ঘাটাল, 4 অগস্ট : "কেন্দ্র সরকার ঘাটালের মানুষকে পচিয়ে মারতে এখনও ঘাটালের মাস্টার প্ল্যানের টাকা দিচ্ছে না" বুধবার এই অভিযোগে সরব হলেন জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া । রাজ্য সরকার সবরকম সহযোগিতা করলেও নির্বিকার কেন্দ্র ৷ তাই এখনও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ৷
এদিন তিনি আরও জানান, ঘাটালের মত বিশাল একটা জায়গায় যতক্ষণ না মাস্টার প্ল্যানের কাজ রূপায়িত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও সমস্যার সমাধান হবে না ৷ ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও 13টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও ঘাটাল পুরসভার 17টি ওয়ার্ডের মধ্যে 12টি ওয়ার্ডে এখনও জলমগ্ন ৷ এইসব এলাকার ভৌগোলিক আকৃতি অনেকটা গামলার মতো হওয়ায় জল ঢুকলে বেরোতে সময় লাগে ।
বুধবারের বৈঠক থেকে মন্ত্রী জানান, কোথাও অস্থায়ী ত্রাণ শিবির বা কোথাও পাকা বাড়ির ছাদে ত্রিপল খাটিয়ে দিন কাটাচ্ছে একাধিক পরিবার । পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে । ঘাটাল বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ে পরিশ্রুত পানীয় জলের পাউচ তৈরির মেশিন বসানো হয়েছে । সেখান থেকে দূরের গ্রামগুলিতে জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে । বন্যার জল ফুটিয়ে খেতেও দেখা গিয়েছে অনেক জায়গায় ৷ পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কাজ করছে বন্যা কবলিত এলাকগুলিতে ।
আরও পড়ুন : এখনও অথৈ জলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান
ঘাটালের এই বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেই দায়ী করেছেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া । এদিন মেদিনীপুরের বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি জানান, 2011 সাল থেকে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের দাবি জানিয়ে আসছে ৷ এমনকি সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেবও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা বলেন সাংসদে ৷ অথচ কেন্দ্র সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই ৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত হলে চারটি জেলার কয়েক লাখ মানুষ উপকৃত হবেন ।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 5 থেকে 7 অগস্ট তিনি-সহ চার মন্ত্রী দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন ।