চন্দ্রকোনা, 1 মে : করোনার সংক্রমণ বাড়ছে তাই আংশিক লকডাউন করেছে রাজ্য সরকার । লকডাউন সকাল 7 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত এবং বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত ৷ তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রভাব পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতে ।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ লাগামছাড়া, তা ঠেকাতে রাজ্য জুড়ে আংশিক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার । বাণিজ্য, বিনোদন ও সামাজিক ক্ষেত্রে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে । জমায়েত ঠেকাতে বাজার হাট সকাল 7-10 টা পর্যন্ত ও দুপুর 3-5 টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । শনিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা-2 ব্লকের চন্দ্রকোনা পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডে গোঁসাইবাজার রেগুলেটেড বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ক্রেতা থেকে বিক্রেতাদের মধ্যে ।
সবজি থেকে মাছ বিক্রেতাদের দাবি, সকাল 7 টা থেকে ক্রেতাদের সঙ্গে বেচাকেনা শুরু হয় ৷ কিন্তু তারও আগে ভোর থেকেই ফোড়ে ও চাষিদের লেনদেন শুরু হয়ে যায় ৷ চলতে থাকে বেলা 2 দুটো পর্যন্ত । অসুবিধা হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে বলে মত অনেক বিক্রেতার । আবার অনেকের কথায়, বেলা যত গড়ায় বাজারে ভিড় তত বাড়ে ৷ সকাল 10 টার পর ক্রেতাদের ভিড় ভালোই থাকে ৷ তার আগে বাজার বন্ধ করে দিলে ব্যবসার ক্ষতি তো হবেই ৷ কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী মেনে নিতে হবে সকলকে ।
এদিন চন্দ্রকোনা রেগুলেটেড বাজারে দেখা যায় 10 টার পরও কিছু সবজি বিক্রেতা বেচাকেনা চালালে, তাঁদের বিরত করেন রেগুলেটেড বাজার কমিটির সদস্যরা। গতকাল শুক্রবার আংশিক লকডাউন ঘোষণার পরই শনিবার সকালেই উপচে পড়ে ভিড় এবং নির্ধারিত সময়ের আগে বাজার বন্ধের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় চন্দ্রকোনার বাজারগুলিতে । আংশিক লকডাউন পালনে বাজারগুলিতে সকালেই চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের তরফে ক্রেতা বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং নির্ধারিত সময়ের পরও নজরদারি চালানো হয় ।
আরও পড়ুন : দেশে প্রথমবার 4 লাখ পেরোলো দৈনিক সংক্রমণ
দেশজুড়ে যে হারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে, তাতে ভোগান্তি সমস্যা হলেও সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগতই জানিয়েছে চন্দ্রকোনার বাজারগুলির ক্রেতা বিক্রেতারা ।