পশ্চিম মেদিনীপুর, 8 জুলাই: নির্বাচনের দায়িত্বে পুলিশ নয় আছে ট্রাফিক পুলিশ ৷ তার জেরেই নিয়ন্ত্রণহীন এলাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা ৷ নির্বাচনের আবহে ঘটেছে এমন ঘটনাও ৷ বেশ কয়েকটি বুথে দেখা গিয়েছে সিভিক পুলিশকেও ৷ ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশকে ৷ তা নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মেদিনীপুরের বিজেপি নেতারা ৷ এভাবে নির্বাচনকে এক প্রকার প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা ৷ যদিও এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ট্রাফিক পুলিশকে কাজে লাগানোকে যুক্তিসঙ্গত বলেই মত তৃণমূলের ।
ভোটের দিন রাস্তা থেকে ট্রাফিক পুলিশ তুলে নেওয়ায় এলাকার ট্রাফিক পরিস্থিতি যে একেবারে শিকিয়ে উঠেছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরকে দুর্ঘটনা মুক্ত রাখতে কালেক্টরেট, এলআইসি, গোলকুয়া চক, কেরানিতোলা ফ্লাইওভার, রাঙ্গামাটি ধর্মা-সহ জগন্নাথ মন্দির চকের বিভিন্ন এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ । প্রায় 24 ঘণ্টা চলে যান চলাচলের নিয়ন্ত্রণের কাজ ৷ কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন চোখে পড়ল অন্য দৃশ্য। এলাকার ব্যস্তবহুল ট্রাফিক মোড়ের বেশিরভাগ অংশ ছিল ট্রাফিকহীন ৷ সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোনও ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায়নি । তবে কয়েকটি এলাকা অবশ্যই ব্যাতিক্রম ছিল ।
বিজেপি নেতা অরূপ দাসের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশকেও এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাজে লাগিয়েছে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন । কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা সত্ত্বেও তাদের কাজে না লাগিয়ে জেলার বিভিন্ন স্পর্শকাতর বুথের পাশাপাশি অন্যান্য বুথেও এই সিভিক হোমগার্ড এবং জেলা ট্রাফিক পুলিশকেও কাজে লাগিয়েছে তাঁরা । বিজেপি নেতার কথায়, "ভোট নয় বরং প্রহসন হয়েছে এই বাংলায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে সিভিকদের দিয়ে ভোট করিয়েছে এই নির্বাচন কমিশন । এছাড়াও বুথে বুথে দাপিয়ে বেড়িয়েছে ট্রাফিক পুলিশরাও ৷ এটা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার ৷ তাই এই নির্বাচনকে ধিক্কার জানাই ।"
আরও পড়ুন: বাসন্তীতে পিটিয়ে হত্যা প্রৌঢ় তৃণমূল কর্মীকে, অভিযুক্ত বামেরা
যদিও ট্রাফিক পুলিশকে নির্বাচনের কাজে লাগনোয় কমিশনের সঙ্গে সহমত জানিয়েছে তৃণমূল । তৃণমূল জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, "এটা ভুলের কিছু না । পুলিশের কর্মী কম পড়লে তাঁদের নিয়ে যেতেই পারে । এতে নতুনত্বের কিছু নেই ৷ কম পড়লে কাউকে কাজে লাগাতেই পারে নির্বাচন কমিশন ।"