চন্দ্রকোনা, 28 মে : জেনারেটর নেই, বিদ্যুৎ চলে গেলেই অন্ধকারে ডুবে যেত হাসপাতাল ! সংবাদমাধ্যমে এই খবরের জেরে তড়িঘড়ি চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে একটি জেনারেটরের ব্যবস্থা করলেন ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস । এতে আপাতত স্বস্তি হাসপাতালে (Chandrakona Rural Hospital gets a generator to cop with load shedding)।
বুধবার ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে একটি জেনারেটর পাঠানো হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে । বিদ্যুৎ চলে গেলে সেই জেনারেটরের মাধ্যমে হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে ৷ জানালেন চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডাঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি । এর সাহায্য আপাতত হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার, জরুরি বিভাগ-সহ রোগীর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ পরিষেবা মিলবে ।
আরও পড়ুন : Chandrakona Rural Hospital : জেনারেটরের ভাড়া বকেয়া 15 লক্ষ, লোডশেডিংয়ে অন্ধকারে ডুবে চন্দ্রকোনা হাসপাতাল
এপ্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ ডঃ স্বপ্ননীল মিস্ত্রি বলেন, "ঘাটাল মহকুমাশাসকের দফতর থেকে অস্থায়ীভাবে একটি জেনারেটর দেওয়া হয়েছে ৷ তা দিয়েই আপাতত কাজ চলবে । জেনারেটর সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য জেলাশাসক ও সিএমওএইচকে জানানো হয়েছে ৷ আশা করি, দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে ।"
উল্লেখ্য, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর খারাপ হয়ে যায় ৷ এমনকি খড়গপুরের একটি সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা মিললেও গত সাড়ে তিন বছর সেই ঠিকাদার সংস্থার বিল বকেয়া প্রায় 14-15 লক্ষ টাকা । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই বিল না মেটানোয় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তারা হাসপাতালে জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ করে দেয় । এর জেরে বিদ্যুৎ চলে গেলে গোটা হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে যায় ৷ বিদ্যুৎ চলে গেলে ওয়ার্ডে মোমবাতি জ্বালিয়ে থাকতে হয় রোগীদের । হাসপাতালের এমন বেহাল অবস্থার ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই নড়েচড়ে চড়ে বসে প্রশাসন ।