মেদিনীপুর, 1 নভেম্বর : অমিত শাহের জেলা সফরের আগে মেদিনীপুরে আজ বৈঠক সারেন BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ । বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিমল গুরুং ও মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ তুলে শাসকদলকে আক্রমণ করেন তিনি ৷
বিমল গুরুং প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "বিমল গুরুং একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ছিলেন ৷ তাঁকে তিনি পাহাড়ের মা-ও বলেছিলেন ৷ কিন্তু মায়ের যা ব্যবহার উনি পেয়েছেন, সৎ মা-ও ওরকম ব্যবহার করে না ৷ তার পরিণামে তাঁকে তিন বছর বাইরে থাকতে হয়েছে । তাঁর নামে 176 টা মামলা রয়েছে । তাঁর নামে রাষ্ট্রদ্রোহীতার কেস রয়েছে ৷ রয়েছে অমিতাভ মল্লিককে খুনের অভিযোগ । তিন বছর গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন । সেই সময় তৃণমূলের নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন ৷ কিন্তু আজকে কী এমন হল যে দিদির আঁচলের তলায় চলে এলেন ? তিনি প্রকাশ্যে থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অথচ পুলিশ তাঁকে দেখতেই পাচ্ছে না । এটা কী করে হয় ? এবার হয়তো তিনি পাহাড়েও যাবেন দু-একদিনের মধ্যে । তবে পাহাড়ের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে । গুরুংয়ের সঙ্গে তৃণমূলের গন্ডগোল লেগেছে । এছাড়াও গুরুংয়ের বিরুদ্ধে তামাংদের লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে । পাহাড়ের মানুষের জীবন শোচনীয় উঠেছে । দীর্ঘদিন লকডাউনে বন্ধ সবকিছু, তাদের জীবন-জীবিকা কী হবে সেটাই প্রশ্ন ৷ "
পাশাপাশি আজ তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, "এই দলে আর কোনও ভদ্র লোক থাকতে পারবেন না ৷ যা পরিস্থিতি যে কোনও দিন এই পার্টিটাই উঠে যাবে ৷ যে কোনও সময় বিস্ফোরণ হবে ৷ পুরো পার্টিটা ভেঙে পড়বে ৷ গতি প্রকৃতি সেদিকেই যাচ্ছে ৷ ছোটো থেকে বড় নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক সবারই পক্ষে থাকাটা অসহ্য হয়ে যাচ্ছে ৷ এধরনের মন্তব্য করে বার বার তাঁরা সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন ৷ পরিস্থিতি মোটেই ভালো নয় ৷ তৃণমূলের এরকম বহু নেতা-মন্ত্রীরা এই ধরনের বক্তব্য রাখছেন । কারণ এই পার্টিতে তাঁরা থাকতে চাইছেন না । " তবে শুভেন্দু অধিকারীর BJP-তে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, "পরিস্থিতি কোন দিকে যায় শেষ পর্যন্ত তা কেউই বলতে পারে না । তবে এই মুহুর্তে এটা বলতে পারি তিনি একটি পার্টির নেতা, মন্ত্রী ৷ আমরা তাঁর বিরোধী পার্টির নেতা-কর্মী । আমরা পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রাখছি । আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি । আমাদের শক্তি বাড়াচ্ছি ৷ বাকি তাঁদের পার্টির তাঁদের ব্যাপার তাঁরা কী করবেন ৷ "