মেদিনীপুর, 7 জুন: ওড়িশার ট্রেন দুর্ঘটনায় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে মেদিনীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ৷ করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে মঙ্গলবার মেডিক্যাল কলেজ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা দেখে আপ্লুত মুখ্যমন্ত্রী 100 বেডের ক্রিটিক্যাল ইউনিট চালির কথা ঘোষণা করলেন ৷ পাশাপাশি মাদার হাব ডেভলপমেন্ট ও ক্যানসার ব্লক সেন্টারর তৈরির কথাও উল্লেখ করেন ।
বাহানাগায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশবন্তপুরের সঙ্গে মালগাড়ির দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসা করা এবং তাদের রাজ্যে ফেরানোর কাজ তৎপর হয়েছিল মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন । সমস্ত আধিকারিকরা নির্দিষ্ট দলে ভাগ হয়ে উদ্ধার কার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন । পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, মেদিনীপুরের জেলাশাসক কুরেসী আলী কাদরী, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শংকর সরঙ্গি-সহ নার্স ও চিকিৎসক এবং বিভিন্ন দফতরের কর্মীরা যুদ্ধ কালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছেন । এই কাজে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে এসে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি এই জেলা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ । তাদের এই জেলার একটা পাওনা রয়েছে ৷ আমি আজই এখান থেকে ঘোষণা করেছি, এই মেদিনীপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে 100 বেডের ক্রিটিকাল ইউনিট চালু হবে । তিনটি ফ্লোরের একটি বিল্ডিং-এ হবে মাদার হাব ৷ সেইসঙ্গে একটি ক্যানসার ব্লকও চালু করতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজ ।"
আরও পড়ুন: সত্য সামনে আসুক, যেন ধামাচাপা না দেওয়া হয়; কটকে বললেন মমতা
অন্যদিকে, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিউরো চিকিৎসা না-হওয়া প্রসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে গোটা রাজ্যে মাত্র ছ'জন ডাক্তার রয়েছেন । যতক্ষণ না নতুন ভাবে ডাক্তার নিয়োগ হয় আমার কিছু করার নেই । এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটক থেকে সরাসরি আসেন মেদিনীপুরের জামবাগানের হেলিপাডে । সেখান থেকে আসেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ৷ সেখানে আহতদের দেখার পর সার্কিট হাউসে চলে যান ।