওয়ায় আমাদেরকে মারধর করা হয় ৷ পুলিশ সেই মারধরের অভিযোগ আমাদের নেয়নি ৷ ওইদিন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ভোট লুট করতে এসে মার খায় গ্রামবাসীদের হাতে ।" প্রয়োজনে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে কংগ্রেস ৷
আরও পড়ুন: গণনাকেন্দ্র থেকে ব্যালট নিয়ে পালানোর অভিযোগ তৃণমূলের এজেন্টের বিরুদ্ধে
এক সময়ের লালদুর্গ বলে পরিচিত কেশপুর বর্তমানে সবুজ দুর্গে পরিণত। এই দুর্গে 2011 সাল থেকে কোনওভাবেই হুল ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। এরইমধ্যে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশপুরের কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে এবারে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মনোনয়ন জমা দেন কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল জব্বর মল্লিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনে সমানে সমানে তিনি টক্কর দেন তৃণমূল প্রার্থীকে ৷ কংগ্রেসের দাবি, আব্দুল জিতে যাবেন বুঝেই শাসকদল পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ এনে তাঁকে এভাবে গণনাকেন্দ্র থেকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে খুনের মামলা-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে ।